শরণার্থীদের নিরাপত্তার অধিকার

মতিউর রহমান

বর্তমানে বিশ্বব্যবস্থায় ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন জাতিসত্তা, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন ধর্ম, এবং ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে লাখ লাখ মানুষকে নিজে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। ফলে, শরণার্থী সমস্যা একটি অন্যতম আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে পৃথিবীতে ২০ জন মানুষ নিজের দেশ ত্যাগ করছে প্রধানত যুদ্ধ, অত্যাচার, এবং নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য। সেই সঙ্গে আছে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবজনিত কারণে দেশত্যাগ।

জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এ বছর (২০২২) জুনের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ সারা বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা ১০০ মিলিয়য়ন ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক দিবস, যা বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সম্মান করার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত। এটি প্রতি বছর ২০ জুন উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি সেইসব মানুষের শক্তি এবং সাহস প্রদান করে যারা সংঘর্ষ বা নিপীড়ন থেকে বাঁচতে তাদের নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস হল তাদের দুর্দশার জন্য সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া তৈরি করার এবং তাদের জীবন পুনর্গঠনে তাদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেয়ার একটি উপলক্ষ।

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয় এক একটি প্রতিপাদ্য ধরে। এই বছর, শরণার্থীদের নিরাপত্তা খোঁজার অধিকারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২২ এর মূল থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘যে কেউ, যেখানেই থাকুক, যখনই থাকুক তাদের নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার রয়েছে।’

ইউএনএইচসিআর বলছে এই গ্রহের প্রতিটি মানুষেরই নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তারা যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন, যখনই আসুক না কেন, যারা পালাতে বাধ্য হয়েছে বা যাদের পালাতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা উচিত। যে কেউ সুরক্ষা চাইতে পারে, তারা কে বা তারা যা বিশ্বাস করুক না কেন সেটি বিবেচনা না করে তাদের নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি যেটি একটি মানবাধিকার তার ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত।

ইউএনএইচসিআর আরও বলছে তারা যেখান থেকেই আসুক না কেন, পালাতে বাধ্য হওয়া মানুষকে স্বাগত জানানো উচিত। শরণার্থীরা সারা বিশ্ব থেকে আসে। জীবন বাঁচাতে তারা একটি প্লেন, একটি নৌকা বা পায়ে হেঁটে এক দেশ থেকে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে পারে তবে যা সর্বজনীন তা হল তাদের নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার। যখনই মানুষ পালাতে বাধ্য হয়, তাদের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। হুমকি যাই হোক না কেনÑ যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন-প্রত্যেকেই সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য। প্রত্যেকেরই নিরাপদ থাকার অধিকার রয়েছে।

নিরাপত্তা চাওয়া বলতে ইউএনএইচসিআর এখানে পাঁচটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে যেমন: ১. আশ্রয় চাওয়ার অধিকার-নিপীড়ন, সংঘাত বা মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে পালিয়ে আসা যে কেউ অন্য দেশে সুরক্ষা চাওয়ার অধিকার রাখে; ২. নিরাপদ প্রবেশাধিকার-পালাতে বাধ্য হওয়া সব মানুষের জন্য সীমান্ত উম্মুক্ত রাখা উচিত। প্রবেশাধিকার সীমিত করা এবং সীমানা বন্ধ করা নিরাপত্তা খুঁজতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের যাত্রাকে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে; ৩. দেশে ফিরতে বাধ্য না করাÑ যদি তাদের জীবন বা স্বাধীনতা ঝুঁকির মধ্যে থাকে তবে তাদের দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা যাবে না। এর মানে হলো যে দেশগুলো তাদের দেশে ফিরে যে বিপদের সম্মুখীন হবে তা মূল্যায়ন না করে কাউকে পিছনে ঠেলে দেয়া উচিত নয়; ৪. কোনো বৈষম্য না করাÑ সীমান্তে জনগণের প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ এবং উৎপত্তির দেশ নির্বিশেষে শরণার্থী অবস্থার জন্য সমস্ত আবেদনকে অবশ্যই ন্যায্য বিবেচনা করা উচিত; ৫. মানবিক আচরণ-পালাতে বাধ্য করা লোকদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা উচিত। তারা যেকোনো মানুষের মতো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ পাওয়ার অধিকারী। অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে পরিবারগুলোকে একত্রিত রাখা, পাচারকারীদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করা এবং নির্বিচারে আটক এড়ানো।

আয়তনে ছোট ও উন্নয়নশীল দেশ হলেও বাংলাদেশ এক বিশাল শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করেছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ থেকে, মায়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে ১.১ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা নিপীড়নের শিকার হয়ে নিজ দেশের পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে।

দেশে দেশে জাতিগত দাঙ্গা, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্ঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও সহিংসতায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের জ্বালায় নিজ দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ ভিন্ন দেশে শরণার্থী হচ্ছে। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। শরণার্থীরা নিজ দেশ থেকে বিচ্যুত হলেও আশ্রয় ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান থেকেই যাচ্ছে। সুতরাং এবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকা ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপরই বর্তায়।

[লেখক : গবেষক ও উন্নয়নকর্মী]

image

মায়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

আরও খবর
প্রস্তাবিত বাজেট ব্যাংক খাতে কী প্রভাব রাখবে
পদ্মা সেতু : বিএনপির দায় ও সরকারের দায়িত্ব
বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

