রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে পারে কয়েক বছর : নেটো

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক জোট নেটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে ডনবাস অঞ্চলকে মুক্ত করার সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে যে, এটি (ইউক্রেন যুদ্ধ) কয়েক বছর স্থায়ী হতে পারে। আমাদের ইউক্রেনকে সমর্থন বন্ধ করা উচিত নয়।’ ‘এমনকি এই সহায়তা করতে যদি খরচ বেশিও হয়, তবুও না। কারণ শুধু সামরিক সহায়তার জন্য নয়, জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণেও খরচ বাড়ছে।’ জার্মানির একটি সাপ্তাহিক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর এই মহাসচিব বলেছিলেন, এই মাসের শেষের দিকে স্পেনের মাদ্রিদে নেটোর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের জন্য সংস্থাটি একটি সহায়তা প্যাকেজে সম্মত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর সেটি হলে ইউক্রেনকে পুরনো সোভিয়েত-যুগের অস্ত্র থেকে নেটোর আধুনিক মানের অস্ত্র সহায়তায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

চলমান এই যুদ্ধে শনিবার মস্কোর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউক্রেন। বর্তমানে উভয়পক্ষ পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান একটি শহরের কাছে লড়াই করেছে এবং ওই শহরটি ছাড়াও ডনবাস অঞ্চলের আরও একাধিক জায়গা রাশিয়ার গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওতায় এসেছে।

এর আগে ইউক্রেন সফরত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লন্ডনের সানডে টাইমসে লেখা এক নিবন্ধেও ইউক্রেইনে দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। এজন্য ইউক্রেন যেন ‘দখলদারদের’ তুলনায় দ্রুতগতিতে অস্ত্র, সরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও প্রশিক্ষণ পায় তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

“সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সবকিছুই নির্ভর করছে ইউক্রেন তাদের নিজেদের ভূখ- রক্ষার সক্ষমতা রাশিয়ার আক্রমণ ক্ষমতা নবায়নের চেয়ে দ্রুতগতিতে জোরদার করতে পারে কিনা তার ওপর,” লিখেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জনসন ‘ইউক্রেন ক্লান্তি’ এড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। রুশ বাহিনীর ‘ইঞ্চি ইঞ্চি অগ্রগতির’ পাল্টায় মিত্ররা যে দীর্ঘ সময় তাদেরকে সহায়তা দেয়ার জন্য আছে, ইউক্রেনীয়দের তা দেখানো উচিত, বলেছেন তিনি।

ইউরোপিয়ান কমিশন ইউক্রেনকে ইইউ-র প্রার্থী সদস্যপদ দেয়ার যে সুপারিশ করেছে, তা কিয়েভকে খানিকটা উদ্দীপ্ত করলেও জোটের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পেতে দেশটির কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। রাশিয়া দনবাসজুড়ে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী।

তারা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কে মুহুর্মুহু কামান ও রকেট হামলা চালাচ্ছে। শহরটির দক্ষিণপূর্বের মেতোলকাইন থেকে কিইভবাহিনীকে পিছু হটতে হয়েছে। এসময় অনেক ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে বলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা তাসকে জানিয়েছে।

ইজুমের একটি গ্যাস কারখানায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের শহরতলীতে বৃষ্টির মতো রকেট পড়েছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

পলটোভা ও দনিপ্রোপেত্রভস্কেও গোলা পড়ার খবর দিয়েছে তারা। নভোমস্কোভস্কে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগার ধ্বংস করে দিয়েছে, আহত হয়েছে ১১ জন। ক্রাসনোপিলিয়ার কাছে ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে বলে দাবিও করেছে কিয়েভ।

এদিকে আগামী আগস্টের শেষের দিকে রাশিয়ার সঙ্গে আবারও শান্তি আলোচনার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এর আগেও দুদেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়েছে তবে তা থেকে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

কিয়েভের প্রধান আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া মার্কিন সম্প্রচারক ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আলোচনার জন্য তার দেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইউক্রেন বিভিন্ন জায়গায় পাল্টা আক্রমণের পাশাপাশি অভিযানও চালাবে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় তিন মাস ধরে সামরিক অভিযান চালালেও রুশ সেনারা প্রাথমিকভাবে প্রায় পুরো ইউক্রেনীয় ভূখ-ে হামলা পরিচালনা করে। তবে পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মূল মনোযোগ দেয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়। মূলত তখন থেকে এই অঞ্চলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ সেনারা।

আরও স্পষ্ট করে বললে, রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডনবাস ভূখ- দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর এতেই রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা।

