এইচএসসি পরীক্ষাও এক মাস পেছাচ্ছে

বন্যার কারণে প্রায় এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এই পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা সেই পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ঈদের পর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক। তিনি গতকাল সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরীক্ষা পেছানোর কথা জানান।

সার্বিক বন্যার কারণে ঈদের আগে পরীক্ষা নেয়া যাবে না-জানিয়ে শিক্ষা সচিব আরও বলেন, ‘ঈদের পর পরীক্ষা নিতে হবে। আর এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।’

সাধারণত এসএসসি পরীক্ষার পর ফল প্রকাশে অন্তত দুইমাস সময় লাগে। এরপর পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয় শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।

এর আগে ২১ জুন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছিলেন, এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। পরিস্থিতি বুঝে ঈদের পরপরই স্থগিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা হবে।

পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী, গত ১৯ জুন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই পরীক্ষা আগামী ৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে গত ১৭ জুন এই পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আসন্ন ঈদুল আজহার পর এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিনে পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরুর এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হবে।

এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে হবে। এতে অন্তত দুই মাস সময় প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।

গতকালের সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, ঈদের আগেই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ জুলাই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন কম।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

এইচএসসি পরীক্ষাও এক মাস পেছাচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বন্যার কারণে প্রায় এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এই পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা সেই পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ঈদের পর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক। তিনি গতকাল সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরীক্ষা পেছানোর কথা জানান।

সার্বিক বন্যার কারণে ঈদের আগে পরীক্ষা নেয়া যাবে না-জানিয়ে শিক্ষা সচিব আরও বলেন, ‘ঈদের পর পরীক্ষা নিতে হবে। আর এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।’

সাধারণত এসএসসি পরীক্ষার পর ফল প্রকাশে অন্তত দুইমাস সময় লাগে। এরপর পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয় শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।

এর আগে ২১ জুন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছিলেন, এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। পরিস্থিতি বুঝে ঈদের পরপরই স্থগিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা হবে।

পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী, গত ১৯ জুন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই পরীক্ষা আগামী ৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে গত ১৭ জুন এই পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আসন্ন ঈদুল আজহার পর এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিনে পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরুর এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হবে।

এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে হবে। এতে অন্তত দুই মাস সময় প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।

গতকালের সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, ঈদের আগেই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ জুলাই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন কম।