করোনা : ৪ মাস পর দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়ালো

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ৪ মাস পর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩৫ জন, যাদের মধ্যে ১০৬৯ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সত্তরোর্ধ্ব যে পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনি ছিলেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগের ২৩টি জেলায়। তবে রংপুর বিভাগে কোন শনাক্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারির একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ১ হাজার ৪০৬ জনের করোনায় শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

১৫ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিন গত মঙ্গলবার এই হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৩৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ১০৫ জন।

গত একদিনে ৮ হাজার ৫৫২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর দশ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৬ লাখ।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩

করোনা : ৪ মাস পর দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়ালো

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ৪ মাস পর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩৫ জন, যাদের মধ্যে ১০৬৯ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সত্তরোর্ধ্ব যে পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনি ছিলেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগের ২৩টি জেলায়। তবে রংপুর বিভাগে কোন শনাক্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারির একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ১ হাজার ৪০৬ জনের করোনায় শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

১৫ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিন গত মঙ্গলবার এই হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৩৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ১০৫ জন।

গত একদিনে ৮ হাজার ৫৫২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর দশ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৬ লাখ।