চিঠি : চবির শাটলে সিট দখলের অপসংস্কৃতি

চবির শাটলে সিট দখলের অপসংস্কৃতি

শাটল ট্রেন হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে শাটল ট্রেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাধারণত যেসব শিক্ষার্থী শহর থেকে এসে ক্যাম্পাসে ক্লাস করে অথবা শহরে টিউশনির জন্য যাতায়াত করে এই শাটলই তাদের একমাত্র ভরসা। অধিকাংশ সময়েই শাটলে প্রচুর ভিড় থাকে। ভিড়, কোলাহল, গরম এসব কিছু সহ্য করেই অনেক শিক্ষার্থী পুরোটা পথ শাটলে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দেয়।

অনেক সময় দেখা যায় ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পূর্বে এসেও কেউ সিট পাচ্ছেনা। অথচ বগিতে গুটিকয়েক মানুষ। এর কারণ হলো, যারা সিট পায় তারা প্রত্যেকেই আরো দু-তিনটা সিট ব্যাগ, বই, খাতা প্রভৃতি দিয়ে দখল করে রাখে। কেউ বসতে গেলে বলা হয় এই সিটে মানুষ আছে। কখনো কখনো সিট দখলের জবাবদিহিতা ঝগড়া পর্যন্ত গড়ায়।

এখন প্রশ্ন উঠছে, শাটল তো সব শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এবং বর্তমানে শাটলে রাজনৈতিক প্রভাবও দেখা যায় না-তাহলে সিট খালি পেয়েও কেন শিক্ষার্থীরা বসার অধিকার পাচ্ছে না? এই সিট দখল কালচার আদৌ কি যুক্তিযুক্ত? সঠিকভাবে বললে যে আগে আসবে সেই সিট পাবে। সিট দখলের এই প্রবণতা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ বিষয়ে শাটলের কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপ্রতিনিধিদের নজর দেয়া উচিত। বিষয়টির সুন্দর সমাধান বের করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমানো হবে এটাই প্রত্যাশা ।

দেওয়ান রহমান

টাকার দুর্দিন

বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক বলে, এক ডলারে ৯৩ টাকা- জনগণ ডলার কিনতে গেলে লাগে একশ’ টাকা। এদিকে ভারতে এক ডলার সমান প্রায় আশি টাকা ছুঁইছুঁই। আমার ছাত্র জীবনে দেখেছি ২০ টাকা দিলে ১ ডলার মিলত। তারপর কেটে গেছে ৫০টি বছর। দিন যতই যাচ্ছে ‘জলের দরে টাকা হচ্ছে’। প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে যেভাবে টাকার দাম কমছে তাতে শত টাকা পেরিয়ে যেয়ে এগিয়ে চলতেই থাকবে। টাকার দাম এভাবে পড়তে থাকলে দেশ চালকদের মুখবন্ধ, টুইটার হ্যান্ডেলও নীরব রইবে। হয়তো কর্তৃপক্ষ এসবের কোন খবরই রাখেন না, অথবা টাকার দাম কমাকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বই দেন না। ডলারের মূল্য বহুদূর এগিয়ে গেছে। সবাই নিশ্চুপ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের দুনিয়াজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের অভিযানে বাংলাদেশকে যত বেশি সহযোগী করে তোলা হচ্ছে ততই ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য পতন ঘটছে। বর্তমানে এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টাকার। বাজারের ডলারের চাহিদা বাড়লে এবং ডলারের জোগান কমলে ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ে। বাংলাদেশে এখন সেটাই ঘটছে। তেলসহ বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। আবার আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে বাড়ছে সুদের হার। দেশের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীরা লগ্নি তুলে চলে যাচ্ছে আমেরিকায়। ফলে ডলারের জোগান শূন্য হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই টাকার দাম হু হু করে কমছে। টাকার দাম কমা মানে মূল্যবৃদ্ধির জোরালো ইন্ধন। তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণও কঠিন হয়ে যাবে।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

