অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াচ্ছে সরকার

সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি বলছে, জ্বালানি বিভাগের এই দাম বৃদ্ধির কোন আইনি স্বীকৃতি নেই। আইন অনুযায়ী, এই ক্ষমতা বিইআরসির।

মূল্যবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন মেনে করার দাবি জানিয়েছে ক্যাব। গতকাল ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম। এ সময় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, অধ্যাপক বদরুল ইমাম, এমএম আকাশসহ ক্যাবের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার দাবি করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। জ্বালানি তেলের মূল্য না বাড়িয়ে এই অর্থের সংস্থান কীভাবে হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, আমরা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা না করার বিষয়ে কথা বলছি না। আমরা বলছি সরকারের আইন মেনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এটি করতে হবে। এজন্য বিইআরসিতে শুনানি করে দাম বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ‘দিনে ৯০ কোটি টাকা লোকসানের অজুহাতে এই দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে ভোক্তারা চিন্তিত। বিআরসি আইনের ২২ এবং ৩৪ ধরা মতে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দায়িত্ব তাদের। ২৭ ধারা মতে বিপিসি বিইআরসির লাইসেন্সি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিইআরসি এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের দাম বিইআরসি নির্ধারণ করলে বোঝা যেত বিপিসি লিটার প্রতি কত বেশি দাম নিচ্ছে।’

জ্বালানি তেলের লুণ্ঠন দূর করতে হলে বিইআরসির মাধ্যমে দাম নির্ধারণের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।

অধ্যাপক শামসুল আলম আরও বলেন, গত বছর ৩ অক্টোবর ডিজেল এবং কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাব উচ্চ আদালেত রিট পিটিশন দায়ের করেছে। এই মামলা শুনানি চলমান থাকাকালে আবার বিপিসি নিজেই ফার্নেস অয়েলের দাম বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, জ্বালানি খাতে আইনের শাসন অচল।

জ্বালানি বিভাগ এবং বিপিসির পরিবর্তে সব ধরনের জ্বালানির দাম বিইআরসির মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে হবে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া বিপিসির সব হিসাব মহাহিসাব নিরীক্ষকের মাধ্যমে অডিট করাতে হবে। নিজস্ব উদ্যোগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

রাষ্ট্র অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে অভিযোগ করে অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ‘বিইআরসি থাকতে রাষ্ট্র কীভাবে আইন অমান্য করে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করে। আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছিলাম রাষ্ট্র আমাদের কাছ থেকে বাড়তি গ্যাসের বিল আদায় করে। এখন বিইআরসি সেটি মেনে নিয়েছে। আগে আমাদের কাছ থেকে ৭৭ ঘনমিটার গ্যাসের দাম নেয়া হতো। এখন বিইআরসি ৬০ ঘনমিটারে নামিয়ে এনেছে। ’ তিনি বলেন, বিপিসির বলা উচিত তারা লুণ্ঠন করছে না।

এমএম আকাশ বলেন, ‘স্বচ্ছ আইনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করতে হবে। বিইআরসিতে সেই আইন রয়েছে। কিন্তু বিইআরসি কি কোন দাম নির্ধারণ করেছে। যদি না করে থাকে তাহলে বিপিসি কিভাবে দাম নির্ধারণ করে। বিপিসির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আদালতে গেছি। আদালত তাদের প্রশ্ন তুলেছে। এর ভিত্তিতে সরকার তাদের কোন প্রশ্ন করেছে, করেনি। কারণ এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।’ তিনি বলেন, সরকার যদি নিজেই নিজের আইন ভাঙে তাহলে তারা একটা আইন করুক, যে ‘সরকার যা খুশি তাই করতে পারবে।’

