ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-হয়রানির অভিযোগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউপি সচিব জোসনা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সকল কাজকর্মে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। যথাসময়ে কাগজপত্র না পেয়ে জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ।

সরেজমিনে জানা যায়, ল্যাপটব, প্রিন্টার, স্ক্যানার ও কম্পিউটার থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে কাজ না জানা ইউপি সচিব জোসনা বেগম বিভিন্ন দোকান থেকে অফিসিয়াল কাজ করেন। অফিস চলাকালে কোন কাগজপত্র নিতে আসলে তিনি লিখে রাখেন।

সার্ভার ও নেট সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে অনেককে ৭ দিন পর যোগাযোগ করতে বলে। এ সুযোগে তার বাড়ি ও দোকান থেকে কাগজপত্র প্রিন্ট করে রাখেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিতর্কিত ইউপি সচিব জোসনা বেগম নতুন জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনসহ বিভিন্ন সনদে তিনি ৫শ’ টাকা ফি আদায় করেন। এছাড়া ও অধিক টাকার বিনিময়ে নাবালিকা মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিবাহকে সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন ভাবে প্রতিদিন ১০/১২ হাজার টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে লোকজনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

যাত্রাপুর গ্রামের পাপিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামীর জন্ম সনদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করলে ইউপি সচিব জোসনা বেগম ৫শ’ টাকা দাবি করে। জরুরী প্রয়োজনে ৫শ’ টাকা দিয়ে জন্মসনদ সংগ্রহ করি।

মোচাগড়া গ্রামের জুলেখা বেগম জানান, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নিতে সচিবকে ৫শ’ টাকার মধ্যে ৪০ টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমাকে ১৫ দিন ঘুরিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সচিব জোসনা বেগম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সার্ভার ও নেট সমস্যার কারণে আমি অফিসে কাজ করতে পারি না। অফিসের কাজগুলো আমি বাসায় নিয়ে প্রিন্ট করে পরবর্তীতে সেবা গ্রহিতাদের কাছে পৌঁছে দেই।

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ১৮ জিলকদ ১৪৪৩

ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউপি সচিব জোসনা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সকল কাজকর্মে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। যথাসময়ে কাগজপত্র না পেয়ে জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ।

সরেজমিনে জানা যায়, ল্যাপটব, প্রিন্টার, স্ক্যানার ও কম্পিউটার থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে কাজ না জানা ইউপি সচিব জোসনা বেগম বিভিন্ন দোকান থেকে অফিসিয়াল কাজ করেন। অফিস চলাকালে কোন কাগজপত্র নিতে আসলে তিনি লিখে রাখেন।

সার্ভার ও নেট সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে অনেককে ৭ দিন পর যোগাযোগ করতে বলে। এ সুযোগে তার বাড়ি ও দোকান থেকে কাগজপত্র প্রিন্ট করে রাখেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিতর্কিত ইউপি সচিব জোসনা বেগম নতুন জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনসহ বিভিন্ন সনদে তিনি ৫শ’ টাকা ফি আদায় করেন। এছাড়া ও অধিক টাকার বিনিময়ে নাবালিকা মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিবাহকে সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন ভাবে প্রতিদিন ১০/১২ হাজার টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে লোকজনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

যাত্রাপুর গ্রামের পাপিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামীর জন্ম সনদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করলে ইউপি সচিব জোসনা বেগম ৫শ’ টাকা দাবি করে। জরুরী প্রয়োজনে ৫শ’ টাকা দিয়ে জন্মসনদ সংগ্রহ করি।

মোচাগড়া গ্রামের জুলেখা বেগম জানান, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নিতে সচিবকে ৫শ’ টাকার মধ্যে ৪০ টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমাকে ১৫ দিন ঘুরিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সচিব জোসনা বেগম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সার্ভার ও নেট সমস্যার কারণে আমি অফিসে কাজ করতে পারি না। অফিসের কাজগুলো আমি বাসায় নিয়ে প্রিন্ট করে পরবর্তীতে সেবা গ্রহিতাদের কাছে পৌঁছে দেই।