প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু

উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে গর্বের প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা সেতু। অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেতুটির বর্তমান অবস্থানের পেছনের ইতিহাস অত্যন্ত চমকপ্রদ ও ঘটনাবহুল।

পদ্মা সেতুটি একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটেছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করেছে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিমি. বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯ ভাগ অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সেতুটিতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেতুটি কার্যকর হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

আরাফাত রহমান

বুধবার, ২২ জুন ২০২২ , ৮ আষাড় ১৪২৮ ২২ জিলকদ ১৪৪৩

প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু

image

উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে গর্বের প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা সেতু। অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেতুটির বর্তমান অবস্থানের পেছনের ইতিহাস অত্যন্ত চমকপ্রদ ও ঘটনাবহুল।

পদ্মা সেতুটি একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটেছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করেছে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিমি. বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯ ভাগ অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সেতুটিতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেতুটি কার্যকর হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

আরাফাত রহমান