বিপিসি বাস-ট্রাক-মালিক অ্যাসোসিয়েশন কি না প্রশ্ন তুলে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘বিপিসি কীভাবে আইন ভাঙে। তারা সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার করেছে। এখন সংবাদমাধ্যমের সরকারের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কেন তারা আইন ভাঙছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব চারটি দাবি তোলে। দাবিগুলো হচ্ছেÑ জ্বালানি বিভাগ বা বিপিসির পরিবর্তে ডিজেল, ফার্নেসওয়েল এবং কেরোসিনের মূল্য পরিবর্তন বা সমন্বয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানির ভিত্তিতে বৈধভাবে বিইআরসি কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা বিপিসির আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তরল জ্বালানি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়াদি নিবিড় পর্যালোচনা করাতে হবে।

জ্বালানি খাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সব লাইসেন্সিদের পরিচালনা বোর্ড তথা প্রশাসন থেকে জ্বালানি বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাদের অবমুক্ত করতে হবে। আর এসব কর্মকর্তা কর্তৃক লাইসেন্সিদের কাছ থেকে গৃহীত আর্থিক সুবিধাদি অবৈধ বিধায় গৃহীত সমুদয় অর্থ তাদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে বলেও দাবি জানায় সংগঠনটি।

আর বিইআরসি আইন লঙ্ঘন করে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য নির্ধারণের অপরাধে জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সচিব, সিনিয়র সচিব (ভূতপূর্বসহ) এবং বিপিসির চেয়ারম্যান (ভূতপূর্বসহ)- এদের বিইআরসি আইনের ৪২ ধারা মতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আনার দাবিও জানান ক্যাব নেতারা।

আরও খবর
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আইনের খসড়া অনুমোদন
পদ্মা সেতু : ভাবতে গেলে তিনটি শব্দ ভেসে উঠে সাহস, সংকল্প ও সমৃদ্ধি
বিএনপি নেতারা বন্যার্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন : তথ্যমন্ত্রী
করোনা : শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়ালো, মৃত্যু ১
সুফিয়া কামাল ছিলেন নারীমুক্তিকে মানবমুক্তি হিসেবে দেখার মন্ত্রে দীক্ষিত
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা, গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ ১৫, গ্রেপ্তার ৮
মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা চেপে ধরে সাত বছরের ছাত্রকে জবাই
হবিগঞ্জে বন্যার্তদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় চাকরিচ্যুত ৮
তারেকের দুই বন্ধুসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
আলোচিত স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার
জাতীয় স্লোগানে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ যুক্ত চেয়ে আইনি নোটিশ
‘আমারে ফাঁসি দিয়া আসামিগো মুক্তি দিক’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাম-পেশা পরিবর্তন করে ৩১ বছর আত্মগোপনে

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ , ৭ আষাড় ১৪২৮ ২১ জিলকদ ১৪৪৩

অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াচ্ছে সরকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি বলছে, জ্বালানি বিভাগের এই দাম বৃদ্ধির কোন আইনি স্বীকৃতি নেই। আইন অনুযায়ী, এই ক্ষমতা বিইআরসির।

মূল্যবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন মেনে করার দাবি জানিয়েছে ক্যাব। গতকাল ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম। এ সময় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, অধ্যাপক বদরুল ইমাম, এমএম আকাশসহ ক্যাবের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার দাবি করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। জ্বালানি তেলের মূল্য না বাড়িয়ে এই অর্থের সংস্থান কীভাবে হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, আমরা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা না করার বিষয়ে কথা বলছি না। আমরা বলছি সরকারের আইন মেনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এটি করতে হবে। এজন্য বিইআরসিতে শুনানি করে দাম বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ‘দিনে ৯০ কোটি টাকা লোকসানের অজুহাতে এই দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে ভোক্তারা চিন্তিত। বিআরসি আইনের ২২ এবং ৩৪ ধরা মতে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দায়িত্ব তাদের। ২৭ ধারা মতে বিপিসি বিইআরসির লাইসেন্সি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিইআরসি এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের দাম বিইআরসি নির্ধারণ করলে বোঝা যেত বিপিসি লিটার প্রতি কত বেশি দাম নিচ্ছে।’

