পদ্মা পাড়ের জনসভায় যুক্ত হবে ১৭ কোটি মানুষ

জলে ও স্থলে দুই পথেই নিরাপত্তা জোরদার

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতির কাজ। উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর দুই পাড়ে নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা। জলে ও স্থলে দুই পথেই নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ যুক্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিন পরির্দশনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম?্যান কমডোর গোলাম সাদেক এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সতর্ক থাকতে হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশীয় ষড়যন্ত্র ছিল, তাই উদ্বোধনের সময় ষড়যন্ত্র হতে পারে। সবাই আশঙ্কা করছে উদ্বোধনের সময় ষড়যন্ত্র হতে পারে। এজন্য তিনি সতর্ক থাকতে বলেছেন আমরা সতর্ক আছি।’

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌ-যানগুলো কিভাবে নিয়ে আসতে হবে সে বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে জলে ও স্থলে দুই পথেই নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। যেসব মাস্টাররা লঞ্চ নিয়ে আসবে তাদের বিআইডাব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে, নৌ-পুলিশ কাজ করছে। আমাদের হাজার হাজার আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ যে আসবে, তাদের সভা স্থলে নিয়ে যাবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ শুধু রেসকোর্স ময়দান নয়, সমগ্র বাংলাদেশ যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ যুক্ত হয়ে যাবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ লঞ্চে আসবে। তারা লঞ্চ থেকে যে নামবে উঠবে তার জন্য পন্টুন দেয়া হচ্ছে। সেসব তদারকি করা হচ্ছে। দুইদিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখানে আমরা এসেছি। প্রতিকূল অবস্থায় প্রস্তুতিটি সঠিকভাবে চলছে কি না তা দেখার জন্য।’

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

আর ৬ দিন

পদ্মা পাড়ের জনসভায় যুক্ত হবে ১৭ কোটি মানুষ

জলে ও স্থলে দুই পথেই নিরাপত্তা জোরদার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতির কাজ। উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর দুই পাড়ে নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা। জলে ও স্থলে দুই পথেই নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ যুক্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিন পরির্দশনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম?্যান কমডোর গোলাম সাদেক এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সতর্ক থাকতে হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশীয় ষড়যন্ত্র ছিল, তাই উদ্বোধনের সময় ষড়যন্ত্র হতে পারে। সবাই আশঙ্কা করছে উদ্বোধনের সময় ষড়যন্ত্র হতে পারে। এজন্য তিনি সতর্ক থাকতে বলেছেন আমরা সতর্ক আছি।’

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌ-যানগুলো কিভাবে নিয়ে আসতে হবে সে বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে জলে ও স্থলে দুই পথেই নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। যেসব মাস্টাররা লঞ্চ নিয়ে আসবে তাদের বিআইডাব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে, নৌ-পুলিশ কাজ করছে। আমাদের হাজার হাজার আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ যে আসবে, তাদের সভা স্থলে নিয়ে যাবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ শুধু রেসকোর্স ময়দান নয়, সমগ্র বাংলাদেশ যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ যুক্ত হয়ে যাবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ লঞ্চে আসবে। তারা লঞ্চ থেকে যে নামবে উঠবে তার জন্য পন্টুন দেয়া হচ্ছে। সেসব তদারকি করা হচ্ছে। দুইদিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখানে আমরা এসেছি। প্রতিকূল অবস্থায় প্রস্তুতিটি সঠিকভাবে চলছে কি না তা দেখার জন্য।’