আরও খবর

শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ১৭ জিলকদ ১৪৪৩

চিঠি : চবির শাটলে সিট দখলের অপসংস্কৃতি

চবির শাটলে সিট দখলের অপসংস্কৃতি

শাটল ট্রেন হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে শাটল ট্রেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাধারণত যেসব শিক্ষার্থী শহর থেকে এসে ক্যাম্পাসে ক্লাস করে অথবা শহরে টিউশনির জন্য যাতায়াত করে এই শাটলই তাদের একমাত্র ভরসা। অধিকাংশ সময়েই শাটলে প্রচুর ভিড় থাকে। ভিড়, কোলাহল, গরম এসব কিছু সহ্য করেই অনেক শিক্ষার্থী পুরোটা পথ শাটলে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দেয়।

অনেক সময় দেখা যায় ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পূর্বে এসেও কেউ সিট পাচ্ছেনা। অথচ বগিতে গুটিকয়েক মানুষ। এর কারণ হলো, যারা সিট পায় তারা প্রত্যেকেই আরো দু-তিনটা সিট ব্যাগ, বই, খাতা প্রভৃতি দিয়ে দখল করে রাখে। কেউ বসতে গেলে বলা হয় এই সিটে মানুষ আছে। কখনো কখনো সিট দখলের জবাবদিহিতা ঝগড়া পর্যন্ত গড়ায়।

এখন প্রশ্ন উঠছে, শাটল তো সব শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এবং বর্তমানে শাটলে রাজনৈতিক প্রভাবও দেখা যায় না-তাহলে সিট খালি পেয়েও কেন শিক্ষার্থীরা বসার অধিকার পাচ্ছে না? এই সিট দখল কালচার আদৌ কি যুক্তিযুক্ত? সঠিকভাবে বললে যে আগে আসবে সেই সিট পাবে। সিট দখলের এই প্রবণতা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ বিষয়ে শাটলের কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপ্রতিনিধিদের নজর দেয়া উচিত। বিষয়টির সুন্দর সমাধান বের করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমানো হবে এটাই প্রত্যাশা ।

দেওয়ান রহমান

টাকার দুর্দিন

বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক বলে, এক ডলারে ৯৩ টাকা- জনগণ ডলার কিনতে গেলে লাগে একশ’ টাকা। এদিকে ভারতে এক ডলার সমান প্রায় আশি টাকা ছুঁইছুঁই। আমার ছাত্র জীবনে দেখেছি ২০ টাকা দিলে ১ ডলার মিলত। তারপর কেটে গেছে ৫০টি বছর। দিন যতই যাচ্ছে ‘জলের দরে টাকা হচ্ছে’। প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে যেভাবে টাকার দাম কমছে তাতে শত টাকা পেরিয়ে যেয়ে এগিয়ে চলতেই থাকবে। টাকার দাম এভাবে পড়তে থাকলে দেশ চালকদের মুখবন্ধ, টুইটার হ্যান্ডেলও নীরব রইবে। হয়তো কর্তৃপক্ষ এসবের কোন খবরই রাখেন না, অথবা টাকার দাম কমাকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বই দেন না। ডলারের মূল্য বহুদূর এগিয়ে গেছে। সবাই নিশ্চুপ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের দুনিয়াজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের অভিযানে বাংলাদেশকে যত বেশি সহযোগী করে তোলা হচ্ছে ততই ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য পতন ঘটছে। বর্তমানে এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টাকার। বাজারের ডলারের চাহিদা বাড়লে এবং ডলারের জোগান কমলে ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ে। বাংলাদেশে এখন সেটাই ঘটছে। তেলসহ বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। আবার আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে বাড়ছে সুদের হার। দেশের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীরা লগ্নি তুলে চলে যাচ্ছে আমেরিকায়। ফলে ডলারের জোগান শূন্য হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই টাকার দাম হু হু করে কমছে। টাকার দাম কমা মানে মূল্যবৃদ্ধির জোরালো ইন্ধন। তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণও কঠিন হয়ে যাবে।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা