রাত ৮টার পর কাঁচাবাজার, দোকান, বিপণিবিতান বন্ধ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে রাত ৮টার পর থেকে দোকান, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।

রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি অনুশাসন দিয়েছিল। সেই অনুশাসন বাস্তবায়ন করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুশাসনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয় করা দরকার। এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

খোলা রাখা যাবে যেসব প্রতিষ্ঠান

বেশ কিছু সেবা খাতকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। যেমন- রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল, হাসপাতাল, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, ওষুধ ও অপারেশন সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, নাপিত ও কেশ প্রসাধনীর দোকান, ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, খুচরা পেট্রল বিক্রির দোকান, যেকোন ময়লা নিষ্কাশন বা স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যক্রম এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। এছাড়া পান, বিড়ি ও সিগারেটের দোকান, খবরের কাগজ, দোকানে বসে খাওয়া যায় এমন নাশতা বিক্রির দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধের সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।

তবে বাসার গলির মুদির দোকান খোলা থাকবে কি-না, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও সচিব কেউই এর কোন পরিষ্কার জবাব দিতে পারেননি।

আগামী ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত কোরবানির ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের বিক্রির গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে উল্লেখ করেন বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। ওই দশ দিন রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি জানান তিনি।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে এই দাবিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সোমবার, ২০ জুন ২০২২ , ৬ আষাড় ১৪২৮ ২০ জিলকদ ১৪৪৩

রাত ৮টার পর কাঁচাবাজার, দোকান, বিপণিবিতান বন্ধ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে রাত ৮টার পর থেকে দোকান, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।

রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি অনুশাসন দিয়েছিল। সেই অনুশাসন বাস্তবায়ন করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুশাসনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয় করা দরকার। এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

খোলা রাখা যাবে যেসব প্রতিষ্ঠান

বেশ কিছু সেবা খাতকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। যেমন- রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল, হাসপাতাল, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, ওষুধ ও অপারেশন সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, নাপিত ও কেশ প্রসাধনীর দোকান, ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, খুচরা পেট্রল বিক্রির দোকান, যেকোন ময়লা নিষ্কাশন বা স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যক্রম এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। এছাড়া পান, বিড়ি ও সিগারেটের দোকান, খবরের কাগজ, দোকানে বসে খাওয়া যায় এমন নাশতা বিক্রির দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধের সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।

তবে বাসার গলির মুদির দোকান খোলা থাকবে কি-না, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও সচিব কেউই এর কোন পরিষ্কার জবাব দিতে পারেননি।

আগামী ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত কোরবানির ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের বিক্রির গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে উল্লেখ করেন বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। ওই দশ দিন রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি জানান তিনি।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে এই দাবিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।