কোম্পানীগঞ্জে কিশোরীকে গণধর্ষণ : থানায় মামলা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন, বসুরহাট পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবু দারদাহ ওরফে বাপ্পী (২৫) ও কবিরহাট পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো. সবুজের ছেলে হৃদয় (২৮)। এরমধ্যে বাপ্পীর সঙ্গে মেয়েটির পূর্বপরিচয় ছিল বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকার রোকেয়া এভিনিউ ভবনের নিচ তলায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিশোরীর মা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করে। তার দোকানে কেনা কাটা করার সুবাদে তার সাথে ওই কিশোরীর সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে, ১৬ জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। কিশোরী ভাড়া বাসায় গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় একে অপরের সহায়তায় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিল করেছে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

কোম্পানীগঞ্জে কিশোরীকে গণধর্ষণ : থানায় মামলা

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন, বসুরহাট পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবু দারদাহ ওরফে বাপ্পী (২৫) ও কবিরহাট পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো. সবুজের ছেলে হৃদয় (২৮)। এরমধ্যে বাপ্পীর সঙ্গে মেয়েটির পূর্বপরিচয় ছিল বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকার রোকেয়া এভিনিউ ভবনের নিচ তলায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিশোরীর মা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করে। তার দোকানে কেনা কাটা করার সুবাদে তার সাথে ওই কিশোরীর সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে, ১৬ জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। কিশোরী ভাড়া বাসায় গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় একে অপরের সহায়তায় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিল করেছে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।