রাঙ্গামাটিতে গুলিতে নিহত ৩ ‘কুকি চীন’ পার্টি দায় স্বীকার

রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন চিতারাম ত্রিপুরা (৬৫), বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা (৪৯) ও সুভাষ ত্রিপুরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে শিশু ও নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের নাম জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, একদল সন্ত্রাসী সাইজামপাড়ায় বসবাস করা তিন পরিবারের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে চিতারাম ত্রিপুরা, বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা ও সুভাষ ত্রিপুরা নিহত হন। বিশ^ চন্দ্র ও সুভাষ সম্পর্কে পিতা-পুত্র।

পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য একটি সূত্র মতে, ঘটনাটি যে এলাকায় ঘটেছে সেখানে তিনটি পরিবার বসবাস করত। সন্ত্রাসীদের ধারণা হয়ত ওই তিনটি পরিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) সহায়তা করে থাকে। সেজন্যই তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারণা সূত্রটির।

এদিকে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক ফেইসবুক পেজে দাবি করেছে , কেএনএফের স্পেশ্যাল কমান্ডো ফোর্স হেড-হান্টার টিম জেএসএসের সশস্ত্র বাহিনী জেএলএ-এর জাইজাম বেসমেন্ট ক্যাম্পে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে জেএলএ বাহিনীর ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

বথতলি ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা জানান, নিহতরা সাবাই ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ‘কুকি চীন’ পার্টি তাদের ওপর হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও মে মাসের দিকে ওই পাড়ায় হামলার ঘটনা ঘটে। রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, হতাহতের ঘটনা শুনেছি। তবে সত্য মিথ্যা এখনও নিশ্চিত না। দুর্গম এলাকা সেখানে পৌঁছানো কঠিন, তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম এই ইউনিয়নটি। রাঙামাটি-বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নটির মানুষ যাতায়াত করে থাকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা হয়ে। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় যেতে হলে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এতে ২-৩ দিন সময় লাগে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

রাঙ্গামাটিতে গুলিতে নিহত ৩ ‘কুকি চীন’ পার্টি দায় স্বীকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পার্বত্যাঞ্চল

রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন চিতারাম ত্রিপুরা (৬৫), বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা (৪৯) ও সুভাষ ত্রিপুরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে শিশু ও নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের নাম জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, একদল সন্ত্রাসী সাইজামপাড়ায় বসবাস করা তিন পরিবারের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে চিতারাম ত্রিপুরা, বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা ও সুভাষ ত্রিপুরা নিহত হন। বিশ^ চন্দ্র ও সুভাষ সম্পর্কে পিতা-পুত্র।

পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য একটি সূত্র মতে, ঘটনাটি যে এলাকায় ঘটেছে সেখানে তিনটি পরিবার বসবাস করত। সন্ত্রাসীদের ধারণা হয়ত ওই তিনটি পরিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) সহায়তা করে থাকে। সেজন্যই তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারণা সূত্রটির।

এদিকে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক ফেইসবুক পেজে দাবি করেছে , কেএনএফের স্পেশ্যাল কমান্ডো ফোর্স হেড-হান্টার টিম জেএসএসের সশস্ত্র বাহিনী জেএলএ-এর জাইজাম বেসমেন্ট ক্যাম্পে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে জেএলএ বাহিনীর ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

বথতলি ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা জানান, নিহতরা সাবাই ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ‘কুকি চীন’ পার্টি তাদের ওপর হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও মে মাসের দিকে ওই পাড়ায় হামলার ঘটনা ঘটে। রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, হতাহতের ঘটনা শুনেছি। তবে সত্য মিথ্যা এখনও নিশ্চিত না। দুর্গম এলাকা সেখানে পৌঁছানো কঠিন, তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম এই ইউনিয়নটি। রাঙামাটি-বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নটির মানুষ যাতায়াত করে থাকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা হয়ে। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় যেতে হলে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এতে ২-৩ দিন সময় লাগে।