সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা

মানসিক হাসপাতালের পথ্য সামগ্রী ক্রয়ে প্রকৃত বাজার দর অপেক্ষা উচ্চ দর দেখিয়ে ২১ লাখ ৯৮ হাজার ৩শ ৯৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা, ২ ঠিকাদারসহ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ^াসের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা করেছে দুদক। সহকারি পরিচালক শহীদুল আলম সরকার গত ১৪ জুন এ মামলা করেন। মামলা নং-১৬,১৫। মামলার বিবরণে প্রকাশ মানসিক হাসপাতালে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহের ক, খ,গ গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়। খ গ্রুপে খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছ ও ডিম সরবরাহে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার দরের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ সর্বনি¤œ দরপত্র দাখিল করায় ঠিকাদার এ. এইচ. এম. রেজাউনকে পথ্য সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পরিচালককে অনুরোধ করে দরপত্র মুল্যায়ণ কমিটি। মানসিক হাসপাতাল পরিচালক বাজার যাচাই বাছাই কমিটি না করে ২০১৮ সালের ৯ জুন মাহাপা/কার্যাদেশ/২০১৮/১৩৫৩ নং স্মারকে ঠিকাদার এ.এইচ.এম.রেজাউনকে কার্যাদেশ দেন। তৎকালীন জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি শিশু পরিবারের পথ্য সামগ্রীর জন্য যে বাজার দর দেন একই অর্থবছরে একই পণ্যে মানসিক হাসপাতাল উচ্চ বাজার দর দেখান। এ উচ্চ মূল্যে কার্যাদেশ দেয়ায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা ৪৮ পয়সা বিল পরিশোধ করা হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঠিকাদারকে উচ্চ মূল্যে কার্যাদেশ দেয়ায় সরকারের ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা ৪৮পয়সা আর্থিক ক্ষতি সাধন করে আত্মসাত করায় হাসপাতালের সাবেক পরিচালক তন্ময় প্রকাশ বিশ^াস, সাবেক জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা বর্তমানে দিনাজপুর সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার এ. এইচ. এম. রেজাউনকে আসামী করা হয়। মামলা নং ১৫। দন্ড বিধি ৪০৯/৩৪ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা। অপর মামলাটি হয়েছে একই দরপত্রের গ গ্রুপের তরিতরকারী, শাক সবজী ও ফলমূল সরবরাহের সর্বনি¤œ দরদাতা ঠিকাদার এ. এইচ. এম. আরেফিনকে কার্যাদেশ দেয়া নিয়ে। এ গ্রুপেও একই কায়দায় জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার উচ্চ মুল্যের বাজার দরকে অনুসরণ করে কার্যাদেশ দেয়ায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ৭ লাখ ৩ হাজার ৩৯ টাকা ৩৩ পয়সা বিল পরিশোধ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সরকাওে এ টাকা আত্মসাত করা হয়। এ মামলায় হাসপাতাল পরিচালক, জেলা সাবেক মার্কেটিং কর্মকর্তাসহ ঠিকাদার এ.এইচ, এম . আরেফিনকে আসামী করা হয়। মামলা নং-১৬। দন্ড বিধির ৪০৯/৩৪ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ , ৭ আষাড় ১৪২৮ ২১ জিলকদ ১৪৪৩

পাবনা মানসিক হাসপাতাল

সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

মানসিক হাসপাতালের পথ্য সামগ্রী ক্রয়ে প্রকৃত বাজার দর অপেক্ষা উচ্চ দর দেখিয়ে ২১ লাখ ৯৮ হাজার ৩শ ৯৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা, ২ ঠিকাদারসহ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ^াসের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা করেছে দুদক। সহকারি পরিচালক শহীদুল আলম সরকার গত ১৪ জুন এ মামলা করেন। মামলা নং-১৬,১৫। মামলার বিবরণে প্রকাশ মানসিক হাসপাতালে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহের ক, খ,গ গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়। খ গ্রুপে খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছ ও ডিম সরবরাহে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার দরের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ সর্বনি¤œ দরপত্র দাখিল করায় ঠিকাদার এ. এইচ. এম. রেজাউনকে পথ্য সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পরিচালককে অনুরোধ করে দরপত্র মুল্যায়ণ কমিটি। মানসিক হাসপাতাল পরিচালক বাজার যাচাই বাছাই কমিটি না করে ২০১৮ সালের ৯ জুন মাহাপা/কার্যাদেশ/২০১৮/১৩৫৩ নং স্মারকে ঠিকাদার এ.এইচ.এম.রেজাউনকে কার্যাদেশ দেন। তৎকালীন জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি শিশু পরিবারের পথ্য সামগ্রীর জন্য যে বাজার দর দেন একই অর্থবছরে একই পণ্যে মানসিক হাসপাতাল উচ্চ বাজার দর দেখান। এ উচ্চ মূল্যে কার্যাদেশ দেয়ায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা ৪৮ পয়সা বিল পরিশোধ করা হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঠিকাদারকে উচ্চ মূল্যে কার্যাদেশ দেয়ায় সরকারের ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা ৪৮পয়সা আর্থিক ক্ষতি সাধন করে আত্মসাত করায় হাসপাতালের সাবেক পরিচালক তন্ময় প্রকাশ বিশ^াস, সাবেক জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা বর্তমানে দিনাজপুর সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার এ. এইচ. এম. রেজাউনকে আসামী করা হয়। মামলা নং ১৫। দন্ড বিধি ৪০৯/৩৪ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা। অপর মামলাটি হয়েছে একই দরপত্রের গ গ্রুপের তরিতরকারী, শাক সবজী ও ফলমূল সরবরাহের সর্বনি¤œ দরদাতা ঠিকাদার এ. এইচ. এম. আরেফিনকে কার্যাদেশ দেয়া নিয়ে। এ গ্রুপেও একই কায়দায় জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার উচ্চ মুল্যের বাজার দরকে অনুসরণ করে কার্যাদেশ দেয়ায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ৭ লাখ ৩ হাজার ৩৯ টাকা ৩৩ পয়সা বিল পরিশোধ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সরকাওে এ টাকা আত্মসাত করা হয়। এ মামলায় হাসপাতাল পরিচালক, জেলা সাবেক মার্কেটিং কর্মকর্তাসহ ঠিকাদার এ.এইচ, এম . আরেফিনকে আসামী করা হয়। মামলা নং-১৬। দন্ড বিধির ৪০৯/৩৪ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।