স্বপ্নের পদ্মা সেতু : আর ৮ দিন

৫টি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র ৮ দিন বাকি। তাই প্রকল্প এলাকায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি পদ্মা সেতু এলাকায় ৫টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে সুধি সমাবেশ, সেতুর টোল প্রদাশ কার্যক্রম উদ্বোধন, মাওয়া প্রান্তে সেতুর ফলক উন্মোচন, জাজিরা প্রান্তে সেতুর ফলক উন্মোচন ও কাঁঠালবাড়ীর জনসভায় ভাষণ দেবেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সব অনুষ্ঠানের স্যানেটেশন ও সুপেয় পানি সরবরাহ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কাঁঠালবাড়ীতে ১০-১৫ লাখ মানুষের জনসভায় সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ীর ঘাটে জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে। বিশাল এই জনসভায় আগত মানুষদের সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনসহ সব ধরনের সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। জনসভায় উপস্থিত মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দুটি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি জলাধার থেকে ৫০০টি ট্যাপের মাধ্যমে ওয়াটার সাপ্লাই স্থাপন করা হবে। এছাড়া গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ ৫০০ টয়লেট স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

পদ্মা সেতু বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘খরস্রোতা আমাজন নদীর ওপর কেউ সেতু করার সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তার দৃঢ়চেতা মনোবল এবং অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এই সেতু আমাদের গর্বের ও অহংকারের।’

এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ১৭ জিলকদ ১৪৪৩

স্বপ্নের পদ্মা সেতু : আর ৮ দিন

৫টি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র ৮ দিন বাকি। তাই প্রকল্প এলাকায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি পদ্মা সেতু এলাকায় ৫টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে সুধি সমাবেশ, সেতুর টোল প্রদাশ কার্যক্রম উদ্বোধন, মাওয়া প্রান্তে সেতুর ফলক উন্মোচন, জাজিরা প্রান্তে সেতুর ফলক উন্মোচন ও কাঁঠালবাড়ীর জনসভায় ভাষণ দেবেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সব অনুষ্ঠানের স্যানেটেশন ও সুপেয় পানি সরবরাহ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কাঁঠালবাড়ীতে ১০-১৫ লাখ মানুষের জনসভায় সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ীর ঘাটে জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে। বিশাল এই জনসভায় আগত মানুষদের সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনসহ সব ধরনের সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। জনসভায় উপস্থিত মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দুটি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি জলাধার থেকে ৫০০টি ট্যাপের মাধ্যমে ওয়াটার সাপ্লাই স্থাপন করা হবে। এছাড়া গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ ৫০০ টয়লেট স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

পদ্মা সেতু বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘খরস্রোতা আমাজন নদীর ওপর কেউ সেতু করার সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তার দৃঢ়চেতা মনোবল এবং অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এই সেতু আমাদের গর্বের ও অহংকারের।’

এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।