ডেমরায় চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানী ডেমরার বাদশা মিয়া রোডের ৬ নম্বর গলিতে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম রাকিবুর রহমান রাকিব (৩৫)। গতকাল ভোরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে এ ঘটনা ঘটে। ডেমরা থানা পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় রাকিবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভোর বেলায় রাকিব কেন ওখানে গিয়েছেন, সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি তার পরিবার। থানা পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে এটা সত্য। তবে সে চোর ছিল কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত রাকিবের ভাগিনা জুবায়ের আলী জানান, ডেমরা বামৈল পাইটি এলাকায় রাকিবদের নিজেদের বাড়ি। রাকিব তেমন কিছুই করতেন না। স্ত্রী মুন্নি আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে বাসায় থাকতেন। ভোর বেলায় জানতে পারি, বাদশা মিয়া রোড এলাকায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ও মারধর করে মামাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জানতে পারি, মামার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তারা দু’জন মিলে সেখানে নির্মাণাধীন ভবনে নাকি চুরি করতে গিয়েছেন। পরে সেখানে থাকা শ্রমিকরা তাকে ধরে চোর সন্দেহে মারধর করে। এ সময় মামার সঙ্গে থাকা আরেকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু আসল ঘটনা কী তা জানা যায়নি। জুবায়ের জানান, মামা রাতের বেলায় বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতেন। সকালে বাসায় ফিরতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেও বাসা থেকে বের হন। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মাদক ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

তবে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান জানান, বাদশা মিয়া রোডে একটি ভবন হচ্ছে। নির্মাণাধীন ওই ভবনে থাকতেন ভবনের কাজ করা শ্রমিকরা। গতকাল ভোরে সেখানে যায় রাকিব, এ সময় শ্রমিকদের কাছে রাকিবের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তারা রাকিবকে আটক করে মারধর করে। এ সময় রাকিবের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আটক নাজমুল ও শাহিনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তারা দু’জন রাকিবকে মারধর করেছে বলে প্রাথামিকভাবে স্বীকার করেছে। আরও ছয়জন ছিলেন, তারাও রাকিবকে মারধর করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, রাকিব চোর ছিল কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা রয়েছে কি-না, সেটিও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ১৮ জিলকদ ১৪৪৩

ডেমরায় চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানী ডেমরার বাদশা মিয়া রোডের ৬ নম্বর গলিতে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম রাকিবুর রহমান রাকিব (৩৫)। গতকাল ভোরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে এ ঘটনা ঘটে। ডেমরা থানা পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় রাকিবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভোর বেলায় রাকিব কেন ওখানে গিয়েছেন, সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি তার পরিবার। থানা পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে এটা সত্য। তবে সে চোর ছিল কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত রাকিবের ভাগিনা জুবায়ের আলী জানান, ডেমরা বামৈল পাইটি এলাকায় রাকিবদের নিজেদের বাড়ি। রাকিব তেমন কিছুই করতেন না। স্ত্রী মুন্নি আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে বাসায় থাকতেন। ভোর বেলায় জানতে পারি, বাদশা মিয়া রোড এলাকায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ও মারধর করে মামাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জানতে পারি, মামার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তারা দু’জন মিলে সেখানে নির্মাণাধীন ভবনে নাকি চুরি করতে গিয়েছেন। পরে সেখানে থাকা শ্রমিকরা তাকে ধরে চোর সন্দেহে মারধর করে। এ সময় মামার সঙ্গে থাকা আরেকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু আসল ঘটনা কী তা জানা যায়নি। জুবায়ের জানান, মামা রাতের বেলায় বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতেন। সকালে বাসায় ফিরতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেও বাসা থেকে বের হন। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মাদক ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

তবে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান জানান, বাদশা মিয়া রোডে একটি ভবন হচ্ছে। নির্মাণাধীন ওই ভবনে থাকতেন ভবনের কাজ করা শ্রমিকরা। গতকাল ভোরে সেখানে যায় রাকিব, এ সময় শ্রমিকদের কাছে রাকিবের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তারা রাকিবকে আটক করে মারধর করে। এ সময় রাকিবের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আটক নাজমুল ও শাহিনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তারা দু’জন রাকিবকে মারধর করেছে বলে প্রাথামিকভাবে স্বীকার করেছে। আরও ছয়জন ছিলেন, তারাও রাকিবকে মারধর করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, রাকিব চোর ছিল কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা রয়েছে কি-না, সেটিও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।