সিলেটে চিকিৎসা সংকট চরমে

ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচ তলায় পানি ঢুকেছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১৮শ‘ রোগী। এর মধ্যে নিচ তলার ওয়াার্ডে ভর্তি রোগীদের সরিয়ে দোতলাসহ উপরের দিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে মুঠোফোনে বলেন, চরম দুর্ভোগের মধ্যেও রোগীদের দোতলাসহ অন্যান্য ফ্লোরে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলা মধ্যে ৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পানিতে ডুবছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম সিলেটে ঢুকতে পারেনি। অন্যদিকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে রহস্যজনক কারণে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কন্ট্রোল রুম ও মিডিয়া শাখায় যোগাযোগ করলে তারা কোন তথ্য নেই বলে টেলিফোন রেখে দেন।

সিলেট প্রতিনিধি জানান, ওসমানী হাসপাতালে বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা বিঘিœত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে রোগীদের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা। মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মঈনুল হক বলেন, আপাতত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে হল ছাড়তে শুরু করেছেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা প্রফেসর ডা. এমএ আজিজ জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প পথে জেনারেটর দিয়ে চালানো হচ্ছে।

সিলেট থেকে বিএমএ নেতারা জানান, এরপর চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক হিমাংশু লাল রায় সংবাদকে জানান, তার বাসায় পানি ঢুকেছে। হাসপাতালের আইসিইউ ও সিসিইউগুলো চালিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

সিলেটে চিকিৎসা সংকট চরমে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধি সিলেট

ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচ তলায় পানি ঢুকেছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১৮শ‘ রোগী। এর মধ্যে নিচ তলার ওয়াার্ডে ভর্তি রোগীদের সরিয়ে দোতলাসহ উপরের দিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে মুঠোফোনে বলেন, চরম দুর্ভোগের মধ্যেও রোগীদের দোতলাসহ অন্যান্য ফ্লোরে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলা মধ্যে ৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পানিতে ডুবছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম সিলেটে ঢুকতে পারেনি। অন্যদিকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে রহস্যজনক কারণে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কন্ট্রোল রুম ও মিডিয়া শাখায় যোগাযোগ করলে তারা কোন তথ্য নেই বলে টেলিফোন রেখে দেন।

সিলেট প্রতিনিধি জানান, ওসমানী হাসপাতালে বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা বিঘিœত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে রোগীদের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা। মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মঈনুল হক বলেন, আপাতত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে হল ছাড়তে শুরু করেছেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা প্রফেসর ডা. এমএ আজিজ জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প পথে জেনারেটর দিয়ে চালানো হচ্ছে।

সিলেট থেকে বিএমএ নেতারা জানান, এরপর চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক হিমাংশু লাল রায় সংবাদকে জানান, তার বাসায় পানি ঢুকেছে। হাসপাতালের আইসিইউ ও সিসিইউগুলো চালিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।