বঙ্গবন্ধু কলেজে প্রভাষকের দুই পদে চাকরি

কলারোয়ায় এক কলেজে এক কর্মচারীর দুই পদে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য সন্তোষ কুমার পাল জানান, কলেজটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই কলেজে ১৯৯৬ সালে অসিত কুমার রায় চৌধুরী হিসাব সহকারী পদে চাকরি নেন। এরপরে ২০০৯ সালে হিসাব সহকারী পদে চাকরি করাকালিন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কর্মচারী ২০০৯ সালে ডিগ্রী অনুষদে ইতিহাস বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। অথচ অসিত রায় চৌধুরী তার প্রভাষক পদের নিয়োগের বিষয়টি মাউসি কর্তৃপক্ষকে গোপন রেখে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাব সহকারী পদে বেতন উত্তোলন করেন। ২০০৯ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ ও যোগদানের সত্বেও ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাব সহকারী পদ পরিত্যাগ না করায় প্রভাষক পদে তার উক্ত নিয়োগের আর কোন বৈধতা থাকার সুযোগ নেই। বিষয়টি বর্তমান গভর্নিং বোডির নজরে এলে উক্ত কর্মচারীকে যে কোন একটি পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার অনুরোধ করায় তিনি গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বোডির মিটিংয়ে হাজির হয়ে প্রভাষক পদ থেকে লিখিত ভাবে ইস্তফা দেন। যা গভনিং বডি কর্তৃক গৃহীত হয়। ওই সময় কলেজ রেজুলেশন বহিতে যথারীতি লিপিবদ্ধ হয়।

কিন্তু সম্প্রতি কলেজটি ডিগ্রী অনুষদ মাউশি কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত হওয়ায় কলেজ অধ্যক্ষ উক্ত হিসাব সহকারী অসিত কুমার রায় চৌধুরীর চলতি জুন মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা গ্রহণের বিষয়, প্রভাষক পদে ইস্তফাপত্র ও গভর্নিং বডির রেজুলেশনকে গোপন করে অবৈধ ভাবে ২০০৯ সাল থেকে প্রভাষক পদে তার চাকুরি দেখিয়ে এমপিওভুক্তি করার আবেদন করলে বিষিয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।

ওই কলেজর এক প্রভাষক বলেন প্রতিষ্ঠানিক চাকরীবিধি ও দেশের প্রচালিত আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে যুগোপৎ দুটি পদে অধিষ্ঠিত থাকা বেআইনী এবং চাকরি বিধিমালা পরিপন্থী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অসিত কুমার রায় চৌধুরীরকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

বঙ্গবন্ধু কলেজে প্রভাষকের দুই পদে চাকরি

প্রতিনিধি, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

কলারোয়ায় এক কলেজে এক কর্মচারীর দুই পদে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য সন্তোষ কুমার পাল জানান, কলেজটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই কলেজে ১৯৯৬ সালে অসিত কুমার রায় চৌধুরী হিসাব সহকারী পদে চাকরি নেন। এরপরে ২০০৯ সালে হিসাব সহকারী পদে চাকরি করাকালিন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কর্মচারী ২০০৯ সালে ডিগ্রী অনুষদে ইতিহাস বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। অথচ অসিত রায় চৌধুরী তার প্রভাষক পদের নিয়োগের বিষয়টি মাউসি কর্তৃপক্ষকে গোপন রেখে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাব সহকারী পদে বেতন উত্তোলন করেন। ২০০৯ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ ও যোগদানের সত্বেও ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাব সহকারী পদ পরিত্যাগ না করায় প্রভাষক পদে তার উক্ত নিয়োগের আর কোন বৈধতা থাকার সুযোগ নেই। বিষয়টি বর্তমান গভর্নিং বোডির নজরে এলে উক্ত কর্মচারীকে যে কোন একটি পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার অনুরোধ করায় তিনি গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বোডির মিটিংয়ে হাজির হয়ে প্রভাষক পদ থেকে লিখিত ভাবে ইস্তফা দেন। যা গভনিং বডি কর্তৃক গৃহীত হয়। ওই সময় কলেজ রেজুলেশন বহিতে যথারীতি লিপিবদ্ধ হয়।

কিন্তু সম্প্রতি কলেজটি ডিগ্রী অনুষদ মাউশি কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত হওয়ায় কলেজ অধ্যক্ষ উক্ত হিসাব সহকারী অসিত কুমার রায় চৌধুরীর চলতি জুন মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা গ্রহণের বিষয়, প্রভাষক পদে ইস্তফাপত্র ও গভর্নিং বডির রেজুলেশনকে গোপন করে অবৈধ ভাবে ২০০৯ সাল থেকে প্রভাষক পদে তার চাকুরি দেখিয়ে এমপিওভুক্তি করার আবেদন করলে বিষিয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।

ওই কলেজর এক প্রভাষক বলেন প্রতিষ্ঠানিক চাকরীবিধি ও দেশের প্রচালিত আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে যুগোপৎ দুটি পদে অধিষ্ঠিত থাকা বেআইনী এবং চাকরি বিধিমালা পরিপন্থী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অসিত কুমার রায় চৌধুরীরকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।