পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেলেন বিএনপির ৭ নেতা

আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার। বিএনপির এই সাত নেতা হলো মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ সুত্রধর। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র গ্রহণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন না।

দাওয়াতপত্র পৌঁছে দিয়ে সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ সুত্রধর বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিএনপি নেতাদেরর উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছি।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা কার্ড দিয়ে গেছেন। এটা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।

কার্ডগুলো হস্তান্তরের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল খায়ের ভূঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিএনপির নেতা খায়রুল কবির খোকন বলেন, একজন উপসচিব এসে দাওয়াত কার্ড দিয়ে গেছেন। সৌজন্যতার খাতিরে তা আমরা রেখে দিয়েছি। এটা নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া-জাজিরা দুই প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথমে মাওয়ায় সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সমাবেশের আয়োজন করেছে সেতু বিভাগ। এরপর তিনি টোল দিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করবেন। সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।

পরে শেখ হাসিনা গাড়ি দিয়ে সেতু পার হয়ে জাজিরায় আরেকবার ফলক উন্মোচন করবেন। তারপর বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন। ওই সমাবেশের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেলেন বিএনপির ৭ নেতা

আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার। বিএনপির এই সাত নেতা হলো মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ সুত্রধর। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র গ্রহণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন না।

দাওয়াতপত্র পৌঁছে দিয়ে সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ সুত্রধর বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিএনপি নেতাদেরর উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছি।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা কার্ড দিয়ে গেছেন। এটা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।

কার্ডগুলো হস্তান্তরের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল খায়ের ভূঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিএনপির নেতা খায়রুল কবির খোকন বলেন, একজন উপসচিব এসে দাওয়াত কার্ড দিয়ে গেছেন। সৌজন্যতার খাতিরে তা আমরা রেখে দিয়েছি। এটা নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া-জাজিরা দুই প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথমে মাওয়ায় সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সমাবেশের আয়োজন করেছে সেতু বিভাগ। এরপর তিনি টোল দিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করবেন। সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।

পরে শেখ হাসিনা গাড়ি দিয়ে সেতু পার হয়ে জাজিরায় আরেকবার ফলক উন্মোচন করবেন। তারপর বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন। ওই সমাবেশের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।