শিশুশ্রম প্রতিরোধ করতে হবে

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষৎ। আগামী দিনে দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে আজকের শিশুরাই। একটি শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই শিশুর পারিবারিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান আইনে ১৮ বছর বয়স র্পযন্ত শিশু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্ত বাংলাদেশে দিন দিন বেড়েই চলছে শিশুশ্রম। ‘বাংলাদেশে শিশুশ্রমের অবস্থান’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় শিশুশ্রমের কারণ হিসেবে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চরম দারিদ্র্য, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু পিতৃবিয়োগ, বাবা-মা পরিত্যাজ্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি।

অথচ যে বয়সে হাতে বই কলম থাকার কথা, সেই বয়সেই তারা হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে কঠোর শ্রমের হাতিয়ার। নিজের কিংবা পরিবারের দুমুঠো অন্ন জোগাতে তারা এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। আমাদের দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু পারিপার্শ্বিক কারণে স্কুলে যেতে পারে না। অনেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে না। তাই মাঝপথে থেমে যায় তাদের পড়াশোনা।

নানাবিধ আইন থাকার পরেও কেন শিশুরা শারীরিক নির্যাতন, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না? এসব বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, স্বাস্থ্য সেবা, নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করাসহ হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের পুনর্বাসন, পর্যায়ক্রমে শিশু শ্রম নিরসন, শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার বন্ধ করা ও তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শিক্ষা ও বিনোদনের উপযুক্ত সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আজহার মাহমুদ

বুধবার, ২২ জুন ২০২২ , ৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলকদ ১৪৪৩

শিশুশ্রম প্রতিরোধ করতে হবে

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষৎ। আগামী দিনে দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে আজকের শিশুরাই। একটি শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই শিশুর পারিবারিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান আইনে ১৮ বছর বয়স র্পযন্ত শিশু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্ত বাংলাদেশে দিন দিন বেড়েই চলছে শিশুশ্রম। ‘বাংলাদেশে শিশুশ্রমের অবস্থান’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় শিশুশ্রমের কারণ হিসেবে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চরম দারিদ্র্য, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু পিতৃবিয়োগ, বাবা-মা পরিত্যাজ্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি।

অথচ যে বয়সে হাতে বই কলম থাকার কথা, সেই বয়সেই তারা হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে কঠোর শ্রমের হাতিয়ার। নিজের কিংবা পরিবারের দুমুঠো অন্ন জোগাতে তারা এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। আমাদের দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু পারিপার্শ্বিক কারণে স্কুলে যেতে পারে না। অনেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে না। তাই মাঝপথে থেমে যায় তাদের পড়াশোনা।

নানাবিধ আইন থাকার পরেও কেন শিশুরা শারীরিক নির্যাতন, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না? এসব বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, স্বাস্থ্য সেবা, নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করাসহ হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের পুনর্বাসন, পর্যায়ক্রমে শিশু শ্রম নিরসন, শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার বন্ধ করা ও তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শিক্ষা ও বিনোদনের উপযুক্ত সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আজহার মাহমুদ