বাড়ি ফিরলেন দগ্ধ ৬ জন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে ৬ জনকে গতকাল ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়টি জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, ৬ জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা বর্তমানে ভালো আছে। সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে তাদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই মোতাবেক দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. ফারুক, ফারুক হোসেন, মঈনউদ্দিন, মাগফারুল ইসলাম, মাসুম মিয়া ও ফরমানুল ইসলাম। তাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বার্ন ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও চক্ষু বিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আরও ১৫ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও উন্নতির দিকে।

মাগফারুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল হক জানান, ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাগফারুলের পশ্চাদাংশে পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার পরদিনই তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়। চার দিন আইসিইউতে থাকার পর তাকে পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও কিছুটা ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা সেবনের জন্য কিছু ওষুধ ও ক্ষতস্থানে লাগানোর জন্য মলম দিয়েছে। এতে ধীরে ধীরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। তার চোখের সমস্যাটাও কেটে গেছে। আসাদুল আরও বলেন, মাগফারুলের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আমাদেরকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ৭ দিন পরে আবার বার্ন ইনস্টিটিউটে আসতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মো. ফারুকের ছেলে মো. জাকারিয়া বলেন, হাসপাতাল থেকে আমাদের ছুটি দিয়েছে। এখান থেকে নারায়ণগঞ্জে খানপুরে বাড়িতে যাবো। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে একটি কন্টেইনারে আগুন লাগে। পরে সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ডিপোর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক। আহতদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও খবর
পদ্মা সেতু বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নবদ্বার উন্মোচন করবে : স্পিকার
করোনা : শনাক্ত ৩০৪, ঢাকায় ২৮০
আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙনে ১৫ গ্রাম প্লাবিত, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধের শঙ্কা
বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আইনমন্ত্রী
নদী শাসন বাঁধ ঘিরে নদী ভাঙনকবলিত হাজার হাজার পরিবারের মুক্তির স্বপ্ন
নওগাঁর বদলগাছিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
হুন্ডিতে ১৫ লাখ টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয় সোহেল
নিজেরা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপরে দোষ চাপান সরকারকে ফখরুল
র‌্যাংকিংয়ে আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি সাবেক সিইসি হুদা
নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে, মাছ ধরে নিয়ে যায় ভারতীয়রা
চট্টগ্রামে এসএসসি পাস চোখের সার্জন!

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ

বাড়ি ফিরলেন দগ্ধ ৬ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে ৬ জনকে গতকাল ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়টি জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, ৬ জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা বর্তমানে ভালো আছে। সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে তাদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই মোতাবেক দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. ফারুক, ফারুক হোসেন, মঈনউদ্দিন, মাগফারুল ইসলাম, মাসুম মিয়া ও ফরমানুল ইসলাম। তাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বার্ন ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও চক্ষু বিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আরও ১৫ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও উন্নতির দিকে।

মাগফারুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল হক জানান, ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাগফারুলের পশ্চাদাংশে পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার পরদিনই তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়। চার দিন আইসিইউতে থাকার পর তাকে পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও কিছুটা ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা সেবনের জন্য কিছু ওষুধ ও ক্ষতস্থানে লাগানোর জন্য মলম দিয়েছে। এতে ধীরে ধীরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। তার চোখের সমস্যাটাও কেটে গেছে। আসাদুল আরও বলেন, মাগফারুলের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আমাদেরকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ৭ দিন পরে আবার বার্ন ইনস্টিটিউটে আসতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মো. ফারুকের ছেলে মো. জাকারিয়া বলেন, হাসপাতাল থেকে আমাদের ছুটি দিয়েছে। এখান থেকে নারায়ণগঞ্জে খানপুরে বাড়িতে যাবো। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে একটি কন্টেইনারে আগুন লাগে। পরে সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ডিপোর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক। আহতদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।