পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি জটিলতার দ্রুত সমাধান চায় বিজিএমইএ

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বর্তমানে রপ্তানি আদেশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কাজ সহজ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউজ পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট আমদানিতে এইচএস কোডসহ নানা জটিলতার কারণে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে কাস্টমস হাউজ কমিশনারের এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ নেতা সৈয়দ নজরুল বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অক্ষত রপ্তানি চালানগুলো দ্রুত জাহাজীকরণে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তৈরি পোশাক শিল্পের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ও এর গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এ খাতের সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের নির্দেশনা রয়েছে।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ পোশাক শিল্পের আমদানি চালানে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতায় নমনীয় ভাব পোষণ না করে উচ্চ হারে জরিমানা আদায় করছে। ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো রপ্তানি সক্ষমতা হারাচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বলেন, দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রপ্তানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের কোন বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কমিশনার এম ফখরুল আলম বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতার নিরসনসহ অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।

সেজন্য বিষয়গুলো দ্রুত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে উপস্থাপন করা দরকার।

বুধবার, ২২ জুন ২০২২ , ৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলকদ ১৪৪৩

পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি জটিলতার দ্রুত সমাধান চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বর্তমানে রপ্তানি আদেশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কাজ সহজ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউজ পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট আমদানিতে এইচএস কোডসহ নানা জটিলতার কারণে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে কাস্টমস হাউজ কমিশনারের এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ নেতা সৈয়দ নজরুল বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অক্ষত রপ্তানি চালানগুলো দ্রুত জাহাজীকরণে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তৈরি পোশাক শিল্পের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ও এর গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এ খাতের সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের নির্দেশনা রয়েছে।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ পোশাক শিল্পের আমদানি চালানে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতায় নমনীয় ভাব পোষণ না করে উচ্চ হারে জরিমানা আদায় করছে। ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো রপ্তানি সক্ষমতা হারাচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বলেন, দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রপ্তানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের কোন বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কমিশনার এম ফখরুল আলম বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতার নিরসনসহ অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।

সেজন্য বিষয়গুলো দ্রুত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে উপস্থাপন করা দরকার।