ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল

অনেক এলাকায় খোঁজও নেয়নি কেউ

বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বানভাসি মানুষ। অনেকে অভিযোগ করছেন ত্রাণ দেয়া তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ কাজ না পেয়ে রয়েছে চরম বিপাকে।

নেত্রকোনায় পানিবন্দী মানুষ পাচ্ছেন না খাবার

নেত্রকোনা থেকে সোহান আহমেদ কাকন জানান, গেল ৬ দিন ধরে ঘরের ভেতর পানি, সবকিছুই তলিয়ে আছে। দু-একদিন চিড়া-মুড়ি খেতে পারলেও টানা ৩দিন না খেয়ে আছি সড়কের পাশে বন্ধ দোকানের বারান্দায়। এভাবেই বলছিলেন নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমশিয়া ইউনিয়নের বৃদ্ধা ফলেন্নেছা।

তার মতো এমন পরিস্থিতির শিকার স্বরমশিয়া ইউনিয়নের যাদবপুর, মাদলসহ বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষ। পানিবন্দী এসব মানুষ পাচ্ছিলেন না তেমন কোন খাবার। বৃদ্ধা ফলেন্নেছা-তারা বানুদের উপোস থাকার খবর পেয়ে গত বুধবার দুপুরে আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল বেশকিছু চাল, ডাল, মুড়ি নিয়ে হাজির হন। তিনি অন্তত ৪০টি পানিবন্দী দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। মধ্য বয়সী নারী তারা বানু বলছিলেন, স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় সড়কের উঁচু জায়গায় কাটছে দিন-রাত। পুলিশের দেয়া চাল ডাল পেয়ে আপ্লুত তিনি। পুলিশের দেয়া খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আরও কয়েকদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন ফলেন্নেছা-তারা বানুরা।

খাদ্যাভাবে হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, বারহাট্টায় অসংখ্য মানুষের মানবেতর দিন কাটছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। গবাদিপশুসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে ৫ লক্ষাধিক মানুষের।

পানিতে তলিয়ে আছে সব সড়ক। জেলার ১০ উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাতায়াতে নেই কোন যানবাহন। একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলে দেয়া ৩৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন লক্ষাধিক মানুষ। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় চিকিৎসাসেবাসহ ত্রাণ-সহায়তায় মাঠে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, এনজিওসহ বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রেখেছেন তারা। তবে বানভাসিদের প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

কলমাকান্দায় ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে শিখা দাস (২৫) নামের এক নারীর। গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার আগেই মারা যান ওই নারী। এদিকে ৫ বছরের শিশু সন্তান জানে না তার মা আর বেঁচে নেই। শিখা দাস উপজেলা সদরের মনতলা গ্রামের প্রবাল দাসের স্ত্রী।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও

কমেনি দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য জানান, কুড়িগ্রামে বন্যায় ঘরবন্দী মানুষ পড়েছে ভীষণ ভোগান্তির মধ্যে। এখনও অনেক বাড়িতে নলকূপ-ল্যাট্রিন তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে গবাদিপশুর খড়। ফলে গো-খাদ্য আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন তারা। বাড়ির বয়স্ক ও নারীরা স্বাভাবিকভাবে লেট্রিন ব্যবহার করতে না পেরে ভীষণ বিপাকে রয়েছে।

শুকনো জালানি না থাকায় অনেক কষ্ট করে রান্না করতে হচ্ছে তাদের। ফলে এক বেলা রান্না করে সেই খাবার দিয়ে দিন পার করছেন তারা। জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বানভাসি মানুষ। অনেকে অভিযোগ করছেন, ত্রাণ দেয়া তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ কাজ না পেয়ে রয়েছে চরম বিপাকে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নুরানীপাড়া গ্রামের খাদিজা বেগম জানান, ‘নলকূপ ডুবি গেইছে। সেই পানি সবাই খাবার নাগছি। পায়খানা তলে গেইছে বয়স্ক মানুষ আর বউ-ঝিদের খুব সমস্যা হইছে।’ এই এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকে রাতে সড়কে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেই সড়কেও নেই নলকূপ ও লেট্রিনের ব্যবস্থা। ফলে বানভাসি মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আকবর আলী জানান, ‘৫-৬ দিন থাকি পানিত পরি আছি। বাড়িত থাকি বের হবার পারছি না। খুব কষ্টোত আছি।’

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর বড়াইবাড়ি এলাকার আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে কাজকর্ম বন্ধ, ঠিকমতো বাজার করতে পারছি না। খাওয়া দাওয়ার সমস্যায় পড়ছি। পানিতে চলাফেরা করতে করতে পায়ে ঘা হয়ে গেছে।

জামালপুরে পানিবন্দী ৮৫ হাজার মানুষ, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জামালপুর প্রতিনিধি সুশান্ত কানু জানান, বন্যায় ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ১৬৫টি গ্রাম প্লাবিত। ৮৫ হাজার ৭৩২ জন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় এখন পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দিতে পারে। দুর্গত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৮০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।

এদিকে ইসলামপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মোস্তাকিম মিয়া (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের কাছিমার চরগ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান জানান, গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে মোস্তাকিম মিয়া নামের শিশুটি খেলতে ছিল। খেলতে খেলতে শিশুটি বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে পড়ে ডুবে মারা যায়।

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ , ১০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলকদ ১৪৪৩

ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল

অনেক এলাকায় খোঁজও নেয়নি কেউ

সংবাদ ডেস্ক

বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বানভাসি মানুষ। অনেকে অভিযোগ করছেন ত্রাণ দেয়া তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ কাজ না পেয়ে রয়েছে চরম বিপাকে।

নেত্রকোনায় পানিবন্দী মানুষ পাচ্ছেন না খাবার

নেত্রকোনা থেকে সোহান আহমেদ কাকন জানান, গেল ৬ দিন ধরে ঘরের ভেতর পানি, সবকিছুই তলিয়ে আছে। দু-একদিন চিড়া-মুড়ি খেতে পারলেও টানা ৩দিন না খেয়ে আছি সড়কের পাশে বন্ধ দোকানের বারান্দায়। এভাবেই বলছিলেন নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমশিয়া ইউনিয়নের বৃদ্ধা ফলেন্নেছা।

তার মতো এমন পরিস্থিতির শিকার স্বরমশিয়া ইউনিয়নের যাদবপুর, মাদলসহ বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষ। পানিবন্দী এসব মানুষ পাচ্ছিলেন না তেমন কোন খাবার। বৃদ্ধা ফলেন্নেছা-তারা বানুদের উপোস থাকার খবর পেয়ে গত বুধবার দুপুরে আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল বেশকিছু চাল, ডাল, মুড়ি নিয়ে হাজির হন। তিনি অন্তত ৪০টি পানিবন্দী দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। মধ্য বয়সী নারী তারা বানু বলছিলেন, স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় সড়কের উঁচু জায়গায় কাটছে দিন-রাত। পুলিশের দেয়া চাল ডাল পেয়ে আপ্লুত তিনি। পুলিশের দেয়া খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আরও কয়েকদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন ফলেন্নেছা-তারা বানুরা।

খাদ্যাভাবে হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, বারহাট্টায় অসংখ্য মানুষের মানবেতর দিন কাটছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। গবাদিপশুসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে ৫ লক্ষাধিক মানুষের।

পানিতে তলিয়ে আছে সব সড়ক। জেলার ১০ উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাতায়াতে নেই কোন যানবাহন। একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলে দেয়া ৩৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন লক্ষাধিক মানুষ। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় চিকিৎসাসেবাসহ ত্রাণ-সহায়তায় মাঠে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, এনজিওসহ বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রেখেছেন তারা। তবে বানভাসিদের প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

কলমাকান্দায় ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে শিখা দাস (২৫) নামের এক নারীর। গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার আগেই মারা যান ওই নারী। এদিকে ৫ বছরের শিশু সন্তান জানে না তার মা আর বেঁচে নেই। শিখা দাস উপজেলা সদরের মনতলা গ্রামের প্রবাল দাসের স্ত্রী।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও

কমেনি দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য জানান, কুড়িগ্রামে বন্যায় ঘরবন্দী মানুষ পড়েছে ভীষণ ভোগান্তির মধ্যে। এখনও অনেক বাড়িতে নলকূপ-ল্যাট্রিন তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে গবাদিপশুর খড়। ফলে গো-খাদ্য আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন তারা। বাড়ির বয়স্ক ও নারীরা স্বাভাবিকভাবে লেট্রিন ব্যবহার করতে না পেরে ভীষণ বিপাকে রয়েছে।

শুকনো জালানি না থাকায় অনেক কষ্ট করে রান্না করতে হচ্ছে তাদের। ফলে এক বেলা রান্না করে সেই খাবার দিয়ে দিন পার করছেন তারা। জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বানভাসি মানুষ। অনেকে অভিযোগ করছেন, ত্রাণ দেয়া তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ কাজ না পেয়ে রয়েছে চরম বিপাকে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নুরানীপাড়া গ্রামের খাদিজা বেগম জানান, ‘নলকূপ ডুবি গেইছে। সেই পানি সবাই খাবার নাগছি। পায়খানা তলে গেইছে বয়স্ক মানুষ আর বউ-ঝিদের খুব সমস্যা হইছে।’ এই এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকে রাতে সড়কে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেই সড়কেও নেই নলকূপ ও লেট্রিনের ব্যবস্থা। ফলে বানভাসি মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আকবর আলী জানান, ‘৫-৬ দিন থাকি পানিত পরি আছি। বাড়িত থাকি বের হবার পারছি না। খুব কষ্টোত আছি।’

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর বড়াইবাড়ি এলাকার আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে কাজকর্ম বন্ধ, ঠিকমতো বাজার করতে পারছি না। খাওয়া দাওয়ার সমস্যায় পড়ছি। পানিতে চলাফেরা করতে করতে পায়ে ঘা হয়ে গেছে।

জামালপুরে পানিবন্দী ৮৫ হাজার মানুষ, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জামালপুর প্রতিনিধি সুশান্ত কানু জানান, বন্যায় ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ১৬৫টি গ্রাম প্লাবিত। ৮৫ হাজার ৭৩২ জন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় এখন পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দিতে পারে। দুর্গত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৮০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।

এদিকে ইসলামপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মোস্তাকিম মিয়া (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের কাছিমার চরগ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান জানান, গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে মোস্তাকিম মিয়া নামের শিশুটি খেলতে ছিল। খেলতে খেলতে শিশুটি বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে পড়ে ডুবে মারা যায়।