সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অবস্থার ওপর যে র্যাংকিং করা হয় সেখানে আমরা দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছি। দেশে যদি সুশাসনের অবক্ষয় হতে থাকে তাহলে গণতন্ত্র কোথায় থেকে আসবে। গতকাল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক এই সিইসি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে দেশে ছোট-খাটো দুর্নীতি কমেছে, কিন্তু বড় বড় দুর্নীতির সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য সুজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, পৃথিবীর কোথাও এটা দেখা যায় না। পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে যুগ যুগ পরীক্ষার পর যেই সিস্টেম চালু হয়েছে, সেটা আমাদের দেশে ব্যত্যয় দেখতে পাচ্ছি। যেহেতু সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি, সেজন্য আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি। এজন্য সিভিল সোসাইটিকে ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা প্রতিবাদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই করবে তা নয়।
সাবেক সিইসি আরও বলেন, আমাদের পাশের দেশের বিজেপির এক নেত্রী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে বলে শুনেছি। যদিও কি বলেছে শুনিনি। এতে পুরো বিশ্বে একদম আগুন লেগে গেছে। ২৬টি মুসলিম দেশ তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এখানে সাধারণ মানুষের আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে। এখন বিশ্ব এক হয়ে গেছে। কিছু ঘটলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য একটা বিরাট রক্ষাকবচ। কেউ অপরাধ করলে পার পাবে না।
অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ , ৫ আষাড় ১৪২৮ ১৯ জিলকদ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অবস্থার ওপর যে র্যাংকিং করা হয় সেখানে আমরা দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছি। দেশে যদি সুশাসনের অবক্ষয় হতে থাকে তাহলে গণতন্ত্র কোথায় থেকে আসবে। গতকাল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক এই সিইসি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে দেশে ছোট-খাটো দুর্নীতি কমেছে, কিন্তু বড় বড় দুর্নীতির সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য সুজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, পৃথিবীর কোথাও এটা দেখা যায় না। পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে যুগ যুগ পরীক্ষার পর যেই সিস্টেম চালু হয়েছে, সেটা আমাদের দেশে ব্যত্যয় দেখতে পাচ্ছি। যেহেতু সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি, সেজন্য আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি। এজন্য সিভিল সোসাইটিকে ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা প্রতিবাদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই করবে তা নয়।
সাবেক সিইসি আরও বলেন, আমাদের পাশের দেশের বিজেপির এক নেত্রী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে বলে শুনেছি। যদিও কি বলেছে শুনিনি। এতে পুরো বিশ্বে একদম আগুন লেগে গেছে। ২৬টি মুসলিম দেশ তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এখানে সাধারণ মানুষের আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে। এখন বিশ্ব এক হয়ে গেছে। কিছু ঘটলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য একটা বিরাট রক্ষাকবচ। কেউ অপরাধ করলে পার পাবে না।
অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।