ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড বা ডিএসএসএল দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সমন্বিত সোয়েটার এবং স্পিনিং প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। শুরু থেকেই তাদের বিশ্বমানের সোয়েটার এবং পুলওভার পণ্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ডিএসএসএল ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান যার পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। দেশের সোয়েটার উৎপাদন ও রপ্তানি খাতের পথপ্রদর্শক, নেতৃস্থানীয় কোম্পানি ডিএসএসএল, যেটি তার মানসম্পন্ন সোয়েটার এবং সুতার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসনীয়।
এটি ড্রাগন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিষ্ঠান। ড্রাগন গ্রুপ দেশের আর এম জি শিল্পে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য অন্য অনেক সংস্থাকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং সহায়তা করেছে। দূরদর্শী উদ্যোক্তা হিসেবে, ড্রাগন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, হংকং এবং চীনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকার মালিবাগে দেশের প্রথম সোয়েটার প্রকল্প হিসেবে ডিএসএসএল চালু করেন। প্রতিষ্ঠানটি এ যাবত দশ লাখেরও বেশি লোকের সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
গত ৩০ বছরে ড্রাগন গ্রুপ তার বিশাল অপারেশনাল সিনার্জি অর্জনের জন্য ব্যাকওয়ার্ডলিংকেজে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে যার ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ কমেছে এবং ডেলিভারির সময়ও কমে গিয়েছে। ড্রাগন গ্রুপ তার রপ্তানি চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত সুতা নিজেই উৎপাদন করে এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চগুণমান এবং অতুলনীয় দক্ষতা বজায় রাখে।
অপারেশনাল সিনার্জি অর্জনের জন্য ড্রাগন গ্রুপের আরেকটি কারখানা ড্রাগন সোয়েটার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (ডিএসবিএল) ১৯৯১ সাল থেকে সফলভাবে পরিচালনা করছে এবং এর পরিশোধিত মূলধন ৪২৪ কোটি টাকা। সম্প্রতি এটি ঢাকা থেকে কুমিল্লায় স্থানান্তরিত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে ড্রাগন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘ড্রাগন সোয়েটার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সবচেয়ে বড় সমন্বিত প্রকল্প। এর ক্লায়েন্ট বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রেতাদের অনেকেই। আমাদের মূল্যবান ক্রেতারা চান যে আমরা আরও উন্নতি করি। ফলস্বরূপ, সম্প্রসারণকে সামঞ্জস্য পূর্ণ করতে এবং সর্বোত্তম অপারেশনাল সিনার্জি অর্জনের জন্য আমাদের কিছু উৎপাদন কারখানাকে ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করতে হচ্ছে।’
আইএসও ৯০০১ : ২০০০ সনদ প্রাপ্ত ডিএসএসএল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, চিলি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ গত ২০২১ অর্থবছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সোয়েটার রপ্তানি করেছে।
গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশে উৎপাদিত সুতা ও সোয়েটারের চাহিদা উল্ল্যেখযোগ্য হারে বাড়ছে এবং সেই গতি ধরে রাখতে উৎপাদনকারী কারখানার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন কারখানার সম্প্রসারণ বাধ্যতামূলক। যেহেতু কম্পোজিট প্রজেক্ট থেকে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কোম্পানিটি তার সোয়েটার উৎপাদন ক্ষমতার পাশাপাশি স্পিনিং ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে যাতে এক্রেলিক এবং অন্য সুতার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর মাধ্যমে ক্রেতাদের সেবা দেয়া যায়।’
গ্রুপের সিনারজিস্টিক সুবিধার দ্বারা আরও লাভবান হওয়ার কারণে ডিএসএসএল এশিয়ার শীর্ষ এবং বৃহত্তম সোয়েটার প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখতে চায় বলে উল্লেখ করেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠিক পাশেই অবস্থিত নিজস্ব শিল্প-কমপ্লেক্সে ডিএসএসএল বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোককে নিয়োগ করেছে। এখন সেই কমপ্লেক্সে ডিএসবিএল কারখানা স্থানান্তরিত হলে কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস জানান।
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ , ১১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলকদ ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড বা ডিএসএসএল দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সমন্বিত সোয়েটার এবং স্পিনিং প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। শুরু থেকেই তাদের বিশ্বমানের সোয়েটার এবং পুলওভার পণ্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ডিএসএসএল ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান যার পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। দেশের সোয়েটার উৎপাদন ও রপ্তানি খাতের পথপ্রদর্শক, নেতৃস্থানীয় কোম্পানি ডিএসএসএল, যেটি তার মানসম্পন্ন সোয়েটার এবং সুতার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসনীয়।
এটি ড্রাগন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিষ্ঠান। ড্রাগন গ্রুপ দেশের আর এম জি শিল্পে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য অন্য অনেক সংস্থাকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং সহায়তা করেছে। দূরদর্শী উদ্যোক্তা হিসেবে, ড্রাগন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, হংকং এবং চীনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকার মালিবাগে দেশের প্রথম সোয়েটার প্রকল্প হিসেবে ডিএসএসএল চালু করেন। প্রতিষ্ঠানটি এ যাবত দশ লাখেরও বেশি লোকের সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
গত ৩০ বছরে ড্রাগন গ্রুপ তার বিশাল অপারেশনাল সিনার্জি অর্জনের জন্য ব্যাকওয়ার্ডলিংকেজে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে যার ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ কমেছে এবং ডেলিভারির সময়ও কমে গিয়েছে। ড্রাগন গ্রুপ তার রপ্তানি চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত সুতা নিজেই উৎপাদন করে এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চগুণমান এবং অতুলনীয় দক্ষতা বজায় রাখে।
অপারেশনাল সিনার্জি অর্জনের জন্য ড্রাগন গ্রুপের আরেকটি কারখানা ড্রাগন সোয়েটার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (ডিএসবিএল) ১৯৯১ সাল থেকে সফলভাবে পরিচালনা করছে এবং এর পরিশোধিত মূলধন ৪২৪ কোটি টাকা। সম্প্রতি এটি ঢাকা থেকে কুমিল্লায় স্থানান্তরিত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে ড্রাগন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘ড্রাগন সোয়েটার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সবচেয়ে বড় সমন্বিত প্রকল্প। এর ক্লায়েন্ট বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রেতাদের অনেকেই। আমাদের মূল্যবান ক্রেতারা চান যে আমরা আরও উন্নতি করি। ফলস্বরূপ, সম্প্রসারণকে সামঞ্জস্য পূর্ণ করতে এবং সর্বোত্তম অপারেশনাল সিনার্জি অর্জনের জন্য আমাদের কিছু উৎপাদন কারখানাকে ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করতে হচ্ছে।’
আইএসও ৯০০১ : ২০০০ সনদ প্রাপ্ত ডিএসএসএল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, চিলি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ গত ২০২১ অর্থবছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সোয়েটার রপ্তানি করেছে।
গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশে উৎপাদিত সুতা ও সোয়েটারের চাহিদা উল্ল্যেখযোগ্য হারে বাড়ছে এবং সেই গতি ধরে রাখতে উৎপাদনকারী কারখানার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন কারখানার সম্প্রসারণ বাধ্যতামূলক। যেহেতু কম্পোজিট প্রজেক্ট থেকে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কোম্পানিটি তার সোয়েটার উৎপাদন ক্ষমতার পাশাপাশি স্পিনিং ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে যাতে এক্রেলিক এবং অন্য সুতার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর মাধ্যমে ক্রেতাদের সেবা দেয়া যায়।’
গ্রুপের সিনারজিস্টিক সুবিধার দ্বারা আরও লাভবান হওয়ার কারণে ডিএসএসএল এশিয়ার শীর্ষ এবং বৃহত্তম সোয়েটার প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখতে চায় বলে উল্লেখ করেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠিক পাশেই অবস্থিত নিজস্ব শিল্প-কমপ্লেক্সে ডিএসএসএল বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোককে নিয়োগ করেছে। এখন সেই কমপ্লেক্সে ডিএসবিএল কারখানা স্থানান্তরিত হলে কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস জানান।