ডোমারে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

নীলফামারীর ডোমারে ৫ম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার শিশু শিক্ষার্থী সিয়াম(১২) উপজেলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ও ছোট রাউতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মোফার ছেলে। শিক্ষার্থীটি বর্তমানে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার(২০জুন) বিকেলে উপজেলার ভূমি অফিস সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে।

গত সোমবার রাতে মেডিকেলে গিয়ে শিশুটির সাথে কথা হলে বলেন, আমি বিকেলে সাইকেল নিয়ে মাঠে (হেলিপ্যাড মাঠ) গেলে আমাকে দেখে রাহাদ মাহমুদ মৃন্ময়(১১) (কৃষি কর্মকর্তার ছেলে) বলেন মেথর যারা সাইকেল চালায় তারা। তাদেরকে কেউ দেখতে পায় না। তখন আমি বললাম আমি তো সাইকেল চালাই, তাই বলে আমি কি মেথর। মৃন্ময় ভালো হয়ে যাও বলায় সে আমাকে মারধর করে, আমিও গায়ে হাত তুলি। পরে আন্টি (কৃষি কর্মকর্তার স্ত্রী) এসে আমাকে মারতে মারতে তাদের বাসার সামনে (আবাসিক কোয়াটারে) নিয়ে যায়।

আন্টি আঙ্কেল কে ফোন দিলে তিনিও এসে আমাকে মারে এবং আমাকে মাটিতে ফেলায় বুকের উপরে পা তুলে দেন। আমি আঙ্কেল কে জোর হাত করে বলি আংকেল আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দেন। পরে পরিবারের লোকজন এসে সিয়ামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সিয়াম ও মৃন্ময় একই বিদ্যালয়ের ছাত্র। সিয়াম ৫ম শ্রেনী ও মৃন্ময় ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. নাহিদা জানান, শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সরকারী কাজে বাধা,অফিস ভাংচুর,মারপিটের ঘটনায় রাতে কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মোফা ও সৌরভ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রমিজ আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় অফিসে এসে কিছু লোক হামলা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

ডোমারে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রতিনিধি, ডোমার (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডোমারে ৫ম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার শিশু শিক্ষার্থী সিয়াম(১২) উপজেলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ও ছোট রাউতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মোফার ছেলে। শিক্ষার্থীটি বর্তমানে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার(২০জুন) বিকেলে উপজেলার ভূমি অফিস সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে।

গত সোমবার রাতে মেডিকেলে গিয়ে শিশুটির সাথে কথা হলে বলেন, আমি বিকেলে সাইকেল নিয়ে মাঠে (হেলিপ্যাড মাঠ) গেলে আমাকে দেখে রাহাদ মাহমুদ মৃন্ময়(১১) (কৃষি কর্মকর্তার ছেলে) বলেন মেথর যারা সাইকেল চালায় তারা। তাদেরকে কেউ দেখতে পায় না। তখন আমি বললাম আমি তো সাইকেল চালাই, তাই বলে আমি কি মেথর। মৃন্ময় ভালো হয়ে যাও বলায় সে আমাকে মারধর করে, আমিও গায়ে হাত তুলি। পরে আন্টি (কৃষি কর্মকর্তার স্ত্রী) এসে আমাকে মারতে মারতে তাদের বাসার সামনে (আবাসিক কোয়াটারে) নিয়ে যায়।

আন্টি আঙ্কেল কে ফোন দিলে তিনিও এসে আমাকে মারে এবং আমাকে মাটিতে ফেলায় বুকের উপরে পা তুলে দেন। আমি আঙ্কেল কে জোর হাত করে বলি আংকেল আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দেন। পরে পরিবারের লোকজন এসে সিয়ামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সিয়াম ও মৃন্ময় একই বিদ্যালয়ের ছাত্র। সিয়াম ৫ম শ্রেনী ও মৃন্ময় ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. নাহিদা জানান, শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সরকারী কাজে বাধা,অফিস ভাংচুর,মারপিটের ঘটনায় রাতে কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মোফা ও সৌরভ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রমিজ আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় অফিসে এসে কিছু লোক হামলা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।