ভয় নেই আমরা পাশে আছি, বন্যার্তদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইতোমধ্যে ২০০ টন চাল, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে

বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সিলেট। ভোগান্তির শিকার এ জেলার লাখো মানুষ। এ খবর ক’দিন থেকেই ঢাকায় বসে দেখছিলেন নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সিলেট এলাকায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দীদের উদ্ধারে নৌকা ও স্পিডবোট পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই পানিবন্দী হয়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে আমরা আর্মি নিয়োগ করেছি। নৌকা ও স্পিডবোট সংগ্রহ করা হচ্ছে। সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করে আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। ধৈর্য ধরুন, সবাইকে উদ্ধার করবো। ভয় নেই, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’

গতকাল ফেইসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ও আজ সকাল থেকে সিলেটের নেতাকর্মীরা কন্টিনিউয়াসলি আমাকে জানাচ্ছেন, সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ, ছাতক, সদরের জালালাবাদ, হাটখোলা, কান্দিরগাঁও, মোংলাগাঁও টোকেরগাঁও সব এলাকায় যথেষ্ট পানি উঠেছে। এ নিয়ে আমাকে ডিসি, মেয়র ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন। এটা জানার পর যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছি।’

ফেইসবুক লাইভে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানার পরপরই প্রধানমন্ত্রী, আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, সংশ্লিষ্ট আর্মি অফিসার, দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের রিলিফের কোন অভাব নেই। যথেষ্ট রিলিফ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। আর শুকনো খাবারও দেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে সিলেটে ২০০ টন চাল, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পাঠানো হবে।’ এ সময় মন্ত্রী স্থানীয় নেতাকর্মীদের খাবার রান্না করে নিয়ে বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

ড. মোমেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ইলেকট্রিসিটির সমস্যাও সমাধান করা যায়নি। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে এ সমস্যা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সার্বক্ষণিক এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। আপনাদের ভয় নেই, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের সব প্রশাসন কাজ করছে। আপনারা বিশ্বাস রাখতে পারেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।’

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ১৮ জিলকদ ১৪৪৩

ভয় নেই আমরা পাশে আছি, বন্যার্তদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইতোমধ্যে ২০০ টন চাল, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সিলেট। ভোগান্তির শিকার এ জেলার লাখো মানুষ। এ খবর ক’দিন থেকেই ঢাকায় বসে দেখছিলেন নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সিলেট এলাকায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দীদের উদ্ধারে নৌকা ও স্পিডবোট পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই পানিবন্দী হয়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে আমরা আর্মি নিয়োগ করেছি। নৌকা ও স্পিডবোট সংগ্রহ করা হচ্ছে। সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করে আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। ধৈর্য ধরুন, সবাইকে উদ্ধার করবো। ভয় নেই, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’

গতকাল ফেইসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ও আজ সকাল থেকে সিলেটের নেতাকর্মীরা কন্টিনিউয়াসলি আমাকে জানাচ্ছেন, সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ, ছাতক, সদরের জালালাবাদ, হাটখোলা, কান্দিরগাঁও, মোংলাগাঁও টোকেরগাঁও সব এলাকায় যথেষ্ট পানি উঠেছে। এ নিয়ে আমাকে ডিসি, মেয়র ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন। এটা জানার পর যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছি।’

ফেইসবুক লাইভে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানার পরপরই প্রধানমন্ত্রী, আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, সংশ্লিষ্ট আর্মি অফিসার, দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের রিলিফের কোন অভাব নেই। যথেষ্ট রিলিফ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। আর শুকনো খাবারও দেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে সিলেটে ২০০ টন চাল, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পাঠানো হবে।’ এ সময় মন্ত্রী স্থানীয় নেতাকর্মীদের খাবার রান্না করে নিয়ে বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

ড. মোমেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ইলেকট্রিসিটির সমস্যাও সমাধান করা যায়নি। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে এ সমস্যা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সার্বক্ষণিক এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। আপনাদের ভয় নেই, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের সব প্রশাসন কাজ করছে। আপনারা বিশ্বাস রাখতে পারেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।’