আম-কাঁঠাল-লিচুর বাজার জমজমাট

রাস্তায় বিকিকিনি, দুর্ঘটনার শঙ্কা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। সড়ক দখল করে চলছে এ ব্যবসা। মৌসুমে পুরোদমে বাজারে আসতে শুরু করেছে আমরূপালী, হিমসাগর, লেঙরা, হাঁড়ীভাঙ্গা, লটনা, রতœা, ফজলীসহ বিভিন্ন প্রজাতির আমের। চাহিদা বেশি আমরূপালী, হিমসাগর, হাঁড়ীভাঙ্গা, লেঙরা আমের। মানুষের নজরও কাড়ে।

পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়ি করে, বিভিন্ন ফুটপাতের মোড়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। পৌরশহরের মধ্যবাজারস্থ ঈদগাঁ রোডে ভোর থেকে সকাল ১০/১১ টা পর্যন্ত পাইকার হইতে দরকষাকষির মাধ্যমে ক্রেতারা এই আম কিনে নিয়ে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।

এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও গ্রামাঞ্চলের আম এখানে নিয়ে বসে। পাশাপাশি নজর কাড়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল, জাম, লেচু, আনারস, তালসহ বিভিন্ন মৌসুমীফল পাওয়া যাচ্ছে। ভ্যান গাড়ি করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সোহাগ মিয়া, মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকার মোঃ ডালিম মিয়া বলেন, আড়ৎদার হইতে আমরা আম ক্রয় করে ভ্যান গাড়ি করে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছি। কিন্তু এবার আম কিনে বেশি লাভবান নয়! বেশি কাংশই আম পঁচে যাচ্ছে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশি। বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের সুমন তালুকদার, রহমান ফল ভান্ডারের মোঃ আল আমিন বলেন, এবার পর্যাপ্ত বিভিন্ন প্রজাতির আম নিয়েছি।

বেচাকেনা কম। শঙ্কায় আছি। তার আম পঁচে যাচ্ছে। ফুটপাতের ব্যবসায়ী শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আসা সোহেল মিয়া ও আখলাস মিয়া বলেন, খুচরা বাজারে আম রূপালী কেজি দরে ৭০/৮০টাকা, হিমসাগর কেজি দরে ৫০/৬০টাকা, লেঙরা কেজি দরে ৭০/৮০টাকা, হাঁড়ীভাঙ্গা কেজি দরে ৭০/৮০টাকা, লটনা কেজি দরে ৪০/৫০টাকা, রতœা কেজি দরে ৫০/৬০টাকা, ফজলী কেজি দরে ৪০/৫০টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

সবুজ মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এলাকার নামের চাহিদা কম, কারণ আমের ভিতরে পোকা থাকে। পাশাপাশি কাঁঠাল, জাম, লেচু, আনারস বিক্রি করে থাকি। নোমান আহমেদ নামে একজন বলেন, সড়কের পাশে দখল করে ফুটপাতের ব্যবসায় মানুষ হাঁটাচলা করতে পারছে না। তার উপর পৌরশহরে অহরহ যান চলাচল করছে।

এতে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা অতি প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, এ বিষয়ে শিগগিরই অবৈধভাবে সড়ক দখল করে রাখা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ১৮ জিলকদ ১৪৪৩

আম-কাঁঠাল-লিচুর বাজার জমজমাট

রাস্তায় বিকিকিনি, দুর্ঘটনার শঙ্কা

প্রতিনিধি, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)

image

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : সড়কের ফুটপাত দখল করে আমারে দোকান -সংবাদ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। সড়ক দখল করে চলছে এ ব্যবসা। মৌসুমে পুরোদমে বাজারে আসতে শুরু করেছে আমরূপালী, হিমসাগর, লেঙরা, হাঁড়ীভাঙ্গা, লটনা, রতœা, ফজলীসহ বিভিন্ন প্রজাতির আমের। চাহিদা বেশি আমরূপালী, হিমসাগর, হাঁড়ীভাঙ্গা, লেঙরা আমের। মানুষের নজরও কাড়ে।

পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়ি করে, বিভিন্ন ফুটপাতের মোড়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। পৌরশহরের মধ্যবাজারস্থ ঈদগাঁ রোডে ভোর থেকে সকাল ১০/১১ টা পর্যন্ত পাইকার হইতে দরকষাকষির মাধ্যমে ক্রেতারা এই আম কিনে নিয়ে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।

এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও গ্রামাঞ্চলের আম এখানে নিয়ে বসে। পাশাপাশি নজর কাড়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল, জাম, লেচু, আনারস, তালসহ বিভিন্ন মৌসুমীফল পাওয়া যাচ্ছে। ভ্যান গাড়ি করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সোহাগ মিয়া, মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকার মোঃ ডালিম মিয়া বলেন, আড়ৎদার হইতে আমরা আম ক্রয় করে ভ্যান গাড়ি করে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছি। কিন্তু এবার আম কিনে বেশি লাভবান নয়! বেশি কাংশই আম পঁচে যাচ্ছে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশি। বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের সুমন তালুকদার, রহমান ফল ভান্ডারের মোঃ আল আমিন বলেন, এবার পর্যাপ্ত বিভিন্ন প্রজাতির আম নিয়েছি।

বেচাকেনা কম। শঙ্কায় আছি। তার আম পঁচে যাচ্ছে। ফুটপাতের ব্যবসায়ী শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আসা সোহেল মিয়া ও আখলাস মিয়া বলেন, খুচরা বাজারে আম রূপালী কেজি দরে ৭০/৮০টাকা, হিমসাগর কেজি দরে ৫০/৬০টাকা, লেঙরা কেজি দরে ৭০/৮০টাকা, হাঁড়ীভাঙ্গা কেজি দরে ৭০/৮০টাকা, লটনা কেজি দরে ৪০/৫০টাকা, রতœা কেজি দরে ৫০/৬০টাকা, ফজলী কেজি দরে ৪০/৫০টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

সবুজ মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এলাকার নামের চাহিদা কম, কারণ আমের ভিতরে পোকা থাকে। পাশাপাশি কাঁঠাল, জাম, লেচু, আনারস বিক্রি করে থাকি। নোমান আহমেদ নামে একজন বলেন, সড়কের পাশে দখল করে ফুটপাতের ব্যবসায় মানুষ হাঁটাচলা করতে পারছে না। তার উপর পৌরশহরে অহরহ যান চলাচল করছে।

এতে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা অতি প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, এ বিষয়ে শিগগিরই অবৈধভাবে সড়ক দখল করে রাখা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।