হুন্ডিতে ১৫ লাখ টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয় সোহেল

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা সুমন সিকদার মুসা, ইমরান আহমেদ জিতু ও রাকিবুর রহমান রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি জিতু শুটার আকাশের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। পিস্তলটি জিতু মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শটগান সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেলের নির্দেশে সংগ্রহ করেছিলেন। দুবাই থেকে মুসার সঙ্গে সোহেলের একাধিকবার ফোনালাপ হয়েছিল সেটা স্বীকারও করেছেন।

প্রাথমিকভাবে এই হত্যায় আন্ডারওয়ার্ল্ডে ২ কোটি টাকার লেনদেন করা হবে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১৫ লাখ টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয় সোহেল। এই ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ৯ লাখ টাকা আগাম টাকা হিসেবে দুবাই থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো হয় কিলার গ্রুপের আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহর কাছে। শুটার সালেহ মুসার আপন ছোট ভাই। হন্ডিতে পাঠানো ৯ লাখ টাকা কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ১২ জনের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার চার দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন মুসা তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে চমকপ্রদ নতুন তথ্য দিয়েছেন। এসব তথ্য ডিবি পুলিশ এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে মুসা জানায়, মতিঝিল এলাকায় টিপুর একক আধিপত্য বিস্তারকে আগামী দিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকের পথের কাঁটা হতে পারেন বলে মনে করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পদক সোহেল শাহরিয়ার মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এর আগে মতিঝিলে ক্যাসিনোর চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রক গ্রুপের তোপের মুখে সোহেল ২০১৬ সালে কানাডায় পাড়ি জমান। সেখানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ পান। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর সোহেল দেশে ফিরেন। মতিঝিল এলাকার রাজনৈতিক ও আন্ডারওয়ার্ল্ডে একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ তিনি প্রত্যাশা করেন। এ নিয়ে টিপুর সঙ্গে সোহেলের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী (৪৩) হত্যার ঘটনা নিয়ে টিপুর সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে মিল্কী গ্রুপ। এর প্রতিশোধ হিসেবে মিল্কী গ্রুপের ক্যাডাররা ২০১৬ সালে মতিঝিল এলাকায় যুবলীগ নেতা রিজভী হাসান বাবু ওরফে বোচা বাবুকে গুলি করে হত্যা করে। বোচা বাবু খুনের মামলা নিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, স্থানীয় কাউন্সিলর মনসুর, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বিরোধ হয়।

সম্প্রতি সোহেল দেশে ফিরে মতিঝিলের ঘর গোছানো শুরু করেন। সোহেলের সঙ্গে দুবাইয়ে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের যোগাযোগ হয়। অন্যদিকে, ক্যাসিনোকা-ে গ্রেপ্তার যুবলীগের ল্যাংড়া খালেদও তার হারানো সা¤্রাজ্য ফিরে পেতে হাত মেলায় জিসানের সঙ্গে। এর আগে ২০০৮ সালের ৪ মার্চ রাজধানীর শাহজাহানপুরে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ৩৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাউছার আলীকে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন সোহেল শাহারিয়ার। ২০১৬ সালে এই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে বাঁচতে সোহেল কানাডায় পাড়ি জমান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা জানান, জিতু একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে অপরাধীরা অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করত। জিতুর কাছ থেকে রাকিবসহ ৩ জনের হাত বদলের পর অস্ত্র চলে যায় মাসুম আহমেদ ওরফে আকাশ আহমেদের কাছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ডে আসামিদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুসার দাবি অনুযায়ী দুবাইয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নির্দেশনায় পরিকল্পিতভাবে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে। জিতু নামের একজন হত্যায় অস্ত্র সরবরাহ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গোয়েন্দারা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকশ দল দফায় দফায় মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। খুনের ঘটনার আগেই মুসা কিভাবে দুবাই পালিয়ে গেল, পালিয়ে যেতে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, দুবাইয়ে কার আশ্রয়ে আত্মগোপন করেছিল- এ ধরনের নানাবিধ প্রশ্ন করা হচ্ছে মুসাকে। গত ১২ মে ওমানের সালালায় মুসা আটক হওয়ার পরই দুবাই থেকে মতিঝিলের আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ২-৩ জন আওয়ামী লীগ নেতার কাছে জিসান ফোন করে। কার কার কাছে জিসান ফোন করেছিল- সেই সম্ভাব্য নামের তালিকাও মুসা ডিবির জিজ্ঞাসাবাদকারী টিমের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন। এ তালিকায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কয়েকজন শীর্ষ নেতার নাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর গাড়ি লক্ষ্য করে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিতে টিপু ও রিকশা আরোহী কলেজ শিক্ষার্থী প্রীতি নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।

আরও খবর
পদ্মা সেতু বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নবদ্বার উন্মোচন করবে : স্পিকার
করোনা : শনাক্ত ৩০৪, ঢাকায় ২৮০
বাড়ি ফিরলেন দগ্ধ ৬ জন
আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙনে ১৫ গ্রাম প্লাবিত, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধের শঙ্কা
বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আইনমন্ত্রী
নদী শাসন বাঁধ ঘিরে নদী ভাঙনকবলিত হাজার হাজার পরিবারের মুক্তির স্বপ্ন
নওগাঁর বদলগাছিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
নিজেরা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপরে দোষ চাপান সরকারকে ফখরুল
র‌্যাংকিংয়ে আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি সাবেক সিইসি হুদা
নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে, মাছ ধরে নিয়ে যায় ভারতীয়রা
চট্টগ্রামে এসএসসি পাস চোখের সার্জন!

রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩

মতিঝিলে টিপু হত্যা

হুন্ডিতে ১৫ লাখ টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয় সোহেল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা সুমন সিকদার মুসা, ইমরান আহমেদ জিতু ও রাকিবুর রহমান রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি জিতু শুটার আকাশের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। পিস্তলটি জিতু মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শটগান সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেলের নির্দেশে সংগ্রহ করেছিলেন। দুবাই থেকে মুসার সঙ্গে সোহেলের একাধিকবার ফোনালাপ হয়েছিল সেটা স্বীকারও করেছেন।

প্রাথমিকভাবে এই হত্যায় আন্ডারওয়ার্ল্ডে ২ কোটি টাকার লেনদেন করা হবে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১৫ লাখ টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয় সোহেল। এই ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ৯ লাখ টাকা আগাম টাকা হিসেবে দুবাই থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো হয় কিলার গ্রুপের আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহর কাছে। শুটার সালেহ মুসার আপন ছোট ভাই। হন্ডিতে পাঠানো ৯ লাখ টাকা কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ১২ জনের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার চার দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন মুসা তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে চমকপ্রদ নতুন তথ্য দিয়েছেন। এসব তথ্য ডিবি পুলিশ এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে মুসা জানায়, মতিঝিল এলাকায় টিপুর একক আধিপত্য বিস্তারকে আগামী দিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকের পথের কাঁটা হতে পারেন বলে মনে করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পদক সোহেল শাহরিয়ার মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এর আগে মতিঝিলে ক্যাসিনোর চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রক গ্রুপের তোপের মুখে সোহেল ২০১৬ সালে কানাডায় পাড়ি জমান। সেখানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ পান। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর সোহেল দেশে ফিরেন। মতিঝিল এলাকার রাজনৈতিক ও আন্ডারওয়ার্ল্ডে একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ তিনি প্রত্যাশা করেন। এ নিয়ে টিপুর সঙ্গে সোহেলের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী (৪৩) হত্যার ঘটনা নিয়ে টিপুর সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে মিল্কী গ্রুপ। এর প্রতিশোধ হিসেবে মিল্কী গ্রুপের ক্যাডাররা ২০১৬ সালে মতিঝিল এলাকায় যুবলীগ নেতা রিজভী হাসান বাবু ওরফে বোচা বাবুকে গুলি করে হত্যা করে। বোচা বাবু খুনের মামলা নিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, স্থানীয় কাউন্সিলর মনসুর, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বিরোধ হয়।

সম্প্রতি সোহেল দেশে ফিরে মতিঝিলের ঘর গোছানো শুরু করেন। সোহেলের সঙ্গে দুবাইয়ে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের যোগাযোগ হয়। অন্যদিকে, ক্যাসিনোকা-ে গ্রেপ্তার যুবলীগের ল্যাংড়া খালেদও তার হারানো সা¤্রাজ্য ফিরে পেতে হাত মেলায় জিসানের সঙ্গে। এর আগে ২০০৮ সালের ৪ মার্চ রাজধানীর শাহজাহানপুরে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ৩৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাউছার আলীকে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন সোহেল শাহারিয়ার। ২০১৬ সালে এই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে বাঁচতে সোহেল কানাডায় পাড়ি জমান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা জানান, জিতু একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে অপরাধীরা অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করত। জিতুর কাছ থেকে রাকিবসহ ৩ জনের হাত বদলের পর অস্ত্র চলে যায় মাসুম আহমেদ ওরফে আকাশ আহমেদের কাছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ডে আসামিদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুসার দাবি অনুযায়ী দুবাইয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নির্দেশনায় পরিকল্পিতভাবে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে। জিতু নামের একজন হত্যায় অস্ত্র সরবরাহ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গোয়েন্দারা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকশ দল দফায় দফায় মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। খুনের ঘটনার আগেই মুসা কিভাবে দুবাই পালিয়ে গেল, পালিয়ে যেতে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, দুবাইয়ে কার আশ্রয়ে আত্মগোপন করেছিল- এ ধরনের নানাবিধ প্রশ্ন করা হচ্ছে মুসাকে। গত ১২ মে ওমানের সালালায় মুসা আটক হওয়ার পরই দুবাই থেকে মতিঝিলের আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ২-৩ জন আওয়ামী লীগ নেতার কাছে জিসান ফোন করে। কার কার কাছে জিসান ফোন করেছিল- সেই সম্ভাব্য নামের তালিকাও মুসা ডিবির জিজ্ঞাসাবাদকারী টিমের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন। এ তালিকায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কয়েকজন শীর্ষ নেতার নাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর গাড়ি লক্ষ্য করে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিতে টিপু ও রিকশা আরোহী কলেজ শিক্ষার্থী প্রীতি নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।