অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান রিহ্যাবের

অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বাজেট সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সংগঠনটি বলছে, অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করেছেন, তাতে দেশের নির্মাণ তথা আবাসন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ‘ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ সম্পর্কিত রিহ্যাবের প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।

তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি সরকারি অর্থনৈতিক ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ উৎপাদনের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাটাই দায়ী। হঠাৎ করে বা রাতারাতি সিস্টেম পরিবর্তন করা সম্ভব না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে নিবন্ধন ব্যয় ১২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২-৩ শতাংশে নিয়ে এসে ধীরে ধীরে সিস্টেম পরিবর্তন করলে তবেই সঠিক মূল্যে রেজিস্ট্রেশন হবে এবং সার্বিক অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ বলে গণ্য করা যাবে। ঘোষিত বাজেটে পাচারকৃত টাকা দেশে আনার বিষয়ে আইন করা হয়েছে, এটি সাহসী পদক্ষেপ কিন্তু দেশ থেকে যাতে টাকা পাচার না হয় সেদিকেই আমাদের বিশেষ নজর দেয়া উচিত। বিনা প্রশ্নে উত্তম বিনিয়োগের সুযোগ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে নির্দেশিত নির্দেশনার আদলে এখন বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগী।’

রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তত দুই/তিন বছরের জন্য অপ্রদর্শিত টাকা আবাসনখাতে বিনিয়োগের সুযোগ চাই। এতে এই দু/তিন বছরের প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা করে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। এতে দেশ থেকে কোন টাকা পাচার হবে না। আবাসন খাতে বিনিয়োগ হলে এ খাত যেমন ঘুরে দাঁড়াবে, একই সঙ্গে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে। সরকার নির্মাণশিল্প থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে। যদি আবাসন সেক্টরসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলো গতিশীল থাকে, তবে বাজেটে যে প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে তা সম্ভব হবে। অর্থনীতি হবে আরও সমৃদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর নির্মাণসামগ্রীর মূল্য কী পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে? আমরা, রড, সিমেন্ট, বালু, ইট ও পাথরসহ ১০-১১টি নির্মাণসামগ্রীর ওপর স্টাডি করে দেখেছি কয়েক মাসের মূল্যবৃদ্ধিতে নতুন ও নির্মাণাধীন প্রকল্পসমূহে প্রতি বর্গফুটের নির্মাণব্যয় প্রায় ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেলে প্রতি বর্গফুটের জন্য গ্রাহককে বাড়তি বহন করতে হবে প্রায় এক হাজার টাকা। কারণ আমরা ডেভেলপাররা অধিকাংশ জমিগ্রহণ করি ৫০:৫০ রেশিওতে (অনুপাতে)। বাড়তি এই দাম ‘সবার জন্য আবাসন’ এই শ্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং অনেকের আবাসনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’

এ সময় রিহ্যাব সভাপতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে লিফটের কর ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর (এটি) ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে লিফট আমদানিতে শুল্ক কর ১১ থেকে এক লাফে ১৯ শতাংশ বেড়ে ৩০ শতাংশে উঠেছে। হঠাৎ করে এই মূল্যবৃদ্ধি ফ্ল্যাটের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে।’

রিহ্যাব জানায়, আবাসন খাতের অন্যতম প্রধান উপকরণ এমএস (নরম ইস্পাতের) রড। গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় এই রডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রডের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা চেয়েছিলাম ইস্পাতের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কর কমানো হোক। সেটি না করে উল্টো বিক্রয় পর্যায়ে প্রতি টন বিলেট (রড-ইস্পাত উৎপাদনের কাঁচামাল) ও রডের ওপর ২০০ টাকা করে মূসক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে রডের দাম আরও বাড়বে।’

সংগঠনটি আরও জানায়, ‘এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তারের বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার বিভিন্ন ধরনের পাইপের ক্ষেত্রে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, জিআই ফিটিংসের বিপরীতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, টিউবসহ একই জাতীয় অন্যান্য পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পণ্যটির ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপিত ছিল না। কিন্তু ঘোষিত বাজেটে এর ওপরও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।’

রিহ্যাব নেতারা বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটের বাড়তি চাপ আমাদের সংকটকে আরও বৃদ্ধি করবে এবং এই সেক্টর আরও ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে যাবে। এর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত দুই কোটি মানুষের আয়ের এ খাতটি আরও মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। দেশের উন্নয়ন ও মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের স্বার্থে আমরা আবাসন খাতকে গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই। মানুষ নিরাপদে থাকার জন্য, মাথা গোজার জন্য একটা আবাসন চায়। সবার জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ পাস করার আগে রিহ্যাবের দাবি ও প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আবারও প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ বাজেটসংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইন্তেখাবুল হামিদ, সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল, লায়ন শরীফ আলী খান ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা।

