বন্যাকবলিত এলাকায় মৃত্যু বেড়ে ৪২

দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনা এবং বিভিন্ন রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৭ মে থেকে ২২ জুন দুপুর পর্যন্ত পাঁচ দিনে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই সময়ে বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৩ জনে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ ও সিলেট বিভাগে ২১ জনসহ মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সিলেট।

সিলেটে ১৭ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জন করে। এসব জেলার বাইরে গাইবান্ধা ও শেরপুরে ৩ জন করে এবং কুড়িগ্রামে ২ জন ও লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন, যাদের মধ্যে ১২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ৪ জন, তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।

এদিকে গতকাল পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যেটি আগের দিন পর্যন্ত ছিল ২ হাজার ৯৩৪ জন। বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫১৬ জন। তবে এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩ জন। এক্ষেত্রেও কারো মৃত্যুর খবর নেই।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

বন্যাকবলিত এলাকায় মৃত্যু বেড়ে ৪২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনা এবং বিভিন্ন রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৭ মে থেকে ২২ জুন দুপুর পর্যন্ত পাঁচ দিনে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই সময়ে বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৩ জনে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ ও সিলেট বিভাগে ২১ জনসহ মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সিলেট।

সিলেটে ১৭ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জন করে। এসব জেলার বাইরে গাইবান্ধা ও শেরপুরে ৩ জন করে এবং কুড়িগ্রামে ২ জন ও লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন, যাদের মধ্যে ১২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ৪ জন, তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।

এদিকে গতকাল পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যেটি আগের দিন পর্যন্ত ছিল ২ হাজার ৯৩৪ জন। বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫১৬ জন। তবে এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩ জন। এক্ষেত্রেও কারো মৃত্যুর খবর নেই।