নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি জনজীবনে নাভিশ্বাস

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভোজ্য তেলের পর এবার বেড়েছে আটা ময়দা ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। তেলের চড়া দামের মাঝে সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তেল, আটা, চাল ও ডালের মতো মৌলিক ভোগ্য পণ্যের সীমাহীন দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষজন। দিন যত যাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজারে সীতাকুণ্ডবাসীর অসহায়ত্ব ততই বাড়ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাভিশ্বাসের উপক্রমে পড়া ক্রেতারা জানান, নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারদর বহু আগেই তাদের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনমতে টিকে থাকায় এখন দায়। বর্তমান নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে দু’বেলা ডাল-ভাতের যোগান দেয়ার নিশ্চয়তাও ক্রমশই হারিয়ে ফেলছেন তারা। বাজারে তেলসহ নিত্যপণ্যের সঙ্কটের অজুহাতকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলছেন বলেও অভিযোগ করেন ক্রেতারা। ভুক্তভোগী ক্রেতারা আরও জানান, বর্তমান বাজারে বোতলজাত সয়াবিন ও খোলা সয়াবিন না থাকায় বাড়তি দামে নিম্নমানের পামওয়েল কিনতে হচ্ছে তাদের। সরকারিভাবে প্রতি লিটার তেল ১৭২ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। এছাড়া প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন ২০১ টাকা, খোলা সয়াবিন কেজি ২১৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে তাদের। বর্তমান বাজারে মাছের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বয়লার মুরগি। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে মসুরের ডাল কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়াও বেড়েছে চাল, আটা, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল খাদ্যপণ্যের দাম। বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে আয়ের সাথে ব্যয়ের বিস্তর ব্যবধানের সৃষ্টি হওয়ায় দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন তারা। সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। আর মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়।এছাড়া খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকায়। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।এছাড়াও বোতলজাত সয়াবিনে তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। একই চিত্র দেখা গেছে সবজির বাজারেও। বর্তমান বাজারে থাকা ঝিঙ্গা,পটল,বেগুন ও কচুর লতি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। এছাড়াও লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় এবং ঢেঁড়শ ও শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে বরবটি ও কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। কাঁচাবাজারে থাকাকালীন কথা হয় কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা আবুল কাশেমের সাথে। তিনি জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে তাঁর আয়ের সাথে ব্যায়ের কোন সংকুলান হচ্ছে না। যে টাকা উপার্জন করেন তা দিয়ে পরিবারের জন্য দু’বেলা দু’মুঠো ডাল-ভাত জোগাড় করা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়িত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ জানান তিনি। বাজারে আসা আলমগীর হোসেন জানান, এবার বছরের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ছিল। কিন্তু সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানেই তা দ্বিগুণে এসে ঠেকেছে। বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি তার আয়ের পরিধি। ফলে তার স্বল্প আয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে মাসের অর্ধেক দিনও চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমান নিত্যপণ্যের উদ্ধগতির বাজারে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাদ্যাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলেও জানান তিনি। সীতাকুণ্ড পৌরসদরের টেইলারিং ব্যবসায়ী নুরুল আলম নামে অপর এক ক্রেতা জানান, সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে আটা, চাল ও ডালসহ বেশকিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম। এছাড়াও বাজারে গরু, খাসির পাশাপাশি চড়া রয়েছে বয়লার মুরগির দামও। বাজারে যে হারে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি অব্যাহত রয়েছে, তাতে সামনে কিভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনযাপন সেই চিন্তা করতেই মাথা ঘুরায় তার। সীতাকুণ্ড বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন জানান, পাইকাররা তেল, আটা ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে সঠিক সময়ে তা আমাদের দিচ্ছেন না।

এছাড়াও অর্ডারের অর্ধেক পরিমাণ মালামাল দিলেও তাতে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে। কনস্যুমারস অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাছির উদ্দিন অনিক জানান, প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাব ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামকে উপেক্ষা করেই মনগড়া নিয়মে পণ্য বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের যে প্রতিযোগিতা চলছে তা অভিযানের মাধ্যমে যদি ঠেকানো সম্ভব না হয় তাহলেই ক্রমশই ক্রেতাদের দুর্ভোগ বাড়বে।

রবিবার, ২৬ জুন ২০২২ , ১২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি জনজীবনে নাভিশ্বাস

প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভোজ্য তেলের পর এবার বেড়েছে আটা ময়দা ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। তেলের চড়া দামের মাঝে সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তেল, আটা, চাল ও ডালের মতো মৌলিক ভোগ্য পণ্যের সীমাহীন দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষজন। দিন যত যাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজারে সীতাকুণ্ডবাসীর অসহায়ত্ব ততই বাড়ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাভিশ্বাসের উপক্রমে পড়া ক্রেতারা জানান, নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারদর বহু আগেই তাদের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনমতে টিকে থাকায় এখন দায়। বর্তমান নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে দু’বেলা ডাল-ভাতের যোগান দেয়ার নিশ্চয়তাও ক্রমশই হারিয়ে ফেলছেন তারা। বাজারে তেলসহ নিত্যপণ্যের সঙ্কটের অজুহাতকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলছেন বলেও অভিযোগ করেন ক্রেতারা। ভুক্তভোগী ক্রেতারা আরও জানান, বর্তমান বাজারে বোতলজাত সয়াবিন ও খোলা সয়াবিন না থাকায় বাড়তি দামে নিম্নমানের পামওয়েল কিনতে হচ্ছে তাদের। সরকারিভাবে প্রতি লিটার তেল ১৭২ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। এছাড়া প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন ২০১ টাকা, খোলা সয়াবিন কেজি ২১৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে তাদের। বর্তমান বাজারে মাছের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বয়লার মুরগি। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে মসুরের ডাল কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়াও বেড়েছে চাল, আটা, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল খাদ্যপণ্যের দাম। বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে আয়ের সাথে ব্যয়ের বিস্তর ব্যবধানের সৃষ্টি হওয়ায় দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন তারা। সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। আর মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়।এছাড়া খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকায়। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।এছাড়াও বোতলজাত সয়াবিনে তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। একই চিত্র দেখা গেছে সবজির বাজারেও। বর্তমান বাজারে থাকা ঝিঙ্গা,পটল,বেগুন ও কচুর লতি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। এছাড়াও লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় এবং ঢেঁড়শ ও শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে বরবটি ও কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। কাঁচাবাজারে থাকাকালীন কথা হয় কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা আবুল কাশেমের সাথে। তিনি জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে তাঁর আয়ের সাথে ব্যায়ের কোন সংকুলান হচ্ছে না। যে টাকা উপার্জন করেন তা দিয়ে পরিবারের জন্য দু’বেলা দু’মুঠো ডাল-ভাত জোগাড় করা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়িত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ জানান তিনি। বাজারে আসা আলমগীর হোসেন জানান, এবার বছরের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ছিল। কিন্তু সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানেই তা দ্বিগুণে এসে ঠেকেছে। বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি তার আয়ের পরিধি। ফলে তার স্বল্প আয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে মাসের অর্ধেক দিনও চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমান নিত্যপণ্যের উদ্ধগতির বাজারে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাদ্যাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলেও জানান তিনি। সীতাকুণ্ড পৌরসদরের টেইলারিং ব্যবসায়ী নুরুল আলম নামে অপর এক ক্রেতা জানান, সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে আটা, চাল ও ডালসহ বেশকিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম। এছাড়াও বাজারে গরু, খাসির পাশাপাশি চড়া রয়েছে বয়লার মুরগির দামও। বাজারে যে হারে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি অব্যাহত রয়েছে, তাতে সামনে কিভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনযাপন সেই চিন্তা করতেই মাথা ঘুরায় তার। সীতাকুণ্ড বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন জানান, পাইকাররা তেল, আটা ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে সঠিক সময়ে তা আমাদের দিচ্ছেন না।

এছাড়াও অর্ডারের অর্ধেক পরিমাণ মালামাল দিলেও তাতে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে। কনস্যুমারস অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাছির উদ্দিন অনিক জানান, প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাব ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামকে উপেক্ষা করেই মনগড়া নিয়মে পণ্য বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের যে প্রতিযোগিতা চলছে তা অভিযানের মাধ্যমে যদি ঠেকানো সম্ভব না হয় তাহলেই ক্রমশই ক্রেতাদের দুর্ভোগ বাড়বে।