শিশুকে তিন মাস ধরে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষক গ্রেপ্তার

রাজধানীর রামপুরায় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের ওপর তিন মাস ধরে যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষক রোকনুজ্জামান খানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির পরিবার অভিযোগ করে জানান, রামপুরা থানাধীন একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সে। তিন মাস ধরে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন একই স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রোকনুজ্জামান। স্কুল চলাকালীন টিফিনের সময় অন্যদের অনুপস্থিতিতে শিশুটির ওপর নির্যাতন চালানো হতো। কিন্তু ভয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি সে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষককেই বাসায় টিউশনিতে রাখে শিশুটির পরিবার। তবে তার কাছে কিছুতেই পড়তে রাজি হয়নি সে। তখন বিষয়টি পরিবারের সন্দেহ হলে সন্তানের কাছ থেকেই জানতে পারে ভয়াবহ সব তথ্য। এ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পরিবার জানায়, মার্চ মাসেই শিশুটির শরীরে স্পট দেখতে পেয়েছিল তারা। তবে বিষয়টি তেমন আমলে নেননি। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর বিচার দাবি করছেন তারা।

জানা গেছে, অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামে। তার বাবার নাম সুরুজ খান। রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়া এলাকায় থাকতো সে। রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এরপর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ , ১০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলকদ ১৪৪৩

শিশুকে তিন মাস ধরে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষক গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর রামপুরায় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের ওপর তিন মাস ধরে যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষক রোকনুজ্জামান খানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির পরিবার অভিযোগ করে জানান, রামপুরা থানাধীন একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সে। তিন মাস ধরে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন একই স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রোকনুজ্জামান। স্কুল চলাকালীন টিফিনের সময় অন্যদের অনুপস্থিতিতে শিশুটির ওপর নির্যাতন চালানো হতো। কিন্তু ভয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি সে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষককেই বাসায় টিউশনিতে রাখে শিশুটির পরিবার। তবে তার কাছে কিছুতেই পড়তে রাজি হয়নি সে। তখন বিষয়টি পরিবারের সন্দেহ হলে সন্তানের কাছ থেকেই জানতে পারে ভয়াবহ সব তথ্য। এ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পরিবার জানায়, মার্চ মাসেই শিশুটির শরীরে স্পট দেখতে পেয়েছিল তারা। তবে বিষয়টি তেমন আমলে নেননি। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর বিচার দাবি করছেন তারা।

জানা গেছে, অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামে। তার বাবার নাম সুরুজ খান। রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়া এলাকায় থাকতো সে। রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এরপর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।