বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

সারাদেশে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন। সবচেয়ে বেশি ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগেই। এছাড়া বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৩ জুনের মধ্যে এখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন করে। কুড়িগ্রাম ও শেরপুরে তিনজন করে এবং লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।

বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় সিলেটের পরই রয়েছে ময়মনসিংহ। এই বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর রংপুর বিভাগে মারা গেছেন চারজন। অন্যদিকে বজ্রপাতে আহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার চারজনের মধ্যে মারা গেছেন একজন। আর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।

এছাড়া বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৯৫ জন। তবে এই রোগে এখনও মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন।

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ , ১০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলকদ ১৪৪৩

বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সারাদেশে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন। সবচেয়ে বেশি ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগেই। এছাড়া বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৩ জুনের মধ্যে এখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন করে। কুড়িগ্রাম ও শেরপুরে তিনজন করে এবং লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।

বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় সিলেটের পরই রয়েছে ময়মনসিংহ। এই বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর রংপুর বিভাগে মারা গেছেন চারজন। অন্যদিকে বজ্রপাতে আহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার চারজনের মধ্যে মারা গেছেন একজন। আর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।

এছাড়া বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৯৫ জন। তবে এই রোগে এখনও মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন।