আসামি ছাড়াতে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ

পটুয়াখালীতে আসামি ছিনিয়ে আনতে মহিপুর থানাভবন ঘেরাও করে তিন শতাধিক জনতা। ঘেরাওকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন এবং পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবদুল জলিল ঘরামীর ছোট ভাই মো. খলিল ঘরামীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন সমর্থক গত বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আবুল হোসেন কাজীর সমর্থক কবির মোল্লাকে বেধড়ক মারধর করেন। বর্তমানে কবির মোল্লা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী মোসা. শিউলী বেগম বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে খলিল ঘরামীকে প্রধান আসামি করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ প্রধান আসামি খলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করে। পরে আবদুল জলিল ঘরামী থানায় গিয়ে তার ভাই খলিল ঘরামীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তার সমর্থিত লোকজনকে থানা ঘেরাও করার নির্দেশ দেন। পরে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিন শতাধিক জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ভবন ঘেরাও করে। তাদের ঘেরাও কর্মসূচি ভ-ুল করতে পুলিশ বার বার অনুরোধ করলেও ঘেরাওকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ঘেরাওকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে ঘেরাওকারীরা ইট নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের নারী সদস্য নাহার, এসআই আবদুল হালিম, সদস্য ওবায়দুল মিলন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এসআই আবদুল হালিমকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘেরাওকারীদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।

মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সংহিসতার মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর তার ভাইয়ের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। দুপুর থেকে ঘেরাও করে রাখলেও বিকেল পর্যন্ত তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশ তাদের বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ১৮ জিলকদ ১৪৪৩

আসামি ছাড়াতে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ

প্রতিনিধি, কুয়াকাটা

পটুয়াখালীতে আসামি ছিনিয়ে আনতে মহিপুর থানাভবন ঘেরাও করে তিন শতাধিক জনতা। ঘেরাওকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন এবং পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবদুল জলিল ঘরামীর ছোট ভাই মো. খলিল ঘরামীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন সমর্থক গত বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আবুল হোসেন কাজীর সমর্থক কবির মোল্লাকে বেধড়ক মারধর করেন। বর্তমানে কবির মোল্লা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী মোসা. শিউলী বেগম বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে খলিল ঘরামীকে প্রধান আসামি করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ প্রধান আসামি খলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করে। পরে আবদুল জলিল ঘরামী থানায় গিয়ে তার ভাই খলিল ঘরামীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তার সমর্থিত লোকজনকে থানা ঘেরাও করার নির্দেশ দেন। পরে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিন শতাধিক জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ভবন ঘেরাও করে। তাদের ঘেরাও কর্মসূচি ভ-ুল করতে পুলিশ বার বার অনুরোধ করলেও ঘেরাওকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ঘেরাওকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে ঘেরাওকারীরা ইট নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের নারী সদস্য নাহার, এসআই আবদুল হালিম, সদস্য ওবায়দুল মিলন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এসআই আবদুল হালিমকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘেরাওকারীদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।

মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সংহিসতার মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর তার ভাইয়ের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। দুপুর থেকে ঘেরাও করে রাখলেও বিকেল পর্যন্ত তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশ তাদের বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।