অপরিকল্পিত রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ হাওর অঞ্চলে বন্যার কারণ

বাংলাদেশ মূলত একটি বদ্বীপ অঞ্চল। এখানে উন্নয়ন পরিকল্পনা করার সময় এদেশের প্রকৃতির চরিত্র বিবেচনায় নিতে হবে। ‘এই বন্যার ফলে প্রকৃতিই বলে দিল কোনভাবেই যত্রতত্র রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ সঠিক সিদ্ধান্ত না’। ‘বন্যার অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে বৈশ্বিক, আন্তঃদেশীয়, এবং অভ্যন্তরীণ কারণকেই দায়ী করা যায়। অপরিকল্পিত রাস্তা ব্রিজ ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণ হাওর অঞ্চলের বন্যার কারণ বলে দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) উদ্যোগে গতকাল ‘আকস্মিক বন্যায় সিলেটে মানবিক বিপর্যয় : কারণ ও করণীয়’-শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বেনের বৈশ্বিক সমন্বয়ক ও যুক্তরাষ্ট্রের লক হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন, মেঘনা অববাহিকা অঞ্চলের মাটি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে থাকার কারণে বৃষ্টির পানি ভূউপরিস্থ প্রবাহে রূপান্তরিত হয়ে নদী-নালা-খাল-বিল প্লাবিত করে বন্যার সৃষ্টি করেছে। এ বছরের আগেও ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও হাওরের বিভিন্ন অংশে বন্যা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘বন্যার অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে বৈশ্বিক, আন্তঃদেশীয়, এবং আভ্যন্তরীণ কারণকেই দায়ী করা যায়। বৈশ্বিক কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে আমাদের অঞ্চলে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং বন্যার মাত্রা যে বেড়ে যাবে তা বিজ্ঞানীরা আগেই প্রাক্কলন করেছিলেন।’

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রগামী নদীর প্রবাহ ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পড়ছে এবং নদীগুলো আগের মতো কার্যকরভাবে পানি নিষ্কাশন করতে পারছে না। নদীর ধীরগতির কারণে হাওর অঞ্চলে বন্যা প্রলম্বিত হচ্ছে। আন্তঃদেশীয় কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উজানের দেশ ভারতের এক তরফাভাবে মেঘনা অববাহিকার প্রত্যেকটি নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, বনাঞ্চল উজাড় করা এবং কয়লা ও অন্য খনিজ পদার্থ উত্তোলনের মাধ্যমে প্রচুর পলি এবং রাসায়নিক দূষণ সৃষ্টি। ডক্টর খালেকুজ্জামান বলেন ‘রাস্তার পরিবর্তে উড়াল সড়ক করতে হবে যেন নদীর সাধারণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়, সঠিক পন্থায় নদী খনন করতে হবে এবং আন্তঃনদীগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাপার সহসভাপতি ও বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, নদ-নদীকে প্লাবনভূমিতে আসতে দিবে না এ ধারাতে গত সাত দশক ধরে বাঁধ নির্মাণের নিয়ম চালু রেখেছে এদেশের সরকার। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে নদীকে কোনভাবেই বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা যায় না।

তিনি বলেন নদীতে বন্যার পানি আসবেই এটাই স্বাভাবিকের উপরে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা যাবে না। আমরা মনে করি সিলেট সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির একটি মূল কারণ এ বাঁধ বা সড়ক নির্মাণ। আমরা জানি, সিলেট অঞ্চলে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে যা মূলত অত্র এলাকার স্থায়ী বন্যা সৃষ্টির কারণ।’

