১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা

দেশের ১০ জেলা ও ৬৪ উপজেলায় আকস্মিক বন্যাকবলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায়। এর মধ্যে সিলেটে ৬০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জে ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানি নিচে ডুবে গেছে।’ যা ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘বন্যাকবলিত এলকায় সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে তারা।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা পানি গত ১৬ ও ১৭ জুন ৪ ফুট করে ৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে মঙ্গল ও বুধবার থেকে পানি কমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে। এই সময়ে ওপরের পানি নেমে যাবে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৮০ লাখ টাকা করে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যার প্রস্তুতির বিভিন্ন স্থানে ৪৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানির স্রোতের কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে, তবু উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে আগামী দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণের লক্ষে ৩২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ‘সুনামগঞ্জ ও সিলেটে এ পর্যন্ত ৮০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। জিআর থেকে ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।’

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশের ১০ জেলা ও ৬৪ উপজেলায় আকস্মিক বন্যাকবলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায়। এর মধ্যে সিলেটে ৬০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জে ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানি নিচে ডুবে গেছে।’ যা ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘বন্যাকবলিত এলকায় সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে তারা।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা পানি গত ১৬ ও ১৭ জুন ৪ ফুট করে ৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে মঙ্গল ও বুধবার থেকে পানি কমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে। এই সময়ে ওপরের পানি নেমে যাবে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৮০ লাখ টাকা করে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যার প্রস্তুতির বিভিন্ন স্থানে ৪৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানির স্রোতের কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে, তবু উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে আগামী দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণের লক্ষে ৩২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ‘সুনামগঞ্জ ও সিলেটে এ পর্যন্ত ৮০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। জিআর থেকে ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।’