সোমবার, ২০ জুন ২০২২ , ৬ আষাড় ১৪২৮ ২০ জিলকদ ১৪৪৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে পারে কয়েক বছর : নেটো

image

রুশ সেনাদের হামলায় ইউক্রেনের ইরপিন শহরে ধসে যাওয়া সেতু পারাপারে বাসিন্দাদের সাহায্য করছেন ইউক্রেনের সেনারা -এএফপি

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক জোট নেটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে ডনবাস অঞ্চলকে মুক্ত করার সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে যে, এটি (ইউক্রেন যুদ্ধ) কয়েক বছর স্থায়ী হতে পারে। আমাদের ইউক্রেনকে সমর্থন বন্ধ করা উচিত নয়।’ ‘এমনকি এই সহায়তা করতে যদি খরচ বেশিও হয়, তবুও না। কারণ শুধু সামরিক সহায়তার জন্য নয়, জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণেও খরচ বাড়ছে।’ জার্মানির একটি সাপ্তাহিক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর এই মহাসচিব বলেছিলেন, এই মাসের শেষের দিকে স্পেনের মাদ্রিদে নেটোর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের জন্য সংস্থাটি একটি সহায়তা প্যাকেজে সম্মত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর সেটি হলে ইউক্রেনকে পুরনো সোভিয়েত-যুগের অস্ত্র থেকে নেটোর আধুনিক মানের অস্ত্র সহায়তায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

চলমান এই যুদ্ধে শনিবার মস্কোর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউক্রেন। বর্তমানে উভয়পক্ষ পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান একটি শহরের কাছে লড়াই করেছে এবং ওই শহরটি ছাড়াও ডনবাস অঞ্চলের আরও একাধিক জায়গা রাশিয়ার গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওতায় এসেছে।

এর আগে ইউক্রেন সফরত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লন্ডনের সানডে টাইমসে লেখা এক নিবন্ধেও ইউক্রেইনে দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। এজন্য ইউক্রেন যেন ‘দখলদারদের’ তুলনায় দ্রুতগতিতে অস্ত্র, সরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও প্রশিক্ষণ পায় তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

“সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সবকিছুই নির্ভর করছে ইউক্রেন তাদের নিজেদের ভূখ- রক্ষার সক্ষমতা রাশিয়ার আক্রমণ ক্ষমতা নবায়নের চেয়ে দ্রুতগতিতে জোরদার করতে পারে কিনা তার ওপর,” লিখেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জনসন ‘ইউক্রেন ক্লান্তি’ এড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। রুশ বাহিনীর ‘ইঞ্চি ইঞ্চি অগ্রগতির’ পাল্টায় মিত্ররা যে দীর্ঘ সময় তাদেরকে সহায়তা দেয়ার জন্য আছে, ইউক্রেনীয়দের তা দেখানো উচিত, বলেছেন তিনি।

ইউরোপিয়ান কমিশন ইউক্রেনকে ইইউ-র প্রার্থী সদস্যপদ দেয়ার যে সুপারিশ করেছে, তা কিয়েভকে খানিকটা উদ্দীপ্ত করলেও জোটের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পেতে দেশটির কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। রাশিয়া দনবাসজুড়ে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী।

তারা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কে মুহুর্মুহু কামান ও রকেট হামলা চালাচ্ছে। শহরটির দক্ষিণপূর্বের মেতোলকাইন থেকে কিইভবাহিনীকে পিছু হটতে হয়েছে। এসময় অনেক ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে বলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা তাসকে জানিয়েছে।

ইজুমের একটি গ্যাস কারখানায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের শহরতলীতে বৃষ্টির মতো রকেট পড়েছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

পলটোভা ও দনিপ্রোপেত্রভস্কেও গোলা পড়ার খবর দিয়েছে তারা। নভোমস্কোভস্কে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগার ধ্বংস করে দিয়েছে, আহত হয়েছে ১১ জন। ক্রাসনোপিলিয়ার কাছে ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে বলে দাবিও করেছে কিয়েভ।

এদিকে আগামী আগস্টের শেষের দিকে রাশিয়ার সঙ্গে আবারও শান্তি আলোচনার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এর আগেও দুদেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়েছে তবে তা থেকে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

কিয়েভের প্রধান আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া মার্কিন সম্প্রচারক ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আলোচনার জন্য তার দেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইউক্রেন বিভিন্ন জায়গায় পাল্টা আক্রমণের পাশাপাশি অভিযানও চালাবে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় তিন মাস ধরে সামরিক অভিযান চালালেও রুশ সেনারা প্রাথমিকভাবে প্রায় পুরো ইউক্রেনীয় ভূখ-ে হামলা পরিচালনা করে। তবে পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মূল মনোযোগ দেয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়। মূলত তখন থেকে এই অঞ্চলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ সেনারা।

আরও স্পষ্ট করে বললে, রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডনবাস ভূখ- দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর এতেই রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা।