চিঠি : মেডিটেশনের ওপর ভ্যাট কেন

মেডিটেশনের ওপর ভ্যাট কেন

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর সুস্বাস্থ্যের জন্যে দরকার মনের সুস্থতা বা সুস্থিরতা। আসলে মন ভালো না থাকলে সেটার প্রভাব পড়ে শরীরে। এর অনেক প্রমাণ আমরা দেখি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। হাজার কোটি টাকার মধ্যে থেকেও মনে কোনো শান্তি নেই, স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার তাও ব্যাথা-বেদনার অভাব নেই। তারা ভাবে এটা পেলে মনে হয়, মনে শান্তি আসবে কিন্তু সেটা পাওয়ার পর শুরু হয় আরেক না পাওয়ার বেদনা।

কিন্তু এ সমস্যার সমাধান আমরা খুঁজে পাই মেডিটেশনের মাধ্যমে অন্তরের আমির সঙ্গে যোগের মধ্য দিয়ে; যা আমাদের মানসিক সুস্থতা আনে। বলা হয়ে থাকেথ ৭৫ শতাংশ রোগই হলো মনোদৈহিক যার উৎস মন কিন্তু প্রকাশ শরীরে। এজন্য আমরা এখন দেখি ডাক্তাররাই মেডিটেশন প্রেসক্রাইব করছেন। যেখানে চিকিৎসা সেবার ওপর কোনো ভ্যাট নেই তাহলে মেডিটেশনের ওপর কেন?

আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি, দেশের ভালো চাই। দেশ ভালো হবে যখন দেশের মানুষগুলো ভালো হবে। মেডিটেশন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে। তাই মেডিটেশনের ওপর থেকে স্থায়ীভাবে ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন করছি।

আতকিয়া আজিমা

ঢাকা

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে

দুর্ঘটনায় জান-মাল ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধন হয়। দুর্ঘটনার ওপর কারো হাত না থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করা জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশে একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও হুঁশ ফিরছে না কারো। কিছুদিন আলোচনার পর থমকে যায় সবকিছু, পুনরায় দুর্ঘটনা ঘটে, বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশে এখন দুর্ঘটনাই যেনো স্বাভাবিক ঘটনা।

দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও কাগজপত্র ঠিক না থাকার খবর পাওয়া যায়, যা মূলত হতাশা এবং আক্ষেপ আরো বাড়িয়ে দেয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবসা করা বাধ্যতামূলক হলেও স্ব স্ব মাধ্যমের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের অবৈধভাবে আয়ত্তে রেখে কিংবা তাদের অগোচরে ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদহীন ভবনে বসবাস কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়া ভাঙ্গাচুরা গাড়িতে যাত্রী পরিবহনসহ অবৈধ কার্যক্রমের বলি হচ্ছে নিরীহ জনসাধারণ। দৃশ্যমান দুর্ঘটনার আড়ালে হত্যাকান্ড ঘটছে একের পর এক।

আর প্রতি বছর আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে অবহেলা-বেআইনি কার্যক্রমজনিত দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় এসব দুর্ঘটনা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কর্তৃপক্ষ কিংবা কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের আইন বহির্ভূত কর্মকান্ডের কারণে আর কোন তাজা প্রাণ ঝড়ে যাক কিংবা মালামালের ক্ষতিসাধন হোক- তা আমরা দেখতে চাই না।

জুবায়ের আহমেদ

শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)

কাঁটাবন, ঢাকা

আরও খবর

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ , ১০ আষাড় ১৪২৮ ২৪ জিলকদ ১৪৪৩

চিঠি : মেডিটেশনের ওপর ভ্যাট কেন

মেডিটেশনের ওপর ভ্যাট কেন

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর সুস্বাস্থ্যের জন্যে দরকার মনের সুস্থতা বা সুস্থিরতা। আসলে মন ভালো না থাকলে সেটার প্রভাব পড়ে শরীরে। এর অনেক প্রমাণ আমরা দেখি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। হাজার কোটি টাকার মধ্যে থেকেও মনে কোনো শান্তি নেই, স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার তাও ব্যাথা-বেদনার অভাব নেই। তারা ভাবে এটা পেলে মনে হয়, মনে শান্তি আসবে কিন্তু সেটা পাওয়ার পর শুরু হয় আরেক না পাওয়ার বেদনা।

কিন্তু এ সমস্যার সমাধান আমরা খুঁজে পাই মেডিটেশনের মাধ্যমে অন্তরের আমির সঙ্গে যোগের মধ্য দিয়ে; যা আমাদের মানসিক সুস্থতা আনে। বলা হয়ে থাকেথ ৭৫ শতাংশ রোগই হলো মনোদৈহিক যার উৎস মন কিন্তু প্রকাশ শরীরে। এজন্য আমরা এখন দেখি ডাক্তাররাই মেডিটেশন প্রেসক্রাইব করছেন। যেখানে চিকিৎসা সেবার ওপর কোনো ভ্যাট নেই তাহলে মেডিটেশনের ওপর কেন?

আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি, দেশের ভালো চাই। দেশ ভালো হবে যখন দেশের মানুষগুলো ভালো হবে। মেডিটেশন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে। তাই মেডিটেশনের ওপর থেকে স্থায়ীভাবে ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন করছি।

আতকিয়া আজিমা

ঢাকা

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে

দুর্ঘটনায় জান-মাল ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধন হয়। দুর্ঘটনার ওপর কারো হাত না থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করা জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশে একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও হুঁশ ফিরছে না কারো। কিছুদিন আলোচনার পর থমকে যায় সবকিছু, পুনরায় দুর্ঘটনা ঘটে, বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশে এখন দুর্ঘটনাই যেনো স্বাভাবিক ঘটনা।

দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও কাগজপত্র ঠিক না থাকার খবর পাওয়া যায়, যা মূলত হতাশা এবং আক্ষেপ আরো বাড়িয়ে দেয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবসা করা বাধ্যতামূলক হলেও স্ব স্ব মাধ্যমের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের অবৈধভাবে আয়ত্তে রেখে কিংবা তাদের অগোচরে ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদহীন ভবনে বসবাস কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়া ভাঙ্গাচুরা গাড়িতে যাত্রী পরিবহনসহ অবৈধ কার্যক্রমের বলি হচ্ছে নিরীহ জনসাধারণ। দৃশ্যমান দুর্ঘটনার আড়ালে হত্যাকান্ড ঘটছে একের পর এক।

আর প্রতি বছর আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে অবহেলা-বেআইনি কার্যক্রমজনিত দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় এসব দুর্ঘটনা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কর্তৃপক্ষ কিংবা কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের আইন বহির্ভূত কর্মকান্ডের কারণে আর কোন তাজা প্রাণ ঝড়ে যাক কিংবা মালামালের ক্ষতিসাধন হোক- তা আমরা দেখতে চাই না।

জুবায়ের আহমেদ

শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)

কাঁটাবন, ঢাকা