ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয়, আছিয়া সি ফুডসকে শোকজ

শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা আছিয়া সি ফুডস লিমিটেড ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগ সঠিক কি না তা খতিয়ে দেখতে কোম্পানিটিকে শোকজ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আছিয়া সি ফুডস ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবন তৈরিতে কারসাজি হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানিটিকে ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, আছিয়া সি ফুডসের ২৭ হাজার ২৩ স্কয়ার ফিটের ভবন রয়েছে। পুরাতন ভবন সত্ত্বেও এটি নির্মাণে (জমি ছাড়া) ১২ কোটি ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮১ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি

স্কয়ার ফিট ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৭২ টাকা। যা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।

উল্লেখ্য চলতি বছর ১০ টাকা মূল্যের এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এসএমই প্ল্যাটফর্মে কিউআইওর মাধ্যমে আছিয়া সি ফুডসকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের লক্ষ্যে গত ১৯ জুন থেকে আবেদন নেয়া শুরু করেছে কোম্পানিটি। আজ বৃহস্পতিবার আবেদন নেয়ার শেষ দিন।

শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থ কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি স্থাপন, ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনার খরচ খাতে ব্যয় করবে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয়, আছিয়া সি ফুডসকে শোকজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা আছিয়া সি ফুডস লিমিটেড ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগ সঠিক কি না তা খতিয়ে দেখতে কোম্পানিটিকে শোকজ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আছিয়া সি ফুডস ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবন তৈরিতে কারসাজি হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানিটিকে ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, আছিয়া সি ফুডসের ২৭ হাজার ২৩ স্কয়ার ফিটের ভবন রয়েছে। পুরাতন ভবন সত্ত্বেও এটি নির্মাণে (জমি ছাড়া) ১২ কোটি ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮১ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি

স্কয়ার ফিট ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৭২ টাকা। যা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।

উল্লেখ্য চলতি বছর ১০ টাকা মূল্যের এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এসএমই প্ল্যাটফর্মে কিউআইওর মাধ্যমে আছিয়া সি ফুডসকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের লক্ষ্যে গত ১৯ জুন থেকে আবেদন নেয়া শুরু করেছে কোম্পানিটি। আজ বৃহস্পতিবার আবেদন নেয়ার শেষ দিন।

শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থ কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি স্থাপন, ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনার খরচ খাতে ব্যয় করবে।