ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে দেখা দিয়েছে গজারিয়া অংশে ভাঙন। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর গ্রামের কয়েক শত পরিবারের। ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ র্নিমাণের দাবিতে গত শনিবার ইসমানীরচর গ্রামের কয়শত নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার সেলিম খাঁন বলেন, গত কয়েক দিনে ক্রমাগত ঢেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা বাসিন্দাদের মনে। ইসমানির চর ভাঙনপ্রবণ এলাকায় এখন বড় আকার ধারণ কররেছে এখন যদি এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না গ্রহণ করা হয় তাহলে মানচিত্র থেকে ইসমানিচর গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে। নদী ভাঙন রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

মানববন্ধন করা এলাকাবাসী বলেন, ভাঙন থেকে বাঁচতে তারা বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন নদীভাঙন কবলে পড়া পরিবার। একই অবস্থায় রয়েছে ইসমানির চর বাজার হতে উত্তরপাড়ার সোরাব মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত বসবাসরত পরিবারগুলো।

ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় দিয়েছিলেন নানান প্রতিশ্রুতি। তেমনিভাবে গত ২মার্চ ২০২০ইং নদীভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন তৎকালীন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ইসমানির চর গ্রামের নদীভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী মানুষের ভোগান্তির কথা শোনেন এবং এসব এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিন্তু কালের বিবর্তনে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

গত ১২ আগস্ট বুধবার ২০২০ আগামী কয়েক বছর পর বাংলাদেশের কোথাও নদীভাঙন থাকবে না এসব কথা বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। সে সময় উপমন্ত্রী গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙনপ্রবণ দেড় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন তিনি।

মেঘনা নদী গজারিয়া অংশের সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ এলাকা ইসমানির চর, হোসেন্দী, নয়নাগর, গোয়ালগাঁও ও চর বলাকী। প্রায় প্রতি বছরই এসব এলাকা নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনরোধে মেঘনা নদীর ইসমানির চর গ্রামের অংশে একটি বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও দীর্ঘদিনে সেটি নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ সময় উপস্থীত ছিলেন- গজারিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম খাঁন, ইলিয়াস মোল্লা মেম্বার, মোবারক খান, রুহুল আমিন, ডা. সেবহান, মো. হারুন রশিদ, সোহেল রানাসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

সোমবার, ২০ জুন ২০২২ , ৬ আষাড় ১৪২৮ ২০ জিলকদ ১৪৪৩

ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

image

মুন্সীগঞ্জ : নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে দেখা দিয়েছে গজারিয়া অংশে ভাঙন। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর গ্রামের কয়েক শত পরিবারের। ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ র্নিমাণের দাবিতে গত শনিবার ইসমানীরচর গ্রামের কয়শত নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার সেলিম খাঁন বলেন, গত কয়েক দিনে ক্রমাগত ঢেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা বাসিন্দাদের মনে। ইসমানির চর ভাঙনপ্রবণ এলাকায় এখন বড় আকার ধারণ কররেছে এখন যদি এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না গ্রহণ করা হয় তাহলে মানচিত্র থেকে ইসমানিচর গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে। নদী ভাঙন রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

মানববন্ধন করা এলাকাবাসী বলেন, ভাঙন থেকে বাঁচতে তারা বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন নদীভাঙন কবলে পড়া পরিবার। একই অবস্থায় রয়েছে ইসমানির চর বাজার হতে উত্তরপাড়ার সোরাব মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত বসবাসরত পরিবারগুলো।

ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় দিয়েছিলেন নানান প্রতিশ্রুতি। তেমনিভাবে গত ২মার্চ ২০২০ইং নদীভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন তৎকালীন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ইসমানির চর গ্রামের নদীভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী মানুষের ভোগান্তির কথা শোনেন এবং এসব এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিন্তু কালের বিবর্তনে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

গত ১২ আগস্ট বুধবার ২০২০ আগামী কয়েক বছর পর বাংলাদেশের কোথাও নদীভাঙন থাকবে না এসব কথা বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। সে সময় উপমন্ত্রী গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙনপ্রবণ দেড় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন তিনি।

মেঘনা নদী গজারিয়া অংশের সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ এলাকা ইসমানির চর, হোসেন্দী, নয়নাগর, গোয়ালগাঁও ও চর বলাকী। প্রায় প্রতি বছরই এসব এলাকা নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনরোধে মেঘনা নদীর ইসমানির চর গ্রামের অংশে একটি বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও দীর্ঘদিনে সেটি নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ সময় উপস্থীত ছিলেন- গজারিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম খাঁন, ইলিয়াস মোল্লা মেম্বার, মোবারক খান, রুহুল আমিন, ডা. সেবহান, মো. হারুন রশিদ, সোহেল রানাসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।