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান রিহ্যাবের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বাজেট সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সংগঠনটি বলছে, অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করেছেন, তাতে দেশের নির্মাণ তথা আবাসন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ‘ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ সম্পর্কিত রিহ্যাবের প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।

তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি সরকারি অর্থনৈতিক ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ উৎপাদনের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাটাই দায়ী। হঠাৎ করে বা রাতারাতি সিস্টেম পরিবর্তন করা সম্ভব না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে নিবন্ধন ব্যয় ১২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২-৩ শতাংশে নিয়ে এসে ধীরে ধীরে সিস্টেম পরিবর্তন করলে তবেই সঠিক মূল্যে রেজিস্ট্রেশন হবে এবং সার্বিক অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ বলে গণ্য করা যাবে। ঘোষিত বাজেটে পাচারকৃত টাকা দেশে আনার বিষয়ে আইন করা হয়েছে, এটি সাহসী পদক্ষেপ কিন্তু দেশ থেকে যাতে টাকা পাচার না হয় সেদিকেই আমাদের বিশেষ নজর দেয়া উচিত। বিনা প্রশ্নে উত্তম বিনিয়োগের সুযোগ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে নির্দেশিত নির্দেশনার আদলে এখন বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগী।’

রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তত দুই/তিন বছরের জন্য অপ্রদর্শিত টাকা আবাসনখাতে বিনিয়োগের সুযোগ চাই। এতে এই দু/তিন বছরের প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা করে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। এতে দেশ থেকে কোন টাকা পাচার হবে না। আবাসন খাতে বিনিয়োগ হলে এ খাত যেমন ঘুরে দাঁড়াবে, একই সঙ্গে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে। সরকার নির্মাণশিল্প থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে। যদি আবাসন সেক্টরসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলো গতিশীল থাকে, তবে বাজেটে যে প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে তা সম্ভব হবে। অর্থনীতি হবে আরও সমৃদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর নির্মাণসামগ্রীর মূল্য কী পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে? আমরা, রড, সিমেন্ট, বালু, ইট ও পাথরসহ ১০-১১টি নির্মাণসামগ্রীর ওপর স্টাডি করে দেখেছি কয়েক মাসের মূল্যবৃদ্ধিতে নতুন ও নির্মাণাধীন প্রকল্পসমূহে প্রতি বর্গফুটের নির্মাণব্যয় প্রায় ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেলে প্রতি বর্গফুটের জন্য গ্রাহককে বাড়তি বহন করতে হবে প্রায় এক হাজার টাকা। কারণ আমরা ডেভেলপাররা অধিকাংশ জমিগ্রহণ করি ৫০:৫০ রেশিওতে (অনুপাতে)। বাড়তি এই দাম ‘সবার জন্য আবাসন’ এই শ্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং অনেকের আবাসনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’

এ সময় রিহ্যাব সভাপতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে লিফটের কর ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর (এটি) ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে লিফট আমদানিতে শুল্ক কর ১১ থেকে এক লাফে ১৯ শতাংশ বেড়ে ৩০ শতাংশে উঠেছে। হঠাৎ করে এই মূল্যবৃদ্ধি ফ্ল্যাটের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে।’

রিহ্যাব জানায়, আবাসন খাতের অন্যতম প্রধান উপকরণ এমএস (নরম ইস্পাতের) রড। গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় এই রডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রডের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা চেয়েছিলাম ইস্পাতের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কর কমানো হোক। সেটি না করে উল্টো বিক্রয় পর্যায়ে প্রতি টন বিলেট (রড-ইস্পাত উৎপাদনের কাঁচামাল) ও রডের ওপর ২০০ টাকা করে মূসক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে রডের দাম আরও বাড়বে।’

সংগঠনটি আরও জানায়, ‘এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তারের বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার বিভিন্ন ধরনের পাইপের ক্ষেত্রে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, জিআই ফিটিংসের বিপরীতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, টিউবসহ একই জাতীয় অন্যান্য পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পণ্যটির ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপিত ছিল না। কিন্তু ঘোষিত বাজেটে এর ওপরও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।’

রিহ্যাব নেতারা বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটের বাড়তি চাপ আমাদের সংকটকে আরও বৃদ্ধি করবে এবং এই সেক্টর আরও ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে যাবে। এর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত দুই কোটি মানুষের আয়ের এ খাতটি আরও মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। দেশের উন্নয়ন ও মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের স্বার্থে আমরা আবাসন খাতকে গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই। মানুষ নিরাপদে থাকার জন্য, মাথা গোজার জন্য একটা আবাসন চায়। সবার জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ পাস করার আগে রিহ্যাবের দাবি ও প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আবারও প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ বাজেটসংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইন্তেখাবুল হামিদ, সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল, লায়ন শরীফ আলী খান ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা।