টোলপ্লাজা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র ২ দিন বাকি। উদ্বোধনের প্রস্তুতির জন্য প্রকল্প এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছে নির্মাণ শ্রমিকরা। সেতুর টোলপ্লাজা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য প্রকল্প এলাকায় বসানো হচ্ছে পর্যাপ্ত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এছাড়া পুরোসেতুতে ইস্পাতের রেলিং বসানোর কাজ চলছে। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্বোধনের প্রস্তুতির জন্য সব ব্যস্ত সময় পার করছে। শেষ মুহূর্তের নানা খুঁটিনাটি কাজ করতে হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে কাজের মধ্যে রয়েছে নানা প্রতীক ও লতাপাতায় আঁকা রেলিং ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো। আগামী শনিবার উদ্বোধনের আগেই অ্যালুমিনিয়ামের রেলিং বসে যাবে।’

তিনি জানান, দুই বছর আগে কোভিড মহামারী এবং তারপর চলতি বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিদেশ থেকে রেলিং নিয়ে আসাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। পরে আকাশ ও সমুদ্রপথে রেলিং আনা হয় দুবাই ও যুক্তরাজ্য থেকে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হচ্ছে রেলিং, বসানো হচ্ছে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা। বিশেষভাবে তৈরি করা এই অ্যালুমিনিয়ামের রেলিং ‘শত বছর টেকসই’ হবে। নাট দিয়ে ফিটিং করা ১৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই রেলিং স্থাপন করা হচ্ছে সেতুর দুই পাড়ের প্যারাপেট ওয়ালের উপরে। আশা করছি ২৪ তারিখ বিকেলের মধ্যেও সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

ইতোমধ্যে সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেতুর রাস্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ নানা বিলবোর্ডও বসে গেছে।’

এছাড়া টোল আদায়ে যেসব যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে সেসব ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করতে পদ্মা সেতুতে টোল দিয়ে গাড়ি পারাপারে মহড়াও সেরে নিয়েছে সেতু বিভাগ। যান চলাচল মনিটরিং করতে সেতু এলাকার পুরোটাজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর দুই প্রান্তে মাওয়া-জাজিরায় দুটি টোল প্লাজা আছে, আর প্রতিটিতে বুথ আছে ছয়টি করে। এর মধ্যে একটিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করার ব্যবস্থা থাকছে। বাকি পাঁচটিতে যানবাহন থামিয়ে হাতে টাকা সংগ্রহ করে চলাচলের অনুমতি দেবেন টোল আদায়ে নিয়োজিত কর্মীরা। চাহিদা অনুযায়ী বুথ সংখ্যা বাড়ানো হবে।

তিনি জানান, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় টোল আদায় করার বুথে গাড়ি থামবে না। এখানে টোল আদায়ের পদ্ধতি হলো যানবাহন মালিকরা অগ্রিম টাকা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করবেন, যানবাহন টোল প্লাজার কাছাকাছি এলে সেই কার্ড থেকে টাকা কেটে নেয়া হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। তবে এ ব্যবস্থা চালু করতে মাস ছয়েক সময় লাগতে পারে।

জানা গেছে, সেতুতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য দুই পাড়ে রাখা হচ্ছে ফায়ার স্টেশন। এছাড়া ওজন স্টেশনও থাকছে। অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ করা এই স্টেশনের কাজ। এছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে গাড়ি অপসারণে ব্যবহৃত রেকারও ব্যবস্থা রয়েছে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

আর ২ দিন

টোলপ্লাজা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আর মাত্র ২ দিন বাকি। উদ্বোধনের প্রস্তুতির জন্য প্রকল্প এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছে নির্মাণ শ্রমিকরা। সেতুর টোলপ্লাজা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য প্রকল্প এলাকায় বসানো হচ্ছে পর্যাপ্ত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এছাড়া পুরোসেতুতে ইস্পাতের রেলিং বসানোর কাজ চলছে। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্বোধনের প্রস্তুতির জন্য সব ব্যস্ত সময় পার করছে। শেষ মুহূর্তের নানা খুঁটিনাটি কাজ করতে হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে কাজের মধ্যে রয়েছে নানা প্রতীক ও লতাপাতায় আঁকা রেলিং ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো। আগামী শনিবার উদ্বোধনের আগেই অ্যালুমিনিয়ামের রেলিং বসে যাবে।’

তিনি জানান, দুই বছর আগে কোভিড মহামারী এবং তারপর চলতি বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিদেশ থেকে রেলিং নিয়ে আসাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। পরে আকাশ ও সমুদ্রপথে রেলিং আনা হয় দুবাই ও যুক্তরাজ্য থেকে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হচ্ছে রেলিং, বসানো হচ্ছে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা। বিশেষভাবে তৈরি করা এই অ্যালুমিনিয়ামের রেলিং ‘শত বছর টেকসই’ হবে। নাট দিয়ে ফিটিং করা ১৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই রেলিং স্থাপন করা হচ্ছে সেতুর দুই পাড়ের প্যারাপেট ওয়ালের উপরে। আশা করছি ২৪ তারিখ বিকেলের মধ্যেও সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

ইতোমধ্যে সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেতুর রাস্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ নানা বিলবোর্ডও বসে গেছে।’

এছাড়া টোল আদায়ে যেসব যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে সেসব ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করতে পদ্মা সেতুতে টোল দিয়ে গাড়ি পারাপারে মহড়াও সেরে নিয়েছে সেতু বিভাগ। যান চলাচল মনিটরিং করতে সেতু এলাকার পুরোটাজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর দুই প্রান্তে মাওয়া-জাজিরায় দুটি টোল প্লাজা আছে, আর প্রতিটিতে বুথ আছে ছয়টি করে। এর মধ্যে একটিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করার ব্যবস্থা থাকছে। বাকি পাঁচটিতে যানবাহন থামিয়ে হাতে টাকা সংগ্রহ করে চলাচলের অনুমতি দেবেন টোল আদায়ে নিয়োজিত কর্মীরা। চাহিদা অনুযায়ী বুথ সংখ্যা বাড়ানো হবে।

তিনি জানান, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় টোল আদায় করার বুথে গাড়ি থামবে না। এখানে টোল আদায়ের পদ্ধতি হলো যানবাহন মালিকরা অগ্রিম টাকা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করবেন, যানবাহন টোল প্লাজার কাছাকাছি এলে সেই কার্ড থেকে টাকা কেটে নেয়া হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। তবে এ ব্যবস্থা চালু করতে মাস ছয়েক সময় লাগতে পারে।

জানা গেছে, সেতুতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য দুই পাড়ে রাখা হচ্ছে ফায়ার স্টেশন। এছাড়া ওজন স্টেশনও থাকছে। অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ করা এই স্টেশনের কাজ। এছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে গাড়ি অপসারণে ব্যবহৃত রেকারও ব্যবস্থা রয়েছে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।