রপ্তানি শিল্পে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ চায় ইএবি

বাজেটে রপ্তানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখাসহ ৮টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর সই করা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অনেক বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম কোভিড মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অধিক খাদ্য উৎপাদন ও সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন ও সম্পন্নকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচি, তৃতীয় লিঙ্গ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা ভাতা কর্মসূচি প্রভৃতির আওতা বৃদ্ধি। এ অগ্রাধিকারযুক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে ইএবি বলছে, রপ্তানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, পরিবেশবান্ধব কারখানার অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক হার ১ শতাংশ না বাড়িয়ে পূর্বের ন্যায় শূন্য করা, ব্যাংক সুদের উৎসে করহার কোম্পানি করদাতার জন্য পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ রাখা।

ভ্যাট খেলাপি হলে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মূসক কর্মকর্তারা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা বাস্তবায়িত হলে শিল্পে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।

ধারাবাহিক তিন বছর বা ততোধিক সময়ব্যাপী কোন কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের কাছ থেকে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান রাখা এবং সরকারের অবিতর্কিত রাজস্ব দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মাংস রপ্তানিতে ফ্রিজার ভ্যান এবং চিলার ভ্যান অপরিহার্য বিধায় এগুলোকে আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনী পণ্য হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে মাংস রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।

সসেজ, পেপারনি, সালামি ইত্যাদি একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত উল্লেখ করে বলা হয়, যেখানে উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং প্যাকেজিং পণ্য আমদানি নির্ভর বিধায় উপরোক্ত উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ১৭ জিলকদ ১৪৪৩

রপ্তানি শিল্পে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ চায় ইএবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

বাজেটে রপ্তানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখাসহ ৮টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর সই করা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অনেক বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম কোভিড মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অধিক খাদ্য উৎপাদন ও সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন ও সম্পন্নকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচি, তৃতীয় লিঙ্গ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা ভাতা কর্মসূচি প্রভৃতির আওতা বৃদ্ধি। এ অগ্রাধিকারযুক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে ইএবি বলছে, রপ্তানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, পরিবেশবান্ধব কারখানার অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক হার ১ শতাংশ না বাড়িয়ে পূর্বের ন্যায় শূন্য করা, ব্যাংক সুদের উৎসে করহার কোম্পানি করদাতার জন্য পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ রাখা।

ভ্যাট খেলাপি হলে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মূসক কর্মকর্তারা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা বাস্তবায়িত হলে শিল্পে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।

ধারাবাহিক তিন বছর বা ততোধিক সময়ব্যাপী কোন কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের কাছ থেকে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান রাখা এবং সরকারের অবিতর্কিত রাজস্ব দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মাংস রপ্তানিতে ফ্রিজার ভ্যান এবং চিলার ভ্যান অপরিহার্য বিধায় এগুলোকে আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনী পণ্য হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে মাংস রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।

সসেজ, পেপারনি, সালামি ইত্যাদি একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত উল্লেখ করে বলা হয়, যেখানে উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং প্যাকেজিং পণ্য আমদানি নির্ভর বিধায় উপরোক্ত উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।