বাহার প্রসঙ্গ : সিইসির ‘ভিন্ন সুর’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ৫ দিন পর ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নিয়ে এবার ‘ভিন্ন সুরে’ কথা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নৌকার মেয়র প্রার্থী রিফাতের পক্ষে প্রচারণা এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ছিল সংসদ সদস্য বাহারের বিরুদ্ধে। আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা প্রচারে নামতে পারেন না।

‘আইন ভাঙার অভিযোগে’ সংসদ সদস্য বাহারকে এলাকা ত্যাগ করতে চিঠি দিয়েছিল ইসি।

তবে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছেন, সংসদ সদস্য বাহার ‘আইন ভাঙেননি’। তাকে ‘কোন নির্দেশও’ ইসি দেয়নি। একজন সংসদ সদস্যকে ইসি এলাকা ছাড়তে বলতে পারে না, বলেওনি। তাকে ‘বিনীতভাবে অনুরোধ’ জানানো হয়েছিল। বাহার প্রসঙ্গে কমিশন ‘ব্যর্থ হয়নি’ বলে দাবি করেন সিইসি।

কুসিক নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় সংসদ সদস্য বাহারকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে ইসির পাঠানো চিঠির শেষে ‘বিনীতভাবে অনুরোধ’ শব্দদ্বয়জুড়ে দেয়া হয়েছিল। সংসদ সদস্য বাহার ইসির নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গিয়ে রুল পান এবং তিনি কুমিল্লায়ই ছিলেন। যদিও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসির আইনজীবী উচ্চ আদালতে ছিলেন কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

বাহারের কুমিল্লা না ছাড়ার বিষয়টি বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ‘নতুন ইসির সক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ওই প্রেক্ষাপটে সিইসি বলেছিলেন, সংসদ সদস্যের জন্য ইসির অনুরোধই ‘যথেষ্ট’। এরপরও না মানলে এবং মামলার ফলাফল না পেলে করার কিছু থাকে না সাংবিধানিক সংস্থাটির।

তবে ‘বাহারের আচরণের’ কড়া জবাব দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। কুমিল্লায় নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, ‘তিনি (এমপি বাহার) আইন অমান্য করে নির্বাচনী এলাকায় আছেন। তবে আইনের কিছু ফাঁক-ফোঁকরকে তিনি ব্যবহার করছেন। আমাদেরও সময় আসবে। ওয়েট অ্যান্ড সি।’

অন্য নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছিলেন, ‘তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। উনারা আইন প্রণয়ন করেন। যদি উনারাই আইন না মানেন, তাহলে আর কী বলব! উনাকে তো আর আমরা টেনে-হিঁচড়ে নামাতে পারি না। এখানে ইজ্জত গেল কার আপনারাই বুঝুন।’

এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ জাতীয় সংসদে বলেন, সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের এলাকা ত্যাগ না করার মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশনের ‘অসহায়ত্ব প্রকাশ’ পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের অসহায়ত্ব প্রকাশ তার অন্যতম নজির। কোন সন্দেহ নেই।’

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কোন সংসদ সদস্যকে তার নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা তার ‘মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের’ শামিল।

১৫ জুন কুসিক ভোট শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছিলেন, ‘বাহার প্রসঙ্গ পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড।’

কিন্তু ভোটের পাঁচ দিনের মাথায় গতকাল সাংবাদিকরা যখন আবারও ‘বাহার প্রসঙ্গ’ ধরে প্রশ্ন করলেন, সিইসির কথায় ইসির আগের অবস্থানের সঙ্গে মিল পাওয়া গেল না।

কুসিক নির্বাচন নিয়ে সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কিছু অনুরোধ বা অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে তিনি (বাহাউদ্দিন) কৌশলে প্রচারণা করছেন। তারপর আমরা আমাদের আইনকানুন দেখেছি। আমরা কিন্তু কোন লোককে তার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আমরা তাকে নির্দেশ দিই নাই। বিনীতভাবে অনুরোধ আর আদেশকে যদি এক করে দেখেন! কারণ, আমরা কিন্তু বেআইনিভাবে আদেশ করতে চাই না।’