ড. নজরুল বলেন ‘এই বন্যার ফলে প্রকৃতিই বলে দিলো কোনভাবেই যত্রতত্র রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ সঠিক সিদ্ধান্ত না।’ তিনি আরও বলেন ‘এলাকার পানি যেন অবাধে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। কোনভাবেই নদীতে অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। ভূ-প্রকৃতির চরিত্র তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণা ব্যতিত কোনভাবেই সড়ক নির্মাণ করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশে বলা হয় নদীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষ্টি, শিল্প-সাহিত্য, সভ্যতা, এবং ব-দ্বীপ গঠনে নদীর ভূমিকা হৃদঙ্গম করে নদী ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করতে হবে। নদীর প্রাকৃতিক কার্যপ্রক্রিয়া আমলে নিয়ে নদীর প্লাবনভূমি নদীর প্রবাহের জন্য বরাদ্দ রেখে, উন্নয়ন কর্মকা-ের নামে নদীর ধ্বংস প্রক্রিয়া রহিত করে, জলবায়ু প্রবর্তনহেতু সৃষ্ট বাড়তি প্রবাহ ধারণের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী বক্ষ থেকে বাড়তি পলি ক্রমান্বয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সরাতে হবে। নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রত্যেকটি নদীর উৎসমুখ পর্যন্ত অববাহিকাভিত্তিক সমন্বিত পানি-পলি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সমস্ত অংশীজনের স্বার্থরক্ষাকারী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। জাতিসংঘের পানি প্রবাহ আইন কার্যকর করে, সেই আইনের আলোকে চুক্তি করতে হবে এবং গ্যারান্টি ক্লজসহ সেই চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত আন্তঃদেশীয় নদীর পানি-পলি ব্যবস্থাপনাকে রাষ্ট্রীয় কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। নদী বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে এই সত্যটি সবার হৃদয়ে ধারণ করতে হবে এবং সেই মোতাবেক সমস্ত কর্মকা- পরিচালনা করতে হবে। হাওরে রাস্তার পরিবর্তে উড়াল সেতু নির্মাণ করতে হবে। অফটিমাইজেশন এক্সারসাইজের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে। নদীতে বাঁধ পদ্ধতি পরিহার করে উন্মুক্ত পদ্ধতি চালু করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবদুল হাই আল হাদী, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শারমীন মুরশিদ ও মিহির বিশ^াস, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার ,বাপা’র নদী ও জলাশয়বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. হালিম দাদ খান, বাপা নির্বাহী কমিটির সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা, যুব বাপা’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রাওমান স্মিতা প্রমুখ।

বুধবার, ২২ জুন ২০২২ , ৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলকদ ১৪৪৩

পরিবেশবাদীদের দাবি

অপরিকল্পিত রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ হাওর অঞ্চলে বন্যার কারণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ মূলত একটি বদ্বীপ অঞ্চল। এখানে উন্নয়ন পরিকল্পনা করার সময় এদেশের প্রকৃতির চরিত্র বিবেচনায় নিতে হবে। ‘এই বন্যার ফলে প্রকৃতিই বলে দিল কোনভাবেই যত্রতত্র রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ সঠিক সিদ্ধান্ত না’। ‘বন্যার অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে বৈশ্বিক, আন্তঃদেশীয়, এবং অভ্যন্তরীণ কারণকেই দায়ী করা যায়। অপরিকল্পিত রাস্তা ব্রিজ ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণ হাওর অঞ্চলের বন্যার কারণ বলে দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) উদ্যোগে গতকাল ‘আকস্মিক বন্যায় সিলেটে মানবিক বিপর্যয় : কারণ ও করণীয়’-শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বেনের বৈশ্বিক সমন্বয়ক ও যুক্তরাষ্ট্রের লক হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন, মেঘনা অববাহিকা অঞ্চলের মাটি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে থাকার কারণে বৃষ্টির পানি ভূউপরিস্থ প্রবাহে রূপান্তরিত হয়ে নদী-নালা-খাল-বিল প্লাবিত করে বন্যার সৃষ্টি করেছে। এ বছরের আগেও ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও হাওরের বিভিন্ন অংশে বন্যা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘বন্যার অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে বৈশ্বিক, আন্তঃদেশীয়, এবং আভ্যন্তরীণ কারণকেই দায়ী করা যায়। বৈশ্বিক কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে আমাদের অঞ্চলে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং বন্যার মাত্রা যে বেড়ে যাবে তা বিজ্ঞানীরা আগেই প্রাক্কলন করেছিলেন।’

