নারীমুক্তিকে মানবমুক্তি হিসেবে দেখার যে মন্ত্র বেগম রোকেয়া ছড়িয়েছিলেন, সেই মন্ত্রে এবং কাজে দীক্ষিত ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। নারীমুক্তি আন্দোলনে তার দীর্ঘ সক্রিয়তা দেশে তো বটেই সারাবিশে^র বিচারেই বিরল হয়ে থাকবে।
গতকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে কবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘সুফিয়া কামাল ও নারীবাদী আন্দোলন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন।
কাবেরী গায়েন বলেন, ১৯৭০ সালে মহিলা পরিষদ গঠিত হওয়ার পরে এদেশের নতুন নারীদের আন্দোলন-সংগ্রামের মশালবাহক হয়ে ওঠেন সুফিয়া কামাল। তিনি দীর্ঘ সংগ্রামী অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলেন, দেশের সব নারী আন্দোলনকারী সংগঠনকে এক সূত্রে বেঁধে, এক স্বরে নারীনির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই কেবল সাফল্য আশা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সুফিয়া কামাল নারী আন্দোলনের নতুন বিকাশ ও বিস্তারের পাশাপাশি সত্তরের দশক থেকে পাশ্চাত্যের নারীবাদী চিন্তা ও কর্মসম্পাদন কৌশলের প্রয়োগযোগ্যতা এদেশের প্রেক্ষাপটে বিচার করে গ্রহণ-বর্জনের বিবেচনা করেছেন এবং দীর্ঘ সময় ধারাবাহিকভাবে নারীমুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্বে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি সুফিয়া কামালের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ানকে।
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবির জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী বুলবুল ইসলাম ও সুষ্মিতা আহমেদ। সংগীত শিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ান স্মৃতিচারণ করে বলেন, শৈশব থেকেই কবি সুফিয়া কামালের সঙ্গে সময় কেটেছে। আমার সংগীত কর্মসহ সব কর্মকা-ের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ , ৭ আষাড় ১৪২৮ ২১ জিলকদ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
নারীমুক্তিকে মানবমুক্তি হিসেবে দেখার যে মন্ত্র বেগম রোকেয়া ছড়িয়েছিলেন, সেই মন্ত্রে এবং কাজে দীক্ষিত ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। নারীমুক্তি আন্দোলনে তার দীর্ঘ সক্রিয়তা দেশে তো বটেই সারাবিশে^র বিচারেই বিরল হয়ে থাকবে।
গতকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে কবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘সুফিয়া কামাল ও নারীবাদী আন্দোলন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন।
কাবেরী গায়েন বলেন, ১৯৭০ সালে মহিলা পরিষদ গঠিত হওয়ার পরে এদেশের নতুন নারীদের আন্দোলন-সংগ্রামের মশালবাহক হয়ে ওঠেন সুফিয়া কামাল। তিনি দীর্ঘ সংগ্রামী অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলেন, দেশের সব নারী আন্দোলনকারী সংগঠনকে এক সূত্রে বেঁধে, এক স্বরে নারীনির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই কেবল সাফল্য আশা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সুফিয়া কামাল নারী আন্দোলনের নতুন বিকাশ ও বিস্তারের পাশাপাশি সত্তরের দশক থেকে পাশ্চাত্যের নারীবাদী চিন্তা ও কর্মসম্পাদন কৌশলের প্রয়োগযোগ্যতা এদেশের প্রেক্ষাপটে বিচার করে গ্রহণ-বর্জনের বিবেচনা করেছেন এবং দীর্ঘ সময় ধারাবাহিকভাবে নারীমুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্বে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি সুফিয়া কামালের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ানকে।
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবির জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী বুলবুল ইসলাম ও সুষ্মিতা আহমেদ। সংগীত শিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ান স্মৃতিচারণ করে বলেন, শৈশব থেকেই কবি সুফিয়া কামালের সঙ্গে সময় কেটেছে। আমার সংগীত কর্মসহ সব কর্মকা-ের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন তিনি।