উখিয়া ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, আটক ২

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পৃথক অভিযানে একটি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তলসহ ৬টি অস্ত্র, ৫০০ রাউন্ড গুলি এবং ৬ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত ক্যাম্প কমান্ডার (এএসপি) কামরান হোসেন জানান, গতকাল মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ জন দুষ্কৃতিকারী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্প-১৮ থেকে ক্যাম্প-২০ এর দিকে যাওয়ার সংবাদে অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও একটি নীল রং এর ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যাগটি তল্লাশী করে ১টি এসল্ট রাইফেল ৪৯১ রাউন্ড ৫.৫৬ এম.এম. গুলি পাওয়া যায়।

তিনি জানান, অভিযানে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি (৩ রাউন্ড পিস্তল এবং ২ রাউন্ড শটগান) ছোড়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পরপরই সব ক্যাম্পসমূহে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২ জনকে আটক করা সম্ভব হয়।

আটকরা হলেন, ক্যাম্প ১৫ এর মোহাম্মদ হোসেন (৩০) ও জাহেদ হোসেন (৩০)। তাদের কাছে পাওয়া যায়, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড ৭.৬৫ এম. এম. তাজা গুলি এবং ৬ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প এলাকায় অভিযান পাহাড়ি গুহা থেকে ৪টি দেশীয় ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে ১৬ এপিবিএন। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি এপিবিএন।

১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, গোপনে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে প্রশিক্ষিত কমান্ডো টিমসহ ৮০ জন অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি অভিযানিক দল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের নুরালীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাহাড়ি এলাকায় গুহার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদলের লুকিয়ে রাখা ৪টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ১৮ জিলকদ ১৪৪৩

উখিয়া ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, আটক ২

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পৃথক অভিযানে একটি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তলসহ ৬টি অস্ত্র, ৫০০ রাউন্ড গুলি এবং ৬ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত ক্যাম্প কমান্ডার (এএসপি) কামরান হোসেন জানান, গতকাল মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ জন দুষ্কৃতিকারী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্প-১৮ থেকে ক্যাম্প-২০ এর দিকে যাওয়ার সংবাদে অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও একটি নীল রং এর ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যাগটি তল্লাশী করে ১টি এসল্ট রাইফেল ৪৯১ রাউন্ড ৫.৫৬ এম.এম. গুলি পাওয়া যায়।

তিনি জানান, অভিযানে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি (৩ রাউন্ড পিস্তল এবং ২ রাউন্ড শটগান) ছোড়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পরপরই সব ক্যাম্পসমূহে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২ জনকে আটক করা সম্ভব হয়।

আটকরা হলেন, ক্যাম্প ১৫ এর মোহাম্মদ হোসেন (৩০) ও জাহেদ হোসেন (৩০)। তাদের কাছে পাওয়া যায়, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড ৭.৬৫ এম. এম. তাজা গুলি এবং ৬ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প এলাকায় অভিযান পাহাড়ি গুহা থেকে ৪টি দেশীয় ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে ১৬ এপিবিএন। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি এপিবিএন।

১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, গোপনে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে প্রশিক্ষিত কমান্ডো টিমসহ ৮০ জন অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি অভিযানিক দল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের নুরালীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাহাড়ি এলাকায় গুহার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদলের লুকিয়ে রাখা ৪টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।