সিইসি বলেন, ‘আগে একজন মন্ত্রীকে এক ঘণ্টার নোটিশে বের করে দেয়া হয়েছিল। তিনি বাইরে থেকে এসে প্রচার চালিয়েছিলেন। বাহাউদ্দিন দিনাজপুরের লোক নন, তিনি কুমিল্লার লোক। তাকে আমরা স্থান ত্যাগ করতে বলতে পারি না এবং বলি নাই। কাজেই তিনি কোন কিছু ভঙ্গ করেননি। আমরাও কোন ব্যর্থ হই নাই। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি, তিনি তা রক্ষা করতেও পারেন, নাও করতে পারেন। অনুরোধ আর আদেশকে একাকার করে ফেললে হবে না।’

দু’জন নির্বাচন কমিশনার যখন কুমিল্লা সিটিতে গেলেন, তখন তারাও বলেছেন, ‘বাহাউদ্দিন আইন ভঙ্গ করেছেন’। সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যখন আপনারা প্রশ্ন করতে থাকেন, উনি কেন আমরাও ঘাবড়ে যাই। আইনকে গাইন বলি। গাইনকে আইন বলে ফেলি। এটা হয়ত আপনারা বলেছেন, আদেশ করেছেন, আদেশ মানছে না কেন? তিনি হয়তো বলেছেন, তিনি না মানলে আমরা কী করব!’

ইসির চিঠির শেষে অনুরোধের কথা বলা থাকলেও এলাকা ত্যাগ করার কথাও উল্লেখ ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা অনেক শব্দ ভুল বলতে পারি। কিন্তু শেষ বাক্য, যেখানে বলা হয়েছে, আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। অনুরোধ ও আদেশের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, সেটা আপনারা বোঝার চেষ্টা করবেন।’

এদিকে ইসির চিঠি প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য বাহার বলেছিলেন, ‘চিঠিটা ভাষাগতভাবেও ঠিক হয় নাই। একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে ‘নির্দেশ’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে না কেউ। চিঠিটা অসমাপ্ত। চিঠিতে আইনের পুরো ব্যাখ্যা নাই।’

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বাড়ি কুমিল্লা নগরের মুন্সেফ বাড়িতে। নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সংসদ সদস্য বাহারের শীষ্য হিসেবে পরিচিত। ১৫ জুন কুসিক নির্বাচনে রিফাত ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে গত দুইবারের মেয়র (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেন।

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ , ৭ আষাড় ১৪২৮ ২১ জিলকদ ১৪৪৩

বাহার প্রসঙ্গ : সিইসির ‘ভিন্ন সুর’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ৫ দিন পর ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নিয়ে এবার ‘ভিন্ন সুরে’ কথা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নৌকার মেয়র প্রার্থী রিফাতের পক্ষে প্রচারণা এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ছিল সংসদ সদস্য বাহারের বিরুদ্ধে। আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা প্রচারে নামতে পারেন না।

‘আইন ভাঙার অভিযোগে’ সংসদ সদস্য বাহারকে এলাকা ত্যাগ করতে চিঠি দিয়েছিল ইসি।

তবে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছেন, সংসদ সদস্য বাহার ‘আইন ভাঙেননি’। তাকে ‘কোন নির্দেশও’ ইসি দেয়নি। একজন সংসদ সদস্যকে ইসি এলাকা ছাড়তে বলতে পারে না, বলেওনি। তাকে ‘বিনীতভাবে অনুরোধ’ জানানো হয়েছিল। বাহার প্রসঙ্গে কমিশন ‘ব্যর্থ হয়নি’ বলে দাবি করেন সিইসি।

কুসিক নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় সংসদ সদস্য বাহারকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে ইসির পাঠানো চিঠির শেষে ‘বিনীতভাবে অনুরোধ’ শব্দদ্বয়জুড়ে দেয়া হয়েছিল। সংসদ সদস্য বাহার ইসির নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গিয়ে রুল পান এবং তিনি কুমিল্লায়ই ছিলেন। যদিও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসির আইনজীবী উচ্চ আদালতে ছিলেন কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

বাহারের কুমিল্লা না ছাড়ার বিষয়টি বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ‘নতুন ইসির সক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ওই প্রেক্ষাপটে সিইসি বলেছিলেন, সংসদ সদস্যের জন্য ইসির অনুরোধই ‘যথেষ্ট’। এরপরও না মানলে এবং মামলার ফলাফল না পেলে করার কিছু থাকে না সাংবিধানিক সংস্থাটির।

