‘জিডিপিতে যোগ হবে আরও এক হাজার কোটি ডলার’

‘এই অঞ্চলের (পদ্মার ওই পারের) ১৩টি জেলা গড় দারিদ্র্যসীমার নিচে। এই অঞ্চলের মানুষকে যদি দেশের মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। এছাড়া ২১ জেলায় ১৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এভাবে পদ্মা সেতুর ফলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) আরও ১ হাজার কোটি ডলার যোগ হবে। (যা বর্তমান বাজার মূল্যে ৯২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা)। বর্তমানে জিডিপি ৪৫ হাজার কোটি ডলার। এই সেতু নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এর তিন গুণ বেশি যোগ হবে।’

‘পদ্মা সেতুকে শুধু একটি সেতু হিসেবে দেখলে চলবে না। এটি হবে দেশের অর্থনীতির করিডোর। ২০৪১ সালের রূপকল্প আছে আমাদের।

এতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব একটি দেশ হিসেবে দেখতে চাই আমরা। পদ্মা সেতু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এই অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে ৪টি সুযোগ তৈরি হয়েছেÑ পরিবহন, বিনিয়োগ, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সঙ্গে একীভূত হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এসব জেলা।’

শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ , ১১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলকদ ১৪৪৩

‘জিডিপিতে যোগ হবে আরও এক হাজার কোটি ডলার’

‘এই অঞ্চলের (পদ্মার ওই পারের) ১৩টি জেলা গড় দারিদ্র্যসীমার নিচে। এই অঞ্চলের মানুষকে যদি দেশের মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। এছাড়া ২১ জেলায় ১৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এভাবে পদ্মা সেতুর ফলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) আরও ১ হাজার কোটি ডলার যোগ হবে। (যা বর্তমান বাজার মূল্যে ৯২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা)। বর্তমানে জিডিপি ৪৫ হাজার কোটি ডলার। এই সেতু নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এর তিন গুণ বেশি যোগ হবে।’

‘পদ্মা সেতুকে শুধু একটি সেতু হিসেবে দেখলে চলবে না। এটি হবে দেশের অর্থনীতির করিডোর। ২০৪১ সালের রূপকল্প আছে আমাদের।

এতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব একটি দেশ হিসেবে দেখতে চাই আমরা। পদ্মা সেতু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এই অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে ৪টি সুযোগ তৈরি হয়েছেÑ পরিবহন, বিনিয়োগ, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সঙ্গে একীভূত হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এসব জেলা।’