জ্বালানি তেলের লুণ্ঠন দূর করতে হলে বিইআরসির মাধ্যমে দাম নির্ধারণের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।

অধ্যাপক শামসুল আলম আরও বলেন, গত বছর ৩ অক্টোবর ডিজেল এবং কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাব উচ্চ আদালেত রিট পিটিশন দায়ের করেছে। এই মামলা শুনানি চলমান থাকাকালে আবার বিপিসি নিজেই ফার্নেস অয়েলের দাম বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, জ্বালানি খাতে আইনের শাসন অচল।

জ্বালানি বিভাগ এবং বিপিসির পরিবর্তে সব ধরনের জ্বালানির দাম বিইআরসির মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে হবে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া বিপিসির সব হিসাব মহাহিসাব নিরীক্ষকের মাধ্যমে অডিট করাতে হবে। নিজস্ব উদ্যোগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

রাষ্ট্র অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে অভিযোগ করে অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ‘বিইআরসি থাকতে রাষ্ট্র কীভাবে আইন অমান্য করে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করে। আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছিলাম রাষ্ট্র আমাদের কাছ থেকে বাড়তি গ্যাসের বিল আদায় করে। এখন বিইআরসি সেটি মেনে নিয়েছে। আগে আমাদের কাছ থেকে ৭৭ ঘনমিটার গ্যাসের দাম নেয়া হতো। এখন বিইআরসি ৬০ ঘনমিটারে নামিয়ে এনেছে। ’ তিনি বলেন, বিপিসির বলা উচিত তারা লুণ্ঠন করছে না।

এমএম আকাশ বলেন, ‘স্বচ্ছ আইনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করতে হবে। বিইআরসিতে সেই আইন রয়েছে। কিন্তু বিইআরসি কি কোন দাম নির্ধারণ করেছে। যদি না করে থাকে তাহলে বিপিসি কিভাবে দাম নির্ধারণ করে। বিপিসির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আদালতে গেছি। আদালত তাদের প্রশ্ন তুলেছে। এর ভিত্তিতে সরকার তাদের কোন প্রশ্ন করেছে, করেনি। কারণ এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।’ তিনি বলেন, সরকার যদি নিজেই নিজের আইন ভাঙে তাহলে তারা একটা আইন করুক, যে ‘সরকার যা খুশি তাই করতে পারবে।’

বিপিসি বাস-ট্রাক-মালিক অ্যাসোসিয়েশন কি না প্রশ্ন তুলে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘বিপিসি কীভাবে আইন ভাঙে। তারা সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার করেছে। এখন সংবাদমাধ্যমের সরকারের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কেন তারা আইন ভাঙছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব চারটি দাবি তোলে। দাবিগুলো হচ্ছেÑ জ্বালানি বিভাগ বা বিপিসির পরিবর্তে ডিজেল, ফার্নেসওয়েল এবং কেরোসিনের মূল্য পরিবর্তন বা সমন্বয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানির ভিত্তিতে বৈধভাবে বিইআরসি কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা বিপিসির আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তরল জ্বালানি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়াদি নিবিড় পর্যালোচনা করাতে হবে।

জ্বালানি খাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সব লাইসেন্সিদের পরিচালনা বোর্ড তথা প্রশাসন থেকে জ্বালানি বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাদের অবমুক্ত করতে হবে। আর এসব কর্মকর্তা কর্তৃক লাইসেন্সিদের কাছ থেকে গৃহীত আর্থিক সুবিধাদি অবৈধ বিধায় গৃহীত সমুদয় অর্থ তাদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে বলেও দাবি জানায় সংগঠনটি।

আর বিইআরসি আইন লঙ্ঘন করে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য নির্ধারণের অপরাধে জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সচিব, সিনিয়র সচিব (ভূতপূর্বসহ) এবং বিপিসির চেয়ারম্যান (ভূতপূর্বসহ)- এদের বিইআরসি আইনের ৪২ ধারা মতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আনার দাবিও জানান ক্যাব নেতারা।