তবে ‘বাহারের আচরণের’ কড়া জবাব দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। কুমিল্লায় নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, ‘তিনি (এমপি বাহার) আইন অমান্য করে নির্বাচনী এলাকায় আছেন। তবে আইনের কিছু ফাঁক-ফোঁকরকে তিনি ব্যবহার করছেন। আমাদেরও সময় আসবে। ওয়েট অ্যান্ড সি।’

অন্য নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছিলেন, ‘তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। উনারা আইন প্রণয়ন করেন। যদি উনারাই আইন না মানেন, তাহলে আর কী বলব! উনাকে তো আর আমরা টেনে-হিঁচড়ে নামাতে পারি না। এখানে ইজ্জত গেল কার আপনারাই বুঝুন।’

এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ জাতীয় সংসদে বলেন, সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের এলাকা ত্যাগ না করার মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশনের ‘অসহায়ত্ব প্রকাশ’ পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের অসহায়ত্ব প্রকাশ তার অন্যতম নজির। কোন সন্দেহ নেই।’

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কোন সংসদ সদস্যকে তার নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা তার ‘মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের’ শামিল।

১৫ জুন কুসিক ভোট শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছিলেন, ‘বাহার প্রসঙ্গ পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড।’

কিন্তু ভোটের পাঁচ দিনের মাথায় গতকাল সাংবাদিকরা যখন আবারও ‘বাহার প্রসঙ্গ’ ধরে প্রশ্ন করলেন, সিইসির কথায় ইসির আগের অবস্থানের সঙ্গে মিল পাওয়া গেল না।

কুসিক নির্বাচন নিয়ে সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কিছু অনুরোধ বা অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে তিনি (বাহাউদ্দিন) কৌশলে প্রচারণা করছেন। তারপর আমরা আমাদের আইনকানুন দেখেছি। আমরা কিন্তু কোন লোককে তার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আমরা তাকে নির্দেশ দিই নাই। বিনীতভাবে অনুরোধ আর আদেশকে যদি এক করে দেখেন! কারণ, আমরা কিন্তু বেআইনিভাবে আদেশ করতে চাই না।’

সিইসি বলেন, ‘আগে একজন মন্ত্রীকে এক ঘণ্টার নোটিশে বের করে দেয়া হয়েছিল। তিনি বাইরে থেকে এসে প্রচার চালিয়েছিলেন। বাহাউদ্দিন দিনাজপুরের লোক নন, তিনি কুমিল্লার লোক। তাকে আমরা স্থান ত্যাগ করতে বলতে পারি না এবং বলি নাই। কাজেই তিনি কোন কিছু ভঙ্গ করেননি। আমরাও কোন ব্যর্থ হই নাই। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি, তিনি তা রক্ষা করতেও পারেন, নাও করতে পারেন। অনুরোধ আর আদেশকে একাকার করে ফেললে হবে না।’

দু’জন নির্বাচন কমিশনার যখন কুমিল্লা সিটিতে গেলেন, তখন তারাও বলেছেন, ‘বাহাউদ্দিন আইন ভঙ্গ করেছেন’। সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যখন আপনারা প্রশ্ন করতে থাকেন, উনি কেন আমরাও ঘাবড়ে যাই। আইনকে গাইন বলি। গাইনকে আইন বলে ফেলি। এটা হয়ত আপনারা বলেছেন, আদেশ করেছেন, আদেশ মানছে না কেন? তিনি হয়তো বলেছেন, তিনি না মানলে আমরা কী করব!’

ইসির চিঠির শেষে অনুরোধের কথা বলা থাকলেও এলাকা ত্যাগ করার কথাও উল্লেখ ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা অনেক শব্দ ভুল বলতে পারি। কিন্তু শেষ বাক্য, যেখানে বলা হয়েছে, আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। অনুরোধ ও আদেশের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, সেটা আপনারা বোঝার চেষ্টা করবেন।’

এদিকে ইসির চিঠি প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য বাহার বলেছিলেন, ‘চিঠিটা ভাষাগতভাবেও ঠিক হয় নাই। একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে ‘নির্দেশ’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে না কেউ। চিঠিটা অসমাপ্ত। চিঠিতে আইনের পুরো ব্যাখ্যা নাই।’

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বাড়ি কুমিল্লা নগরের মুন্সেফ বাড়িতে। নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সংসদ সদস্য বাহারের শীষ্য হিসেবে পরিচিত। ১৫ জুন কুসিক নির্বাচনে রিফাত ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে গত দুইবারের মেয়র (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেন।