বিশেষ কোনো দেশ বা জনগোষ্ঠী নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে পড়েছে সারা বিশ্বের মানুষ। বিশেষত গত ২০ বছরে এই প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে আমেরিকা মহাদেশেও। গেল ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের নানা কুফলে মারা যায় ৫ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং ৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (পিপিপি তে) ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর এর সরাসরি ফলাফল হিসাবে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে ১১ হাজারটি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে নাগরিক এবং ভোক্তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপ বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও বৈশ্বিক উষ্ণায়নরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমাদের পরিবেশবিষয়ক আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ করা উচিত।
প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন : গ্যাস, কয়লা, তেল ইত্যাদির ব্যবহার যথাযথভাবে নিশ্চিত করা উচিত, এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বনায়ন বৈশ্বিক উষ্ণতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সামাজিক বনায়নের ওপর আরও বেশি বেশি জোর দেয়া উচিত। এর জন্য আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বৃক্ষ রোপণ বৃদ্ধিতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি অপরিকল্পিত বনাঞ্চল নিধনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই হবে একটি নান্দনিক সিদ্ধান্ত।
আরফাতুর রহমান
বুধবার, ২২ জুন ২০২২ , ৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলকদ ১৪৪৩
বিশেষ কোনো দেশ বা জনগোষ্ঠী নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে পড়েছে সারা বিশ্বের মানুষ। বিশেষত গত ২০ বছরে এই প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে আমেরিকা মহাদেশেও। গেল ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের নানা কুফলে মারা যায় ৫ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং ৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (পিপিপি তে) ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর এর সরাসরি ফলাফল হিসাবে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে ১১ হাজারটি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে নাগরিক এবং ভোক্তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপ বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও বৈশ্বিক উষ্ণায়নরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমাদের পরিবেশবিষয়ক আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ করা উচিত।
প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন : গ্যাস, কয়লা, তেল ইত্যাদির ব্যবহার যথাযথভাবে নিশ্চিত করা উচিত, এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বনায়ন বৈশ্বিক উষ্ণতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সামাজিক বনায়নের ওপর আরও বেশি বেশি জোর দেয়া উচিত। এর জন্য আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বৃক্ষ রোপণ বৃদ্ধিতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি অপরিকল্পিত বনাঞ্চল নিধনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই হবে একটি নান্দনিক সিদ্ধান্ত।
আরফাতুর রহমান