ফায়ার সর্ভিসের আধুনিকায়ন জরুরি

দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় জীবন বাজি রেখে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন অগ্নিযোদ্ধা বা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দেশের কোথাও কোন দুর্ঘটনা বা বিপদের খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে চলেন

তারা। দেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম সাড়া প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে অগ্নিনির্বাপণ, অগ্নি প্রতিরোধ, উদ্ধার, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে প্রেরণ ও দেশি-বিদেশি ভিআইপিদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একইভাবে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম যেকোন দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। হাজার হাজার কর্মী বাহিনী দিয়ে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বাহিনীটি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তাদের দেশের সম্পদও বলা যায়।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম ডিপোতে অগ্নিকা-ের পর নিজেদের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ফায়ার ব্রিগেডের শত শত কর্মী। এ ঘটনায় অনেকে ঘটনাস্থলে আবার অনেকে হাসপাতালে হারিয়েছেন তাজা প্রাণ। দেশ ও দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন অনায়াসে। দেশের মানুষের জন্য তাদের এমন ভালোবাসা প্রশংসার দাবিদার। অগ্নিকা- মোকাবিলা করতে কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ ক্ষমতা আরো অত্যাধুনিক করা উচিত। দেশে এমন অনেক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে থাকে, যা বর্তমান যন্ত্রাংশ দিয়ে নির্বাপণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেন। এতে তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেদেরই প্রাণ দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণও জরুরি।

মাসুদ হোসেন

বুধবার, ২২ জুন ২০২২ , ৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলকদ ১৪৪৩

ফায়ার সর্ভিসের আধুনিকায়ন জরুরি

image

দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় জীবন বাজি রেখে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন অগ্নিযোদ্ধা বা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দেশের কোথাও কোন দুর্ঘটনা বা বিপদের খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে চলেন

তারা। দেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম সাড়া প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে অগ্নিনির্বাপণ, অগ্নি প্রতিরোধ, উদ্ধার, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে প্রেরণ ও দেশি-বিদেশি ভিআইপিদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একইভাবে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম যেকোন দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। হাজার হাজার কর্মী বাহিনী দিয়ে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বাহিনীটি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তাদের দেশের সম্পদও বলা যায়।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম ডিপোতে অগ্নিকা-ের পর নিজেদের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ফায়ার ব্রিগেডের শত শত কর্মী। এ ঘটনায় অনেকে ঘটনাস্থলে আবার অনেকে হাসপাতালে হারিয়েছেন তাজা প্রাণ। দেশ ও দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন অনায়াসে। দেশের মানুষের জন্য তাদের এমন ভালোবাসা প্রশংসার দাবিদার। অগ্নিকা- মোকাবিলা করতে কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ ক্ষমতা আরো অত্যাধুনিক করা উচিত। দেশে এমন অনেক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে থাকে, যা বর্তমান যন্ত্রাংশ দিয়ে নির্বাপণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেন। এতে তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেদেরই প্রাণ দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণও জরুরি।

মাসুদ হোসেন