সোমবার, ২০ জুন ২০২২ , ৬ আষাড় ১৪২৮ ২০ জিলকদ ১৪৪৩

শরণার্থীদের নিরাপত্তার অধিকার

মতিউর রহমান

image

মায়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

বর্তমানে বিশ্বব্যবস্থায় ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন জাতিসত্তা, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন ধর্ম, এবং ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে লাখ লাখ মানুষকে নিজে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। ফলে, শরণার্থী সমস্যা একটি অন্যতম আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে পৃথিবীতে ২০ জন মানুষ নিজের দেশ ত্যাগ করছে প্রধানত যুদ্ধ, অত্যাচার, এবং নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য। সেই সঙ্গে আছে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবজনিত কারণে দেশত্যাগ।

জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এ বছর (২০২২) জুনের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ সারা বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা ১০০ মিলিয়য়ন ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক দিবস, যা বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সম্মান করার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত। এটি প্রতি বছর ২০ জুন উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি সেইসব মানুষের শক্তি এবং সাহস প্রদান করে যারা সংঘর্ষ বা নিপীড়ন থেকে বাঁচতে তাদের নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস হল তাদের দুর্দশার জন্য সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া তৈরি করার এবং তাদের জীবন পুনর্গঠনে তাদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেয়ার একটি উপলক্ষ।

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয় এক একটি প্রতিপাদ্য ধরে। এই বছর, শরণার্থীদের নিরাপত্তা খোঁজার অধিকারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২২ এর মূল থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘যে কেউ, যেখানেই থাকুক, যখনই থাকুক তাদের নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার রয়েছে।’

ইউএনএইচসিআর বলছে এই গ্রহের প্রতিটি মানুষেরই নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তারা যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন, যখনই আসুক না কেন, যারা পালাতে বাধ্য হয়েছে বা যাদের পালাতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা উচিত। যে কেউ সুরক্ষা চাইতে পারে, তারা কে বা তারা যা বিশ্বাস করুক না কেন সেটি বিবেচনা না করে তাদের নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি যেটি একটি মানবাধিকার তার ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত।

ইউএনএইচসিআর আরও বলছে তারা যেখান থেকেই আসুক না কেন, পালাতে বাধ্য হওয়া মানুষকে স্বাগত জানানো উচিত। শরণার্থীরা সারা বিশ্ব থেকে আসে। জীবন বাঁচাতে তারা একটি প্লেন, একটি নৌকা বা পায়ে হেঁটে এক দেশ থেকে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে পারে তবে যা সর্বজনীন তা হল তাদের নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার। যখনই মানুষ পালাতে বাধ্য হয়, তাদের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। হুমকি যাই হোক না কেনÑ যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন-প্রত্যেকেই সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য। প্রত্যেকেরই নিরাপদ থাকার অধিকার রয়েছে।

নিরাপত্তা চাওয়া বলতে ইউএনএইচসিআর এখানে পাঁচটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে যেমন: ১. আশ্রয় চাওয়ার অধিকার-নিপীড়ন, সংঘাত বা মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে পালিয়ে আসা যে কেউ অন্য দেশে সুরক্ষা চাওয়ার অধিকার রাখে; ২. নিরাপদ প্রবেশাধিকার-পালাতে বাধ্য হওয়া সব মানুষের জন্য সীমান্ত উম্মুক্ত রাখা উচিত। প্রবেশাধিকার সীমিত করা এবং সীমানা বন্ধ করা নিরাপত্তা খুঁজতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের যাত্রাকে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে; ৩. দেশে ফিরতে বাধ্য না করাÑ যদি তাদের জীবন বা স্বাধীনতা ঝুঁকির মধ্যে থাকে তবে তাদের দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা যাবে না। এর মানে হলো যে দেশগুলো তাদের দেশে ফিরে যে বিপদের সম্মুখীন হবে তা মূল্যায়ন না করে কাউকে পিছনে ঠেলে দেয়া উচিত নয়; ৪. কোনো বৈষম্য না করাÑ সীমান্তে জনগণের প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ এবং উৎপত্তির দেশ নির্বিশেষে শরণার্থী অবস্থার জন্য সমস্ত আবেদনকে অবশ্যই ন্যায্য বিবেচনা করা উচিত; ৫. মানবিক আচরণ-পালাতে বাধ্য করা লোকদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা উচিত। তারা যেকোনো মানুষের মতো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ পাওয়ার অধিকারী। অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে পরিবারগুলোকে একত্রিত রাখা, পাচারকারীদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করা এবং নির্বিচারে আটক এড়ানো।

আয়তনে ছোট ও উন্নয়নশীল দেশ হলেও বাংলাদেশ এক বিশাল শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করেছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ থেকে, মায়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে ১.১ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা নিপীড়নের শিকার হয়ে নিজ দেশের পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে।

দেশে দেশে জাতিগত দাঙ্গা, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্ঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও সহিংসতায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের জ্বালায় নিজ দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ ভিন্ন দেশে শরণার্থী হচ্ছে। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। শরণার্থীরা নিজ দেশ থেকে বিচ্যুত হলেও আশ্রয় ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান থেকেই যাচ্ছে। সুতরাং এবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকা ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপরই বর্তায়।

[লেখক : গবেষক ও উন্নয়নকর্মী]