ডিসির বিরুদ্ধে রিট করে ফেঁসে গেলেন ৩৪ ভুয়া কর্মচারী

অভিনব কায়দায় জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেখিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে রিট করতে গিয়ে ধরা খেল ৩৪ জন ভুয়া কর্মচারী। জেলা প্রশাসন হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গেলে ভুয়া কর্মচারীরা ধরা পড়ে। আদালত প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৫,০৫,১২ তারিখে বরগুনা থেকে প্রকাশিত ২টি পত্রিকায় বরগুনা জেলা রাজস্ব বিভাগ তৎকালীন জেলা প্রশাসক স্বপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরে বিভিন্ন পদে নিয়োগে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দেখায় জালিয়াতকারীরা। তারা সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানের স্বাক্ষরে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, নিয়োগপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্রও সংগ্রহ করে কিন্তু উল্লেখিত কোন জেলা প্রশাসকই তখন জেলায় কর্মরত ছিলেন না। এমনকি জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে কোনরূপ যোগাযোগ না করেই নিয়োগপত্র না পাওয়ার অভিযোগে বানোয়াট কাগজপত্র দিয়ে ৩৪ আবেদনকারী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। তবে বরগুনার তৎকালীন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রতি কোন গুরুত্ব না দেয়ায় রিট আবেদন কারীদের পক্ষে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য একটি রায়ও দেন হাই কোর্ট। তবে রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় বরগুনার জেলা প্রশাসকের নিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন রিট আবেদনকারীরা। হাইকোর্ট মানহানীর অভিযোগ গ্রহণ করে বরগুনার জেলা প্রশাসককে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়। বরগুনার বর্তমান জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ঘটনাটি তদন্ত করে দেখেন, নিয়োগ দাবি করা উল্লেখিত ৩৪ জনের সকল প্রকার ডকুমেন্টস জাল ও বানোয়াট। তিনি সকলকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠালে ১৯ জন লিখিতভাবে যা জানায় তার সবই ‘জানা গোছে শোনা গেছে’ ধরনের মিথ্যা ও প্রতারণার উপকরণ মাত্র। তবে প্রায় সবাই জানায়, তারা বরগুনার আমতলী নিবাসী জনৈক আব্বাস হোসেনের নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রথারণার আশ্রয় নেয়। পরে এসব ভুয়া তথ্য ও জালজালিয়াতির আশ্রয়ের বিষয়টি বরগুনার জেলা প্রশাসক হাইকোর্টের কাছে তুলে ধরেন। সেই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের বেঞ্চ রিট আবেদনকারী ৩৪ জনসহ এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বরগুনার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার, ২০ জুন ২০২২ , ৬ আষাড় ১৪২৮ ২০ জিলকদ ১৪৪৩

ডিসির বিরুদ্ধে রিট করে ফেঁসে গেলেন ৩৪ ভুয়া কর্মচারী

প্রতিনিধি, বরগুনা

অভিনব কায়দায় জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেখিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে রিট করতে গিয়ে ধরা খেল ৩৪ জন ভুয়া কর্মচারী। জেলা প্রশাসন হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গেলে ভুয়া কর্মচারীরা ধরা পড়ে। আদালত প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৫,০৫,১২ তারিখে বরগুনা থেকে প্রকাশিত ২টি পত্রিকায় বরগুনা জেলা রাজস্ব বিভাগ তৎকালীন জেলা প্রশাসক স্বপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরে বিভিন্ন পদে নিয়োগে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দেখায় জালিয়াতকারীরা। তারা সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানের স্বাক্ষরে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, নিয়োগপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্রও সংগ্রহ করে কিন্তু উল্লেখিত কোন জেলা প্রশাসকই তখন জেলায় কর্মরত ছিলেন না। এমনকি জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে কোনরূপ যোগাযোগ না করেই নিয়োগপত্র না পাওয়ার অভিযোগে বানোয়াট কাগজপত্র দিয়ে ৩৪ আবেদনকারী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। তবে বরগুনার তৎকালীন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রতি কোন গুরুত্ব না দেয়ায় রিট আবেদন কারীদের পক্ষে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য একটি রায়ও দেন হাই কোর্ট। তবে রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় বরগুনার জেলা প্রশাসকের নিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন রিট আবেদনকারীরা। হাইকোর্ট মানহানীর অভিযোগ গ্রহণ করে বরগুনার জেলা প্রশাসককে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়। বরগুনার বর্তমান জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ঘটনাটি তদন্ত করে দেখেন, নিয়োগ দাবি করা উল্লেখিত ৩৪ জনের সকল প্রকার ডকুমেন্টস জাল ও বানোয়াট। তিনি সকলকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠালে ১৯ জন লিখিতভাবে যা জানায় তার সবই ‘জানা গোছে শোনা গেছে’ ধরনের মিথ্যা ও প্রতারণার উপকরণ মাত্র। তবে প্রায় সবাই জানায়, তারা বরগুনার আমতলী নিবাসী জনৈক আব্বাস হোসেনের নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রথারণার আশ্রয় নেয়। পরে এসব ভুয়া তথ্য ও জালজালিয়াতির আশ্রয়ের বিষয়টি বরগুনার জেলা প্রশাসক হাইকোর্টের কাছে তুলে ধরেন। সেই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের বেঞ্চ রিট আবেদনকারী ৩৪ জনসহ এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বরগুনার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।