ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ কার্যালয়সহ ৪০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর বানেশ্বর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের অংশ হিসেবে সড়কের দুপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। গত বুধবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর আলহাজ মোড় থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান মিয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয় ও যুবলীগের কার্যালয়ের বারান্দাসহ চার শতাধিক দোকানপাট এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। আলহাজ মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন চুন্নু বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে কয়েকশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বে। তারা সড়ক ও জনপথের অব্যবহৃত জায়গায় ছোট ছোট দোকান ঘর নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করছিল।’ পৌরসভার কাউন্সিলর ইউসুফ আলী প্রধান বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরও দু-একদিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তা তারা দেয়নি। উচ্ছেদ অভিযানে দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে ছাত্রলীগ কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের আসবাবপত্র আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়।’ ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সান্তনা দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এর আগে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। এবার সড়ক উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় অভিযান ঠেকানো সম্ভব হয়নি।’ পাবনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বরত) আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, ‘ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নীতকরণ কাজের অংশ হিসেবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর আগে অবৈধ স্থাপনার মালিকদের নোটিস ও মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল।’

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ , ১০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলকদ ১৪৪৩

ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ কার্যালয়সহ ৪০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর বানেশ্বর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের অংশ হিসেবে সড়কের দুপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। গত বুধবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর আলহাজ মোড় থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান মিয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয় ও যুবলীগের কার্যালয়ের বারান্দাসহ চার শতাধিক দোকানপাট এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। আলহাজ মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন চুন্নু বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে কয়েকশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বে। তারা সড়ক ও জনপথের অব্যবহৃত জায়গায় ছোট ছোট দোকান ঘর নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করছিল।’ পৌরসভার কাউন্সিলর ইউসুফ আলী প্রধান বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরও দু-একদিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তা তারা দেয়নি। উচ্ছেদ অভিযানে দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে ছাত্রলীগ কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের আসবাবপত্র আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়।’ ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সান্তনা দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এর আগে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। এবার সড়ক উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় অভিযান ঠেকানো সম্ভব হয়নি।’ পাবনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বরত) আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, ‘ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নীতকরণ কাজের অংশ হিসেবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর আগে অবৈধ স্থাপনার মালিকদের নোটিস ও মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল।’