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রগামী নদীর প্রবাহ ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পড়ছে এবং নদীগুলো আগের মতো কার্যকরভাবে পানি নিষ্কাশন করতে পারছে না। নদীর ধীরগতির কারণে হাওর অঞ্চলে বন্যা প্রলম্বিত হচ্ছে। আন্তঃদেশীয় কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উজানের দেশ ভারতের এক তরফাভাবে মেঘনা অববাহিকার প্রত্যেকটি নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, বনাঞ্চল উজাড় করা এবং কয়লা ও অন্য খনিজ পদার্থ উত্তোলনের মাধ্যমে প্রচুর পলি এবং রাসায়নিক দূষণ সৃষ্টি। ডক্টর খালেকুজ্জামান বলেন ‘রাস্তার পরিবর্তে উড়াল সড়ক করতে হবে যেন নদীর সাধারণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়, সঠিক পন্থায় নদী খনন করতে হবে এবং আন্তঃনদীগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাপার সহসভাপতি ও বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, নদ-নদীকে প্লাবনভূমিতে আসতে দিবে না এ ধারাতে গত সাত দশক ধরে বাঁধ নির্মাণের নিয়ম চালু রেখেছে এদেশের সরকার। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে নদীকে কোনভাবেই বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা যায় না।

তিনি বলেন নদীতে বন্যার পানি আসবেই এটাই স্বাভাবিকের উপরে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা যাবে না। আমরা মনে করি সিলেট সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির একটি মূল কারণ এ বাঁধ বা সড়ক নির্মাণ। আমরা জানি, সিলেট অঞ্চলে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে যা মূলত অত্র এলাকার স্থায়ী বন্যা সৃষ্টির কারণ।’

ড. নজরুল বলেন ‘এই বন্যার ফলে প্রকৃতিই বলে দিলো কোনভাবেই যত্রতত্র রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ সঠিক সিদ্ধান্ত না।’ তিনি আরও বলেন ‘এলাকার পানি যেন অবাধে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। কোনভাবেই নদীতে অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। ভূ-প্রকৃতির চরিত্র তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণা ব্যতিত কোনভাবেই সড়ক নির্মাণ করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশে বলা হয় নদীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষ্টি, শিল্প-সাহিত্য, সভ্যতা, এবং ব-দ্বীপ গঠনে নদীর ভূমিকা হৃদঙ্গম করে নদী ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করতে হবে। নদীর প্রাকৃতিক কার্যপ্রক্রিয়া আমলে নিয়ে নদীর প্লাবনভূমি নদীর প্রবাহের জন্য বরাদ্দ রেখে, উন্নয়ন কর্মকা-ের নামে নদীর ধ্বংস প্রক্রিয়া রহিত করে, জলবায়ু প্রবর্তনহেতু সৃষ্ট বাড়তি প্রবাহ ধারণের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী বক্ষ থেকে বাড়তি পলি ক্রমান্বয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সরাতে হবে। নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রত্যেকটি নদীর উৎসমুখ পর্যন্ত অববাহিকাভিত্তিক সমন্বিত পানি-পলি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সমস্ত অংশীজনের স্বার্থরক্ষাকারী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। জাতিসংঘের পানি প্রবাহ আইন কার্যকর করে, সেই আইনের আলোকে চুক্তি করতে হবে এবং গ্যারান্টি ক্লজসহ সেই চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত আন্তঃদেশীয় নদীর পানি-পলি ব্যবস্থাপনাকে রাষ্ট্রীয় কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। নদী বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে এই সত্যটি সবার হৃদয়ে ধারণ করতে হবে এবং সেই মোতাবেক সমস্ত কর্মকা- পরিচালনা করতে হবে। হাওরে রাস্তার পরিবর্তে উড়াল সেতু নির্মাণ করতে হবে। অফটিমাইজেশন এক্সারসাইজের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে। নদীতে বাঁধ পদ্ধতি পরিহার করে উন্মুক্ত পদ্ধতি চালু করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবদুল হাই আল হাদী, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শারমীন মুরশিদ ও মিহির বিশ^াস, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার ,বাপা’র নদী ও জলাশয়বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. হালিম দাদ খান, বাপা নির্বাহী কমিটির সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা, যুব বাপা’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রাওমান স্মিতা প্রমুখ।