শিবচরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সমাবেশে জনতার ঢল

ভোর হতেই জনসভায় ছুটে আসতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সভামঞ্চের উদ্দেশে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য শত কষ্ট উপেক্ষা করে অবিরাম এই অগ্রযাত্রা তাদের।

এছাড়া, গতকাল দুপুর ১২টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী সেতুর উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচন করেন। পরে সেতু দিয়ে সরকারপ্রধানের গাড়ি বহর পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়। উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভার যোগ দিয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতু উদ্বোধনের পর সেতুতে হাজার হাজার মানুষ হেঁটে বেড়িয়েছেন।

সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, ভোর থেকে বিশাল সমাবেশে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। জনসভার আয়োজন দেখতে পদ্মাপারে ভিড় করছেন ওই অঞ্চলের আশপাশের মানুষ। অনেকে এসেছেন পরিবারসহ। সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজনকেন্দ্র ভরে উঠেছে কানায় কানায়।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সভামঞ্চে বিরাজ করে সাজ সাজ রব। ফেস্টুন-ব্যানারে ছেয়ে যায় পুরো মাদারীপুর। শিবচরের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিল-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যায়। লাল-সবুজ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে হেঁটে, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসে ছুটেন তারা।

গোপালগঞ্জ থেকে আসা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, শিবচরের কুতুবপুর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে হেঁটে এসেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনী সভামঞ্চে নিকট। এতোদূর হেঁটে আসা আমাদের জন্য কোন কষ্ট নয়, এটা আনন্দের। এখন আমাদের ঢাকা যেতে কষ্ট হবে না। অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা যেতে পারব।

এদিকে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। অনুষ্ঠান মঞ্চপ্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়। পর্যবেক্ষণ করার জন্য ছিল দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি ছিল।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগ হবে। এতে ব্যাপক অগ্রগতি বয়ে আনবে জেলাগুলোয়। বিশেষ করে যোগাযোগের সরাসরি সুবিধা লাভ করবে সে সব জেলায়, সেখানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

রবিবার, ২৬ জুন ২০২২ , ১২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

শিবচরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সমাবেশে জনতার ঢল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভোর হতেই জনসভায় ছুটে আসতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সভামঞ্চের উদ্দেশে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য শত কষ্ট উপেক্ষা করে অবিরাম এই অগ্রযাত্রা তাদের।

এছাড়া, গতকাল দুপুর ১২টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী সেতুর উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচন করেন। পরে সেতু দিয়ে সরকারপ্রধানের গাড়ি বহর পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়। উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভার যোগ দিয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতু উদ্বোধনের পর সেতুতে হাজার হাজার মানুষ হেঁটে বেড়িয়েছেন।

সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, ভোর থেকে বিশাল সমাবেশে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। জনসভার আয়োজন দেখতে পদ্মাপারে ভিড় করছেন ওই অঞ্চলের আশপাশের মানুষ। অনেকে এসেছেন পরিবারসহ। সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজনকেন্দ্র ভরে উঠেছে কানায় কানায়।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সভামঞ্চে বিরাজ করে সাজ সাজ রব। ফেস্টুন-ব্যানারে ছেয়ে যায় পুরো মাদারীপুর। শিবচরের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিল-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যায়। লাল-সবুজ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে হেঁটে, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসে ছুটেন তারা।

গোপালগঞ্জ থেকে আসা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, শিবচরের কুতুবপুর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে হেঁটে এসেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনী সভামঞ্চে নিকট। এতোদূর হেঁটে আসা আমাদের জন্য কোন কষ্ট নয়, এটা আনন্দের। এখন আমাদের ঢাকা যেতে কষ্ট হবে না। অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা যেতে পারব।

এদিকে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। অনুষ্ঠান মঞ্চপ্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়। পর্যবেক্ষণ করার জন্য ছিল দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি ছিল।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগ হবে। এতে ব্যাপক অগ্রগতি বয়ে আনবে জেলাগুলোয়। বিশেষ করে যোগাযোগের সরাসরি সুবিধা লাভ করবে সে সব জেলায়, সেখানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।